Lifan KPR 150 টেস্ট রাইড রিভিউ

This page was last updated on 04-Jul-2024 08:08am , By Shuvo Bangla

বছরের শুরুতে আমরা এই বছর লঞ্চ হতে পারে এমন কিছু বাইকের একটা লিস্ট তৈরী করেছিলাম । আপনারা অনেকেই সেই সব বাইক কবে বাংলাদেশের রাস্তায় ঘুরে বেড়াবে এই আশায় বসে ছিলেন । আর Lifan KPR 150 আমাদের সেই লিস্টে একটা মেইন বাইক ছিল এটা আপনারা সবাই জানেন । এই বছর এপ্রিলে এই বাইকটি আসার পর আমরা এটার উপর অনেক পরীক্ষা নিরিক্ষা চালিয়েছি । আর রাসেল ইন্ডাট্রিজ লিমিটেড ও আমাদের সাথে রেসপন্স করেছিল , সেই কারণে আমরা ২ সপ্তাহে লিফানের এই বাইকটি নিয়ে ১০০০ কিলোমিটারের একটা টেষ্ট রাইড দিয়েছি ।এখন আমরা আপনাদের সামনে হাজির এই বাইকটি সম্পর্কে আপনাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর নিয়ে । এখন অনেকেরই একটা প্রশ্ন যে এটা কী বাংলাদেশের মধ্যে লিডিং একটা স্পোর্টস বাইক হতে পারবে ?

Lifan KPR 150 টেস্ট রাইড রিভিউ

আগের কাহিনী: 

আমরা সবাই জানি যে চাইনিজ কোম্পানি লিফান ১৯৯২ সাল থেকে বিভিন্ন বাইক তৈরী করে আসছে এবং সেক্ষেত্রে এরা বেশ সফলও । আর বাংলাদেশে Rasel Industries Limited এটার সম্প্রসারণ করে চলেছে বেশ সফলভাবেই ।

lifan kpr 150

আপনার হয়ত মনে পড়বে যে আমরা ২০১৪ সালে লিফানের বাইক Lifan KP150 নিয়ে Saint Martin Tour বা 1150km ride within 24 Hours অথবা স্টান্ট সো অথবা Riding on Hill Tracks সহ বিভিন্ন ট্যুর করেছিলাম । এবং এই ট্যুরগুলো আমাদের বাইকটি সম্পর্কে বেশ ভাল একটা আইডিয়া দিয়েছিল । তারপর থেকে অনেকেই Lifan KP150 এর ভক্ত হয়ে গিয়েছিলেন যদিও বাংলাদেশের কিছূ লোকের চাইনিজ বাইকে এলার্জী রযেছে ।যদিও তারা বিভিন্ সময় ভাল মানের সব চাইনিজ প্রোডাক্ট ইউজ করে থাকেন এবং একটা কম দামের ভেতর । তাই Lifan KP150  এর সাফর‌্যের পর আমরা অনেকটা নিম্চিত ছিলাম যে Lifan KPR150  ও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে । তো চলুন দেখি , এটা কেমন পারফরমেন্স দেয় ও সার্বিকভাবে বাইকটি কেমন ?

প্রথম দেখায় Lifan KPR:

সৌভাগ্যবশত বাইকবিডি টীম রাসেল ইন্ডাট্রীজ লিমিটেড এ লিফেনর বাইকটি আসার পরই এটা দেখার ও টেষ্ট করার একটা সুযোগ পায় । বাইকটি লাঞ্চ হবার আগে এটা ছিল সম্পূর্ণ গোপন একটা ঘটনা । আমরা যখন বাইকটি প্রথম দেখি তখন সেই সময়ই এটা আমাদের কাছে অসাম লেগেছিল ।

