মোটরসাইকেল টায়ার ও এর রক্ষণাবেক্ষণঃ কি করা উচিত আর কি নয় ?

This page was last updated on 09-Jan-2025 12:19pm , By Saleh Bangla

মানুষ তার ভুল থেকে শিখে এবং আমরা কিছু সময় ভুলটাকে নিয়ে পরিক্ষা করি। ২০১৪ সালের দিকে বাইকবিডি টিমের সকলে ভিন্ন ভিন্ন বাইকের জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ট্যুর এবং টেস্ট ড্রাইভ নিয়ে বেশ ব্যস্ত ছিল। ঐসময় আমরা মোটরসাইকেলের হুইল, টায়ার, এয়ার প্রেসার এবং অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে কিছু পরিক্ষা নিরিক্ষা করে অনেক কিছু জানতে পারি। সেই সব গুলোর মধ্যে থেকে আজকে আমরা মোটরসাইকেল টায়ার ও তার রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে কথা বলবো।      হুইল অনেক ধরণের হতে পারে; বাইকের জন্য রিম এবং টায়ার বাজারে পাওয়া যায় খুব সহজেই। সাধারণত রিমকে স্পোক ও অ্যালোয় এবং টায়ারকে ট্র্যাডিশনাল টায়ার ও টিউবলেস টায়ার হিসেবে ভাগ করা যায়। স্পোক রিমে টিউব টায়ার এবং অ্যালোয় রিমে টিউবলেস টায়ার ব্যাবহার করা হয়। এছাড়া কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য যেমন ওজন, এয়ার ফ্রিকশন, খরচ এর ক্ষেত্রে কোন রুলিং নেই। ফলস্বরূপ আপনি কিছু হাইটেক ডার্ট অথবা কাস্টম বাইকে টিউবলেস টায়ারে স্পোক রিম এবং কিছু লোয়ার এন্ড বাইক গুলোতে টিউব টায়ারে অ্যালোয় রিম দেখতে পারেন। আমরা এখানে সব ধরণের রিম, টায়ার এবং কিছু সাধারণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। 

Also Read: Timsun TS-659A 90/90-18 tyre price in Bangladesh

   মোটরসাইকেল টায়ার - রিম   আপনি স্পোক এবং অ্যালোয় রিম সম্পর্কে জানেন; উভয় তাদের সেগমেন্ট সফল এবং তাদের কাজ খুব ভালভাবে করছে। সুতরাং আমরা বিস্তৃত আলোচনার কথাটি এড়িয়ে যাবো, কারন এটি আরও বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে এবং ইঞ্জিন লোয়ার ডিসপ্লেসমেন্ট এর কারনে আমদের দেশে রিম কাস্টমাইজডও করতে পারি না। অতএব আসুন উভয় রিমের কিছু বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।   স্পোক রিম সাধারনত সলিড স্টিলের হয়ে থাকে।  বোল্ট-ওয়াসার এবং টিউবের মধ্যে রিম বেল্ট নামে একটি রাবার লাইন থাকে যেটা তাদের মধ্যে ঘসা খাওয়া থেকে বিরত রাখে। 

Also Read: Maxxis M6017 (100/90-17) Tyre Price In Bangladesh 

স্পোক টাইপ রিম গুলো এয়ার প্রুফ বানানো খুব কঠিন কারন স্পোক হোল্ড করার জন্য রিমে অনেক ভেন্ট থাকে।  এজন্য এয়ার লিকেজ থেকে প্রত্যেকটি স্পোক জয়েন্ট বন্ধ করা কঠিন। শুধু মাত্র কিছু দামি হাই এন্ড ডার্ট বাইক এবং কিছু কাস্টমাইজড চোপার এর  রিম গুলো টিউবলেস বানাতে বিশেষ ভাবে সিলিং করা হয়। এছাড়া সাধারন স্পোক রিমে ট্র্যাডিশনাল টিউব টায়ারই ব্যাবহার করা হয়। অন্যদিকে অ্যালয় রিমের বডি সম্পূর্ণ কোন লিক ছাড়া তৈরি করা হয় যেখানে বোল্ট বা ওয়াসার সাথে স্পোক যুক্ত করা থাকে না এবং শুধুমাত্র ৫-১২ অ্যালোয় আর্ম কাজটি ভালভাবে করে। তাই অ্যালোয় রিম টিউবলেস ও ট্র্যাডিশনাল টিউব টায়ার দুটোতেই ব্যবহার করা যায়। 

