Bajaj Discover 110 অর্ধ লক্ষ কিলোমিটার রাইড রিভিউ - ফারুক
This page was last updated on 31-Jul-2024 10:19am , By Raihan Opu Bangla
আমি মুহাম্মদ ওমর ফারুক । আমি চট্টগ্রাম নাছিরাবাদ এর বায়েজিদ উপজেলার টেক্সটাইল গেইট এর অধীনস্থ কলাবাগান জেড এ আবাসিক এলাকায় বসবাস করি। আমি একটি Bajaj Discover 110 বাইক ব্যবহার করি ।
Bajaj Discover 110 অর্ধ লক্ষ কিলোমিটার রাইড রিভিউ
বাইকটি আমার জীবনের প্রথম বাইক। বাইক ভালোবাসি এর পেছনে অনেকগুলো কারন রয়েছে , চেষ্টা করবো এই কারন গুলো আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করার ।
আমি আমার এই Bajaj Discover 110 বাইকটা বেছে নেওয়ার কারন হলো - এলাকার একজন বড় ভাইয়ের কাছ থেকে এক্সট্রা সুবিধার মাধ্যমে বাইকটি ক্রয় করার সামর্থ্য হয় আমার।
আমি সেকেন্ড হ্যান্ড বাইকটি ক্রয় করি, তো আমার কাছে তখন বাইকটি কেনার জন্য পুরো টাকা হাতে রেডি ছিল না, তাই ভাইয়াকে অল্প অল্প করে টাকা গুলো পরিশোধ করার সুযোগ থাকার কারনে বাইকটি ক্রয় করি আমি।আর বাইকটি আমার কর্ম জীবনের একটি অংশ, কারন আমি পাঠাও কুরিয়ার অফিস এ চাকরি করি, আর বাইকটার মাধ্যমেই আমি আমার কাজগুলো খুব সহজেই করতে পারি।
আমি সেকেন্ড হ্যান্ড বাইকটি ক্রয় করি, তখন আমি ৬৭ হাজার টাকায় বাইকটি ক্রয় করি। আর বাইকটি আমি আমার পরিচিত এক বড়ভাই এর কাছে থেকে ক্রয় করি।
বাইকটি আমার এক পরিচিত বড়ভাই এর কাছ থেকে ক্রয় করি, তখন বাইকটি আমার এলাকায়ই ছিল, তবে মনের মধ্যে একটা অনুভুতি কাজ করছিল যে আমার জীবনের প্রথম বাইক তাও আবার আমার নিজের উপার্জনের টাকায়।
Bajaj Discover 110 বাইকটা আমি ক্রয় করার পর কয়েটি সার্ভিসিং করেছি, প্রথমত আমি একই গ্যারেজে রেগুলার সার্ভিস করাই ।
আমি যখন বাইকটি ক্রয় করি তখন বাইকটি ৩০ হাজার কিলোমিটার রানিং ছিল। আমি মাইলেজ পাচ্ছি ৪৫-৫০। আমার বাইকের ইঞ্জিন অয়েল প্রতি মাসে পরিবর্তন করি।
আমি আমার বাইক প্রতি তিন দিন পর পর ওয়াস করে থাকি। আর ওয়াসের পর আমি স্প্রে ব্যবহার করি। আমি আমার বাইকে সবসময় Super V এর 20W50 গ্রেড এর ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করি যার বর্তমান দাম ৫১০ টাকা।
আমি আমার বাইকের পার্টস পরিবর্তন করেছি অনেকবার। যেমন - চেইন স্প্রোকেট সেট ( দুইবার), হেডলাইট, হর্ন সুইচ এর পুরো সেট, সেলফ সুইচ।এই পার্টস গুলো পরিবর্তন করার কারন হলো, চেইন পিনিয়াম স্প্রোকেট ক্ষয় হয়ে যাওয়া, হর্ন সুইচ কাজ না করার কারনে পরিবর্তন করি , সেলফ সুইচ এর কার্বন এ সমস্যা দেওয়ার কারনে পরিবর্তন করি।
বাইকটি মোডিফাই করার ইচ্ছে রয়েছে, তবে এখন পর্যন্ত শুধু হ্যান্ডেল পরিবর্তন করেছি। চিন্তা আছে আরো কিছু অংশের মোডিফাই করার।
চট্টগ্রাম পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এ যাওয়ার সময় পোর্ট কানেক্টিং রোডে বাইকটিতে সর্বোচ্চ স্পীড পেয়েছি ৮০।
Bajaj Discover 110 বাইকটির কিছু ভালো দিক -
- বাইকটির পার্ফরমেন্স খুব ভালো
- মাইলেজ ভালো পাচ্ছি।
- স্পীডে ভালো ব্যালেন্স পাই।
- ব্রেকিং খুব ভালো ।
- সব খানেই বাইকটির পার্টস পাওয়া যায়।
Bajaj Discover 110 বাইকটির কিছু খারাপ দিক -
- বৃষ্টিতে পানি লাগলে ব্রেকিং এর সময় শব্দ হয়, যা খুব বিরক্ত লাগে।
- শীত এর সময় ব্যাটারি দুর্বল হয়ে যায়, স্টার্ট নিতে চায় না।
- পেছনের ব্রেক লাইট যতবার নতুন লাগিয়েছি, কিছুক্ষণ পরে আবার নষ্ট হয়ে যায়।
- গাড়ি ওয়াস করলে অনেকক্ষণ কিক করার পর স্টার্ট নেয়।
- হেডলাইটের আলো হাইওয়ে রাইডের জন্য যথেষ্ট নয় ।
বাইকটি দিয়ে সর্বোচ্চ লম্বা সফর ছিল, চট্টগ্রাম শহর থেকে সিন্দুকছড়ি রোড ঘুরাঘুরি করে রামগর হয়ে বারইয়ারহাট হয়ে আবার নিজ গন্তব্যে আসা। ট্যুরটি ছিল অসাধারণ এক অভিজ্ঞতার। অনেককিছু শিখেছি এই ট্যুর এর মধ্যে এবং অনেক আনন্দ করেছি।সবশেষে বাইকটি নিয়ে একটি কথাই বলবো, আমি আমার সামর্থ্যের মধ্যে সেরা একটি বাইক ক্রয় করেছি, যেটার উপর আমি শুকরিয়া জ্ঞাপন করি সবসময়।
Bajaj Discover 110 বাইকটা সত্যিই অসাধারণ। যারা ব্যবহার করে তারাই বলতে পারবে এটির সম্পর্কে। ইনশা আল্লাহ চেষ্টা করছি আরো ভালো একটি বাইক ক্রয় করার। আল্লাহ তৌফিক দান করুক। ধন্যবাদ ।
লিখেছেনঃ মুহাম্মদ ওমর ফারুক
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।