Also Read: Lifan KPR 150 V2 সিটিতে মাইলেজ ৩৮ কিলোমিটার - আরিফ

যে কথাটা একবারেই এই বাইকটি সম্পর্কে সবকিছু বলতে পারে সেটা হল বাংলাদেশে হোন্ডা সিবিআর ১৫০ ও ইয়ামাহা R15 এর পর এটাই একমাত্র স্পোর্টস বাইক । আর আমাদের কথা সত্য না মিথ্য সেটা আপনারা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বা সরাসরি রোডে বাইকটি দেখে নিশ্চই বুঝেছেন । তাই এই বাইকটির সম্পর্কে খুব বিস্তারিত বর্নণা করার কোন দরকার আছে বলে আমার মনে হয় না । তারপরও আমরা এর বিভিন্ন ফিচার গুলো আলোচনা করে আপনাদের অভিজ্ঞতাকে আরও সম্প্রসারিত করতে যাচ্ছি ।

Lifan KPR150  একটা সম্পূর্ণ রেসিং মডেলের বাইক যেটা CRRC Chengdu  তে ১৫০ সিসি বাইকের চ্যাম্পিয়নশীপ জয় করেছে ২০১৪ সালের জুলাই মাসে এবং রিসেন্টলি মে মাসের ২ তারিখে এটা CRRC Nanjing  স্টেশন এ প্রথম হয়েছে । সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে যে বাইকটি রেসিং এর জন্যই তৈরী হয়ে এসেছে এবং রেসিং বাইক হিসেবেই ডিজাইন করা ।

Lifan KPR 150  বাইকটি সম্পূর্ণ এ্যারোডাইনামিক বডির সাথে ওয়াটার কুলড ইন্জিন নিয়ে এসেছে । ফলে আপনাকে অনেক হাই স্পীডে লং জার্নিতেও কোন চিন্তা করতে হবে না ইন্জিন এর তাপমাত্রা নিয়ে । বাইকটি একটা কুল এবং এগ্রেসিভ লুকের বাইক এবং বাইকটিকে দেখলেই একটা ফাইটার বলেই মনে হয় । এর রাভেন স্কালড প্রজেকশন হেডলাইট এবং পাইলট লাইট বাইকটিকে একটা এগ্রেসিভ মুড এনে দিয়েছে এবং একটা ইউনিক ডিজাইন এনে দিয়েছে ।

The Test Ride Review Of Lifan KPR 150


এটার বডি পার্টসগুলো বেশ পরিপাটি , মাসলড এবং সঠিকভাবে ভেন্টিলেটেড যেটা এর এ্যারোডাইনামিক বৈশিষ্ঠ আরও সম্প্রসারিত করেছে । বাইকটির বিশাল ফুয়েল ট্যাঙ্ক যেটাতে বেশ কয়েকটা স্টাইলিশ ডেন্ট(গর্ত) রয়েছে এবং স্লিম সাইড প্যানেল , রেয়ার প্যানেল এর সাথে বেশ কমফর্টেবল সিট বাইকটিকে বাজারের অন্যান্য সব স্পোর্টস বাইক থেকে আলাদা একটা ইম্প্রেশন দিয়েছে । বিশাল ডিস্ক ব্রেক , সামনের সেন্ট্রাল মনোশক এবজরভার শার্প এলইডি বাইকটির সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তুলেছে ।

বাইকটির লাইটের পাওয়ার অসাধারণ । আমরা মনে করি যে এটা বাংলাদেশের যেকোন বাইকের থেকে পাওয়াফুল হেডলাইট সেটাপ । কিছূ কারণে এটা KP মডেলের মত সেম ইনডিকেটর এবং টেইল লাইট রেখেছে ।

বাইকটির কন্ট্রোল কনসোল হল বাইকটির আরেকটি চমক । এটার একটা সম্পূর্ণ ডিজিটাল কনসোল রয়েছে যেখানে একটি এনালগ রেভ মিটার রয়েছে । এর ডিজিটাল কনসোলটি নীল এবং অরেঞ্জ কালারের যেটার ইনটেনসিটি চেঞ্জেবল । এই কনসোলটাতে আরও স্পীডোমিটার , ওোডামিটার , ট্রিম মিটার , গিয়ার ইনডিকেটর , ক্লক রয়েছে । এর ২ টা হ্যান্ডেডল বারই বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সুইচ দ্বারা সাজানো রয়েছে ।