   কোনটি টায়ার ভালঃ স্পোক রিম গুলো ওজনে হালকা ও কম দামে পাওয়া যায় এবং হেভি ডিসটরসনও মেরামত করা যায় খুব সহজে। কিন্তু স্পোক জয়েন্ট ও টায়ার বেড গুলোতে সহজে জং ধরে যায় এবং টিউব ও টায়ারের দ্রুত লিকেজ করে।অন্য দিকে অ্যালোয় রিম সামান্য ভারী, বেশি দামের ও ভারী চাপ সহ্য করতে পারে কিন্তু এর প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এবং মেরামতযোগ্য নয়। কিন্তু এটি টায়ারকে ভালভাবে বেডেড রাখে। আপনি রিম এর কোন রক্ষণাবেক্ষণ ছাড়াই অনেকদিনের জন্য টিউব বা টিউবলেস টায়রা ব্যবহার করতে পারেন। 

   এখন যেই প্রশ্নটা আমরা এড়িয়ে যাই সেটা হচ্ছে কোন রিমটি আসলে ভালো এবং তার কোন ফিচারটার জন্য ভালো। সহজভাবে বলা যায়, স্পোক রিম গ্রাম্য এলাকা ও যেই রাস্তাগুলোতে চলতে হুইলে অনেক চাপ পরে সেগুলোর জন্য ভালো। যেহেতু স্পোক রিম বহুবার মেরামতযোগ্য তাই এটা হতে পারে পারফেক্ট চয়েজ। রেগুলার ট্র্যাক বাইক এবং হাই স্পিড হাই পারফরম্যান্স বাইক যেখানে টিউবলেস সেলফ সিলেন্ট টেকনোলজি সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে, সেইসব ক্ষেত্রে অ্যালোয় রিম উপযুক্ত। অ্যালোয় রিম ভারি বলে এটি বাইকের ব্যালেন্স ঠিক রাখে এবং একি সাথে ব্রেকিংয়ের কাজ করে। অতএব অধিকাংশ আধুনিক অন ট্র্যাক বাইকগুলি ফ্ল্যাট টিউবলেস টায়ারের সাথে অ্যালোয় রিম দেখতে পাবেন। 

     মোটরসাইকেল টায়ার - টিউব নাকি টিউবলেসঃ বর্তমানে রাস্তাঘাটে আপনারা যেসব বাইক দেখেন তার অধিকাংশই টিউবলেস টায়ার। টিউবলেস বলতে বুঝায় এর ভিতর কোন টিউব থাকে না, বাতাস এর টায়ার ও রিম ধরে রাখে। যেহেতু আপনি প্রচলিত টিউব টায়ার সম্পর্কে যথেষ্ট পরিচিত তাই আবার সেই ব্যাপারে আর আলোচনা না করে দেখা যাক টিউবলেস টায়ার গুলোর উপকারিতা কি এবং টিউব টায়ার গুলো থেকে ভালো কিনা? হ্যাঁ, টিউবলেস টায়ার হাই স্পিড অন ট্র্যাক বাইকগুলোর জন্য ভালো। আসুন এর কারণগুলো দেখে আসি-

  • টিউবের প্রয়োজন নেই।
  • টিউব, রিম বা স্পোক জন্য কোন রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন পরে না।
  • হাই স্পিডে টায়ার চেপটা হয়ার কোন সুযোগ নেই যেটা কিনা বাইক স্কেডিং ও দুর্ঘটনা থেকে বাঁচায়।
  • লিকেজ সহজে মেরামতযোগ্য এবং মাঝে মধ্যে হুইল খোলার প্রয়োজনও পরে না।
  • সেলফ সেলিং সম্ভব।
  • বেশিরভাগ সময় খেলাধুলার জন্য টায়ার মেরামত করার প্রয়োজন হয় না।
  • ঝঞ্ঝাট বিহীন এবং রক্ষণাবেক্ষণের চাপ নেই।

মোটরসাইকেল টায়ার - মেরামত পদ্ধতিঃ  টায়ার মেরামতের জন্য কমন পদ্ধতি যেমন হুইল ডিসব্যান্ড করা, রিম থেকে টায়ার সরানো, টিউব টেনে আনা, লিকেজ বের করা, লিকের স্পটকে মসৃণ করা এবং একই সাথে ভোলকাইজ করা, টায়ার চেক করা, শার্প এন্ডের জন্য রিম চেক করা, ফাটলের জন্য রিম বেল্ট চেক করা, টায়ারে এবং হুইল মেকানিজম পুনর্বিন্যস্ত করা, টিউবলেস টায়ারগুলোতে এইসব ঝঞ্ঝাট পোহাতে হই না। এবং বেশিরভাগ সময় স্পট নেভিগেশন লিক মেরামত প্রয়োজন পরে না।

