KTM এর যে বাইকগুলো আসতে পারে বাংলাদেশের বাজারে - বিস্তারিত
This page was last updated on 18-Jul-2024 08:44am , By Raihan Opu Bangla
৩৫০ সিসির পারমিশন পেলে নতুন নতুন সব বাইকের দেখা আমাদের দেশেও পাওয়া যাবে। KTM বাইরের দেশগুলোতে বেশ জনপ্রিয়, কিন্তু আমাদের দেশে কেটিএম বাইক খুব বেশি দেখা যায় না। Runner Automobiles Ltd এর লাইন আপে যুক্ত হতে চলেছে বিশ্বের অন্যতম ব্র্যান্ড KTM ।
KTM এর যে বাইকগুলো আসতে পারে বাংলাদেশের বাজারে - বিস্তারিত
৩৫০ সিসির অনুমতি পেলে কেটিএম এর যেসব বাইক আমাদের দেশে আসতে পারে এবং কি কি আছে এই বাইকগুলোতে আজ এই নিয়ে আপনাদের সামনে আলোচনা করবো।
KTM এর যে বাইকগুলো আসতে পারেঃ
১- KTM 200 DUKE
কেটিএমের Duke আন্তর্জাতিক বাজারে অনেক বেশি জনপ্রিয়, কিন্তু আমাদের দেশে সিসি লিমিট থাকার জন্য Ktm 200 DUKE বাইকগুলো দেখা যায় না। কিন্তু আমরা আশাকরি সিসি লিমিট ৩৫০ করে দিলে এই বাইকগুলো আমরা দেখতে পাবো।
বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে 199.5 cc এর লিকুইড কুলড ইঞ্জিন, যার ম্যাক্সিমাম পাওয়ার 26Hp। ব্রেকিং সিস্টেমে রয়েছে সিংগেল চ্যানেল BOSCH ABS । বাইকটির সামনে ব্যবহার করা হয়েছে 110/70 x 17 সেকশন টায়ার এবং পেছনে ব্যবহার করা হয়েছে 150/60 x 17 সেকশন টায়ার এবং উভয় চাকা টিউবলেস।
২- KTM 250 DUKE ( BS6 )
বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে 248.8 cc লিকুইড কুলড ইঞ্জিন, যার ম্যাক্সিমাম পাওয়ার 30 PS @ 9000 rpm এবং ম্যাক্সিমাম টর্ক 24 Nm @ 7500 rpm । ব্রেকিং সিস্টেমে যুক্ত রয়েছে Dual Channel ABS । বাইকটির চ্যাসিস হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে Split Steel Trellis Frame । বাইকটির সামনে ব্যবহার করা হয়েছে 110/70-17 সেকশন টায়ার এবং পেছনে ব্যবহার করা হয়েছে 150/60-17 সেকশন টায়ার এবং উভয় চাকা টিউবলেস।
৩- KTM 250 ADVENTURE ( BS6 )
এই বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে 248.76 CC এর সিংগেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন , ইঞ্জিনটির ম্যাক্সিমাম পাওয়ার 30 PS @ 9000 rpm এবং ম্যাক্সিমাম টর্ক 24 Nm @7500 rpm । বাইকটির ওজন ১৭৭ কেজি এবং ব্রেকিং সিস্টেমে রয়েছে Dual Channel ABS । বাইকটির সামনে ব্যবহার করা হয়েছে 100/90-19 সেকশন টায়ার এবং পেছনে ব্যবহার করা হয়েছে 130/80-17 সেকশন টায়ার।
৪- KTM 250 EXC-F 2021
বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে 249.91 সিসির ৪ স্ট্রোক ইঞ্জিন। বাইকটিতে ইলেক্ট্রিক স্টার্ট রয়েছে কিন্তু কিক স্টার্ট নেই। ২৫০ সিসির বাইক হলেও বাইকটির ওজন 103 কেজি। বাইকটিতে উভয় চাকায় ডিস্ক ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে।
৫- KTM 250 SX-F
বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে 249.9cc এর লিকুইড কুলড ইঞ্জিন , সাথে রয়েছে ৫ স্পীড গিয়ারবক্স। বাইকটির সামনে ব্যবহার করা হয়েছে 80/100-21 সেকশন টায়ার এবং পেছনে ব্যবহার করা হয়েছে 110/90-19 সেকশন টায়ার। বাইকটির ওজন মাত্র ৯৯ কেজি।
৬- KTM RC 200
বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে 199.5 cc এর লিকুইড কুলড ইঞ্জিন। ইঞ্জিনটির ম্যাক্সিমাম পাওয়ার 24.6 bhp @ 10,000 rpm এবং ম্যাক্সিমাম টর্ক 19.2 Nm @ 8,000 rpm । বাইকটিতে ৬ স্পীড গিয়ারবক্স রয়েছে। বাইকটির ফুয়েল ট্যাংক ক্যাপাসিটি ৯.৫ লিটার, এবং বাইকটির মাইলেজ 30 kmpl । বাইকটিতে সামনের দিকে ব্যবহার করা হয়েছে USD সাসপেনশন এবং পেছনের দিকে Monoshock সাসপেনশন।
বাইকটির ওজন ১৬০.৬ কেজি। আন্তর্জাতিক বাজারে KTM এর অনেক মডেল আছে, যার অধিকাংশই আমাদের কাছে অপরিচিত। ৩৫০ সিসির অনুমতি দিলে আমরা আশাকরি কেটিএমের বেশ কিছু মডেল আমরা বাংলাদেশের বাজারে পাবো।