ব্রেক এবং কন্ট্রোল:

আমরা বাইকটির কন্ট্রোলিং এ সম্পূর্ণ ইম্প্রেসড । আপনারা জানেন এটা একটা বেশ ভারী স্পোর্টস মডেলের বাইক । বাইকটির ১৫০ কেজি ওজন কম স্পীডে কন্ট্রোল করা সত্যিই একটু কঠিন , কিন্তু হাই স্পীডে ৭৭৫ মি.মি স্যাডল হাইটের সাথে বাইকটি কন্ট্রোল করাটাকে সহজ বলার থেকে মজার বলাটাই মনে হয় ভাল হবে । বাইকটির ব্রেকিং সিস্টেম হল খুবই শক্তিশালী । এটার সামনের ৩০০ মি.মি ডিস্ক ব্রেক এবং পেছনের ডিস্ক ব্রেক বাইকটিকে অনেক হাই স্পীডেও অনেক দ্রুত থামাতে পারে ।

এটার ব্রেকিং ক্যাপাসিটি চেক করার জন্য আমরা ১২০ কি.মি/ঘন্টা স্পীডে এর ২ টা ব্রেকই একসাথে পুশ করি । রাইডার কোন ক্রাসের জন্য প্রস্তুতই ছিল , কিন্তু বাইকটি কোন ঝামেলা ছাড়াই সাথে সাথে স্টপ হয়ে যায় । আমরা কর্নারিং এর সময় এবং বিবিন্ন কন্ডিশনের রোডে এটার ব্রেক চেক করেছি । Lifan KPR150 এর ব্রেকিং পাওয়ার আসলেই চমকে দেবার মত ।

Also Read: Top Lifan Bikes Under 2.5 Lakh At A Glance | BikeBD September 2023

যেহেতু Lifan KPR150  একটা রেসিং বাইক তাই এর স্টিরিং ও টার্নিং রেডিয়াস তুলনামূলকভাবে চিকন । হাই স্পীডে সেফটির জন্য রেসিং বাইকগুলোর স্টিরিং বেশ চিকন হয় আর একটা রেসিং বাইক হিসেবে এটাও তার ব্যাতিক্রম নয় । তাই , খুব বেশী ট্রাফিকের ভেতর এত ভারী একটা বাইক কন্ট্রোল করা আসলেই একটু ঝামেলা হয়ে যায় । এবং ৯০ ডিগ্রি এর থেকে কম কর্নারিং এর ক্ষেত্রে এবং পেছনে ঘোরার ক্ষেত্রে এটা নতুন রাইডারদের জন্য একটু ঝামেলাই হয়ে যায় ।

সাসপেনশন এবং কমফোর্ট:

আমরা টেষ্ট রাইডের সময় বাইকটিকে যথেষ্ট পরিমাণে এগ্রেসিভলি রাইড করেছি এটার সাসপেনশন চেক করার জন্য এবং এটার কমফোর্ট লেভেল চেক করার জন্য । আমরা এর ফলাফলে আসলেই সন্তুষ্ট । এটা একটা খুবই আরামদায়ক রেসিং মডেলের বাইক । আমাদের একজন টেষ্ট রাইডার যিনি মূলত যেসব বাইক বেশী কমফোর্টেবল সেগুলোই রাইড করে থাকেন , তিনি KPR  এর কমফোর্ট লেভেল নিয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট । আমার মনে হয আপনিও এটার কমফোর্ট নিয়ে কোন প্রশ্ন তুলবেন না । এটার ৩৭ মি.মি ফ্রন্ট টেলিস্কোপিক ফর্ক এবং পেছনের সেন্ট্রাল মনো শক এবসরবার এটাকে অনেক আরামদায়ক একটা বাইকে রূপ দিয়েছে । বাইকটির সিটিং পজিশন রাইডার এবং পেছনের সিটের যাত্রীর জন্যও অনেক আরামদায়ক ।