   আপনি বিভিন্ন উপায়ে টিউবলেস টায়ার মেরামত করতে পারেন। আপনি সেলফ সিলেন্ট জেল লেয়ার ব্যবহার করতে পারেন, টায়ার ডিসবেন্ডিং বা হুইল মেরামতও করতে পারেন। চলুন সেগুলো আলোচনা করা যাক। মোটরসাইকেল টায়ার - রক্ষনাবেক্ষনসেলফ সেলিং- বিদেশের মার্কেটে সেলফ সিলিং ব্যাপক ভাবে ব্যবহার করলেও বিডি মার্কেটে পাওয়া যায় না। কিন্তু কিছু মোটরবাইক কোম্পানি আছে যারা বাংলাদেশে সেলফ সিলিং টায়ার শুধুমাত্র তাদের বাইকের সাথে বিক্রি করে। (যেমন-UM Motorbikes)। সেলফ সিলিং টায়ারে খুব নরম রাবারের লেয়ার থাকে যা লিকেজ সাথে সাথে বন্ধ করে সীলও করে দেয়। সেলফ সিলিং টায়ারে খুব নরম রাবারের লেয়ার থাকে যা কিনা লিকেজকে সহজেই জ্যাম করে সিল করে দেয়।  টিউবলেস টায়ারের জন্য সেলফ সিলেন্ট জেল পাওয়া যায় বাজারে, কিন্তু লিকেজ দূর করার জন্য এটি কোন স্থায়ী সমাধান নয়। হাইস্পিড অথবা খারাপ ওয়েদার চালানোর সময় হইতো ফেটে যেতে পারে। তাই যখনি আপনি সময় পাবেন, লিকেজ মেরামত করিয়া নিবেন। 

   কনভেন্সনাল সিলিংঃ এটি সব ধরণের টায়ার লিকেজের জন্য স্থায়ী সিলিং সিস্টেম। এবং আপনি জানেন যে সিলিং এর জন্য ঘটিত দুর্ঘটনা থেকে বাঁচার সবচে নিরাপদ পদ্ধতি। সুতরাং আপনার অবসর সময়ে টায়ারের ভিতরে সিলিং মানে ভলকানাইজিং করুন। পাঞ্চ সিলিং: পাঞ্চ সিলিংএর মাধ্যমে টিউবলেস টায়ার মেরামত করা যায় যেটা কিনা হুইল মেকানিশম ছাড়াই। শুধু যেই নেইলটাতে তে সমস্যা সেটাকে টেনে বের করুন, ট্রিম করে এবং সেই ভেন্টের সাথে নেইলটা পরিস্কার করুন, সিলিং প্লাগে আঠা দিয়ে  ভেন্টটি ভিতরে ঠেলে দিন। এটি সবচেয়ে সহজ এবং ঝামেলা মুক্ত সিলিং টেকনিক।  কিন্তু সত্যিকার অর্থে এটি তেমন নির্ভর যোগ্য টেকনিক না, কারন বাইকাররা যখন গ্রীষ্মকালে কয়েক ঘণ্টার জন্য একটানা বাইক চালায় অথবা অসমতল রাস্তায় বাইক চালায় তখন এটি ফেটে যেতে পারে। এই ধরণের সিলিং টায়ারের তাপমাত্রা বেশি হওয়ার ফলে অথবা এয়ার প্রেসার বেড়ে গিয়ে বের হয়ে আসে এবং ক্রমাগত ফ্রিকশনের ফলে গলে যায়। সুতরাং আপনি যখন জরুরী অবস্থায় পড়বেন শুধুমাত্র তখনই টেম্পোরারি সমাধানের জন্য পাঞ্চ সিলিং আপ্লাই করতে পারেন। 

কোনটি ভাল টেকনিক? ট্র্যাডিশনাল সিলিং অনেক সময় সাপেক্ষ এবং ঝঞ্ঝাটপূর্ণ, কিন্তু টায়ার বা টিউবের লিকেজ সিলিঙ্গের জন্য এটি সবচে নির্ভরযোগ্য টেকনিক। সেলফ সিলিং ও পাঞ্চ সিলিং কোন ঝামেলা ছাড়াই টেম্পোরারি সিলিং হিসেবে কাজ করে এবং এটি 2 mm নীচে লিকেজের জন্য প্রযোজ্য। কিন্তু এর একটা খারাপ দিক হচ্ছে, লিকেজ সবসময় একি সাইজের হয় না, কারন তাপমাত্রা ও প্রেসার বেড়ে যাওয়ার কারনে পাঞ্চ প্লাগ ফেটে যেতে যায়। আর পুরানো টায়ার ব্যাবহার করার ফলে অনেক সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যায়। ন্সুতরাং যখন আপনি এই ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হবেন তখন সিলিং এর এই টেকনিক অ্যাপ্লায় করতে পারেন। 