Lifan KPR150  এর সিটিং পজিশন স্পোর্টী এবং আপনাকে বাইকটি একটা রেসিং ভঙ্গিতে রাইড করতে হবে । এটার হ্যান্ডেল বার ক্লিপ টাইপের তাই এটা রাইডারকে এগ্রেসিভ রেসিং এটিট্যুড এনে দেয় । আপনি যদি রাইডিং পজিশন কমপেয়ার করেন তাহলে আমি এটাকে Honda CBR150  এবং Yamaha R15V2  এর মাঝামাঝি পজিশনে রাখব ।

ইন্জিন এবং পারফরমেন্স:

Lifan KPR150  বাইকটিতে একটি ১৪৯ সিসির ওয়াটার কুলড ইন্জিনন রয়েছে যেটার কম্প্রেশন রেশিও হল ১১:৪:১ । যেটা অনেক হাই একটা কম্প্রেশন রেশিও । আপনি হয়ত ধারণা করতে পারছেন যে এটার কম্বাশন পাওয়ার কতটা বেশী হবে এবং এর থেকে কী পরিমাণে পাওয়ার আউটপুট হবে । ওয়াটার কুলিং সিস্টেম থাকার ফলে ইন্জিন কোন অবস্থাতেই গরম হয়ে যাবার কোন চান্স নেই । এই ইন্জিন থেকে পাওয়ার ডেলিভারী হয় ৮৫০০ RPM এর কিন্তু সবথেকে আকর্ষণীয় বিষয়টি হল এর ম্যাক্সিমাম টর্ক হল ৬৫০০RPM , যার ফলে আপনি লোয়ার RPM এ স্পীড পেতে পারবেন এবং সেটাও ভাল মাইলেজের সাথে ।

Lifan KPR150  বাইকটিতে একটি ৬ স্পীড গিয়ারবক্স রয়েছে । আমরা টেষ্ট রাইডের সময় সব গিয়ারেই বেশ আরামদায়ক ও বাইকটিকে বেশ সহজেই কন্ট্রোল করতে সক্ষম হয়েছি । আপনি এটার যেকোন গিয়ারেই বাইকটিকে স্পীড আপ করতে পারেন এবং প্রতিটা গিয়ারই বেশ পাওয়ারফুল । এ্ই সুবিধাটা আপনি অন্য কোন স্পোর্টস বাইকে পাবেন কীনা  সেটা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে । তবে বাইকটি ফার্স্ট গিয়ারটা একটু অসুবিধার যেটাতে বাইক নিউট্রাল করতে আপনাকে একটু ঝামেলা পোহাতে হতে পারে ।

আপনার জন্য নোট: 

আমরা টীম বাইকবিডি থেকে বাইকটি রাসেল ইন্ডাট্রিজ এর মাধ্যমে বাংলাদেশে আসার পর থেকেই এটা টেষ্টিং শুরু করেছি । আমরা আমাদের রেগুলার টেষ্ট সিডিউল এর মাধ্যমেই বাইকটির বিভিন্ন বিষয়গুলো টেষ্টে করেছি । আমরা টেষ্টিং এর সময় দেখেছি যে এটার ইন্জিন টপ স্পীডেও সম্পূর্ণ ভাইব্রেশন ফ্রী এবং বাইকটির কন্ট্রোলও হাই কোয়ালিটির । আর ওয়াটার কুলড ইন্জিন থাকার কারণে ইন্জিন অতিরিক্ত হরম হবার কোন কারণই নেই ।