   মোটরসাইকেল টায়ার - গুরুত্বপূর্ণ! রিকমেন্ডড পিএসআই: আশ্চর্যজনকভাবে সাইকেল ব্যবহারকারীদের মধ্যে টায়ারের বায়ু চাপ সম্পর্কে কিছু বিভ্রান্তি এবং ভুল বোঝাবুঝি রয়েছে। তাদের বাইকের টায়ারের জন্য সঠিক পিএসাই (পাউন্ডস পার স্কয়ার ইঞ্চি) কত সেটি বুঝতে পারেন না। পিএসাই সম্পর্কে সঠিক ইনফরমেশন গুলো ম্যানুয়ালে দেওা থাকে, কিন্তু বাইকাররা সেটা অনেক সময় ভুলে যান।  এবং তারা এই বিভ্রান্তিতে থাকেন যে বাইকে যথেষ্ট এয়ার প্রেসার নেই যার কারনে তারা দরকারের থেকে বেশি পিএসাই নেন। ফলস্বরূপ তারা তুলনামূলকভাবে চমৎকার এক্সেলেরেসন পেলেও দুর্ভাগ্যবশত খারাপ সাস্পেন্সন, ঝুঁকিপূর্ণ ব্রেকিং, হঠাৎ skidding এবং অবশ্যই ক্ষনস্থায়ী টায়ার ইত্যাদি আর অনেক সমস্যার সম্মুখীন হোন। কর্নারিং ও তারা ভালভাবে করতে পারেন না। 

 সুতরাং দরকারের চেয়ে অতিরিক্ত পিএসাআই না নেয়াই ভাল। আপনার টায়ারের যতটুক প্রয়োজন পিএসআই সেইতুকুই রাখুন। কাউকে না বার বার জিজ্ঞেস না করে, আপনার ম্যানুয়াল, টায়ার ওয়াল অথবা সুইং আর্মে দেখে নিতে পারবেন। সঠিক PSI সেখানে উজ্জ্বলভাবে চিহ্নিত করে দেওয়া থাকে। সঠিক এয়ার প্রেসারে আপনি সর্বোত্তম সাসপেনশন, ব্রেকিং পাওয়ার, স্কিড ফ্রি কর্নারিং এবং নিরাপদ ও দীর্ঘমেয়াদি টায়ার পাবেন। 

   মোটরসাইকেল টায়ার - প্রতিস্থাপন:  এটি সত্যিই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।অনেকেই টায়ার রিপ্লেস্মেন্টের বিষয়টি গুরুত্ব দেন না। কিন্তু আপনাকে জানতে হবে যে প্রত্যেক বস্তুর নিজস্ব জীবনকালের মেয়াদ থাকে যা শেষ হয়ে গেলে সে তার স্বভাব হারায় এবং কিছু সময় পর নিরাপদ সীমার বাইরে চলে যায়। হয়তো টায়ারটি দেখতে নতুনের মতই রয়ে গেছে কিন্তু তার মেয়াদ শেষ সেক্ষেত্রে এটি আপনার জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। সুতরাং আপনাকে এই বিষয় গুলোতে সতর্ক থাকতে হবে।  বেশি ব্যবহার না করা হলেও প্রতি চার বছর পর পর টায়ার চেঞ্জ করা উচিত। টায়ার সম্পর্কিত সব ধরনের ইনফরমেশন আপনি TWI (টায়ার অয়ের ইনডিকেটর) অথবা বাইক ওনার ম্যানুয়ালে পেয়ে যাবেন। 

   মোটরসাইকেল টায়ার - কি করা উচিত  আমরা টায়ার ও চাকার সাথে সম্পর্কিত কিছু সাধারণ সমস্যাগুলির সমাধান করার চেষ্টা করেছি। আসুন আমরা আরো কিছু বিষয় জেনে নেই যা আমাদের অনুশীলন করতে হবে।

  • আপনার বাইকে হইত স্পোক রিম থাকতে পারে, যদি হয় তাহলে রিমের ভিতরে সিনথেটিক প্রাইমার কালার কোট এবং পরে সিনথেটিক অথবা এনামেল পেইন্ট করে দিন। এটি আপনার রিমকে যেজেমোযেমন ভালো রাখবে, তেমনি বৃষ্টির সময়ে লিকিং থেকে বাচাবে।
  • আপনি যদি চান তাহলে অ্যালয় রিমের জন্যও উপরে লিখা কালার কোটটি ব্যবহার করতে পারেন, কিনতি কিছু কিছু লিকুয়েডের ক্যমিকাল প্রতিক্রিয়ার ফলে রিমের ক্ষতি হতে পারে।
  • সলিড এয়ারের বদলে নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করুন। কারন সলিড এয়ারের তুলনায় নাইট্রোজেন গরমের মধ্যে খুব অল্প পরিমাণে বৃদ্ধি পায়।
  • রিম বেল্ট চেক করুন এবং এটি পুরানো হয়ে একি রকম একটি কিনুন। নিরাপত্তার জন্য মোটা এবং পুরু বেল্ট ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
  • লিকেজ যদি 2mm এর বেশি হয়, এবং পাঞ্চ সিলিং দিয়ে মেরামত করে থাকেন তাহলে আপনার অবসর সময়ে টায়ারে আবার সিল করুন। আপনার নিরাপত্তার জন্য এটি বাধ্যতামুলক।
  • দীর্ঘ যাত্রার সময় একটি অতিরিক্ত টিউব সাথে রাখুন। এটি অবাঞ্ছনীয় পরিস্থিতিতে আপনাকে সাহায্য করবে।
  • অফ-ট্রেকে চলার সময় তাত্ক্ষণিক টায়ার মেরামতের কিট রাখুন।

   কি এড়িয়ে চলতে হবে?

  • টিউব টায়ারে সেলফ সিলিং জেল ব্যাবহার করবেন না। 5-2.5mm পাতলা টিউবের জন্য এটি খুব বেশি নির্ভরযোগ্য না।
  • দীর্ঘ যাত্রার সময় শুধু মাত্র সেলফ সিলিং এর উপর নির্ভর করবেন না।
  • অস্থায়ী সমাধান এড়ানোর চেষ্টা করুন এবং তার বদলে টিউব ভল্কানাইযিং অথবা টায়ারে প্লাগ সিলিং করুন।
  • স্পোক রিমে টিউব লেস মেকানিসম চালাবেন না। কারন স্পোক রিমে এটি নির্ভর যোগ্য না এবং রাস্তায় দুর্ঘটনা হতে পারে।
  • কখনোই শুধু টিউব সরিয়ে দিয়ে হুইল টিউবলেস বানাতে যাবেন না। টিউব লেস টায়ার টিউব লেস হুইলই ব্যাবহার করা যায়। টিউব সরিয়ে ফেললে টিউবলেস হুইল প্রকৃত পারফরম্যান্স দেয় না। এটা কখনও করবেন না।
  • এয়ার প্রেসার প্রয়োজনের চেয়ে বেশি দিবেন না।
  • কোন অবস্থায়ই অ্যালয় রিম মেরামত করার চেষ্টা করবেন না। শুধু রিপ্লেস করে দিন।
  • হুইল, রিম ও টায়ার নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করা থেকে বিরত থাকুন

   আমরা "মোটরসাইকেল টায়ার ও রক্ষণাবেক্ষণ" আর্টিকেলে কিছু মৌলিক তথ্য দিতে চেষ্টা করেছি। আশা করি এটি আপনার জন্য সহায়ক হবে। মনে রাখবেন, হুইল এবং টায়ার আপনার বাইকের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল অংশ যা আপনার নিরাপত্তার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত। সেই কথাটি মাথায় রেখে সব সময় ওনার ম্যানুয়াল ফলো করুন। আমাদের সাথে আপনার মতামত এবং অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন আমাদের কমেন্ট বক্সে। ধন্যবাদ।

Latest Bikes

EVE E-Motorcycle

EVE E-Motorcycle

Price: 95000

EVE E-Scooter

EVE E-Scooter

Price: 85000

Revoo C32

Revoo C32

Price: 139900

View all Sports Bikes

Upcoming Bikes

TVS Ntorq 125 Fi

TVS Ntorq 125 Fi

Price: 229900

TVS Raider 125 Fi

TVS Raider 125 Fi

Price: 189900

Maxivo DK 350S

Maxivo DK 350S

Price: 0

View all Upcoming Bikes