আমরা বাইকটি নিয়ে ১ কিলোমিটারের ভেতরই ১২২ স্পীড তুলেছি এবং এই সময় স্পীডোমিটারে স্পীড এর ডিজিট সবসময় বেড়ে চলা ছাড়া কোনসময় থেমে থাকেনি । বাতাসের বাধা বা প্রচন্ড বাতাস বা কোন যানবাহন ক্রস করার সময় কোনভাবেই এটার স্পীড কমেনি যতক্ষণ না আমরা এটার স্পীড কমিয়েছি । আর আমরা এই বাইকটির টপ স্পীড পেয়েছি ১৩০ কি.মি/ঘন্টা ।আমরা টেষ্টিং এর সময় এটা ক্লিয়ার হয়ে গেছি যে এটার এ্যারোডাইনামিক্সিটি অনেক বেশী এবং কাজের ।

Also Read: Lifan KPS150 রাসেল ইন্ডাস্ট্রি দিচ্ছে ডিস্কাউন্ট অফার !!!!

আমরা বাইকটির মাইলেজ পেয়েছি ৪০ কিলোমিটার/লিটার ।এটা আমরা একটা ট্রাকে কতটুকু রাইড করেছি এবং কতটুকু জ্বালানী লেগেছে এটার এভারেজ থেকে পেয়েছি ।

বাইকটির উপর আমরা যে কারণে খুশি:

  • সম্পূর্ণ নতুন এবং ভাল লুকের একটা স্পোর্টস বাইক । আমরা এর ট্রাকে টেষ্টিং রেকর্ড থেকে এটার উপর বিশ্বাস করা যথেষ্ট কারণ খুজে পেয়েছি ।
  • হাই স্পীডে অত্যান্ত স্টেবল এবং এটা নিয়ে আপনি এক্সট্রীম কর্নারিং এবং ব্রেকিং করতে পারবেন ।
  • বাইকের রাইডার এবং পেছনের যাত্রী ২ জনের জন্যই খুবই আরামদায়ক বসার সিট ।
  • অত্যান্ত ভাল পারফরমেন্সের এ্যারোডাইনামিক বডি , এটার কারণে বাইকটি হাই স্পীডে এবং অত্যান্ত বাতাসের চাপের ভেতরও অত্যান্ত স্টেবল ।
  •  হাইয়ার গিয়ারেও মারাত্মক এক্সেলেরেশন ।
  • ফ্লুরোসেন্ট এবং খুব উজ্জ্বল এলইডি হেডলাইট যেটা অত্যান্ত অন্ধকার রাস্তাকেও চরমভাবে আলোকিত করে তোলে ।

আমরা যে বিষয়গুলো খেয়াল করেছি :

  • বাইকটির এক্সেলেরেশন পাওয়ার অনেক বেশী কিন্তু টপ স্পীড তুলনামূলকভাবে কম । বাইকটি থেকে আরও বেশী স্পীড আশা করা যায় ।
  • এটা অনেক ভারী হবার কারণে বেশী ট্রাফিকের ভেতর এবং লো স্পীডে কন্ট্রোল করা একটু কষ্টকর ।
  • বাইকটি উচুনীচু বা খারাপ রাস্তায় এবং কাদামাটির ভেতর এটার বেশী ওজনের কারণে কন্ট্রোল করা একটু কষ্টকর । নতুর রাইডাররা এগুলো নিয়ে বেশ প্রবলেম ফেস করতে পারেন ।
  • প্রথম গিয়ারটা বেশ ঝামেলাপূর্ণ এবং আপনাকে বাইকটি নিউট্রাল করতে একটু ঝামেলা পোহাতে হতে পারে ।
  • সামনের চাকার ধূলাবালি প্রতিরোধের জন্য যে প্রটেক্টরটি রয়েছে যেটা অনেক ছোট । কাদামাটি এবং আবর্জনা সহজেই রেডিয়েটর এবং কুলিং সিস্টেমে লেগে যেতে পারে ।
  • বাইকটিতে একটি ট্রিম মিটার রয়েছে এবং সেটা ৯৯৯ কি,মি রাইডিং এর পর ০ হয়ে যায় । বাইকটিতে কোন টপ স্পীড রেকর্ডার নেই ।
  • হর্নটা অনেক সুন্দর কিন্তু এক্সট্রা হর্ন অথবা সিগন্যাল লাগানোর জন্য কোন জায়গা নেই ।
  • Lifan KP150 এর মত Lifan KP150 এর ও ইন্জিন অতিরিক্ত গরম হয়ে যাবার একটা সমস্যা আছে । যদিও এটা কোন বড় ইস্যু নয় এবং এটা বাইকের পারফরমেন্সে কোন প্রভাব ফেলে না ।

ওয়ার্ম আপ:

Lifan KPR150 এর সবকিছু একত্রে করলে দেখা যায় যে এটা প্রচন্ড পাওয়ারের সাথে একটা সুন্দর ও বেশ রহস্যময় বাইক । এটা টেকনিক্যাল ও কমফোর্টের দিক থেকে ইয়ামাহা ফেজার এবং R15 ভার্সন ২ এর মধ্যে রয়েছে ।

আমরা বাইকটির উপর টেষ্ট রাইড শেষ করা পর জাস্ট বাইকটি সম্পর্কে যা কিছু জানতে ও বুঝতে পেরেছি তাই এখানে লিখতে চেষ্টা করেছি । Lifan KPR150  কে আপনাদের সামনে সঠিকভাবে তুলে ধরতে আমরা আমাদের সবোর্চ্চ চেষ্ট করেছি । সবশেষে আমরা বলতে পারি যে এই দামের ভেতর এটা খুবই সুন্দর একটা স্পোর্টস বাইক এবং আমাদের দেশে এই টাইপের যে স্পোর্টস বাইকগুলো রয়েছে সেগুোলোর দাম আকাশছোয়া । আপনি যদি একটু কম বাজেটের ভেতর কোন স্পোর্টস বাইক কিনতে চান তাহলে Lifan KPR150  হবে আপনার প্রথম চয়েজ ।

আমরা Lifan KPR150  এর বিশ্বাসযোগ্যতা এবং স্থিতিশীলতা নিয়ে যথেষ্ট কনফিডেন্ট কারণ আমরা আগেও লিফান KP150 এর পারফরমেন্স ট্রাকে দেখেছি যেটা আপনারা নীচে থেকে দেখতে পারেন : previous track record of Lifan KP150 । আশা করি আপনারা আমাদের এই উদ্যোগে যথেষ্ট খুশি হয়েছেন এবং সঠিক তথ্য জানতে পেরেছেন ।

Lifan KPR150 এর টেকনিক্যাল ফিচার

EngineVertical Single Cylinder, Four Stroke, Water Cooled Engine
Displacement150cc
Bore x Stroke58.5mm x 58.8
Compression Ratio11.4:1
Maximum Power14.8 BHP @ 8500 RPM
Maximum Torque14 NM @ 6500 RPM
Fuel SupplyCarburetor
IgnitionCDI
Starting MethodElectric
Transmission6 Speed Gear, Hand Clutched
Dimension (Length x Width x Height)2060mm x 760mm x 1105mm
Wheel Base1330
Saddle Height775mm
Weight150 Kg
Fuel Capacity:14 Liters
Suspension (Front/Rear)37mm Telescopic/Adjustable Mono Shock Absorber
Brake system (Front/Rear)Both Hydraulic Disk
Rim (Front/Rear)Al-allow 17’
Tire (Front/Rear)Front 90/90-17, Rear 120/80-17, Both Tubeless
 Engine oil Grade : 15W40
SpeedometerFull Digital
Current Market PriceBDT 1,99,000.00

*All the specification and price is subject to change upon company rules, policy, offer & promotion. BikeBD is not liable for the changes.