Bajaj Pulsar 150 সাধ্যের মধ্যে স্বপ্ন পুরন করে আসছে - ফারুক
This page was last updated on 15-Jul-2024 05:00pm , By Raihan Opu Bangla
আমি মোঃ ফারুক হোসেন। বর্তমানে বসবাস করতেছি মুড়াপারা- রূপগঞ্জ-নারায়ণগঞ্জ। আমি একটি Bajaj Pulsar 150 বাইক ব্যবহার করছি । বাইকটি নিয়ে আমি আমার কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো ।
Bajaj Pulsar 150 সাধ্যের মধ্যে স্বপ্ন পুরন করে আসছে
বর্তমানে আমার Bajaj Pulsar 150 বাইকটি ৫৫০০ কিলোমিটার রানিং । একজন তরুন হিসেবে আমি অনেক আগে থেকেই মোটরসাইকেলের একজন ভক্ত, স্কুলে পড়ার সময়েই আমি বাইক চালান শিখেছিলাম তাই এখন পর্যন্ত অনেক ধরনের বাইক চালানোর অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে।
কিন্তু আমি কখনোই পরিপূর্ণ তৃপ্ত হতে পারিনি কারণ আমার নিজের কোন বাইক ছিল না । মনের মধ্যে রাখা এই ইচ্ছাটা বাস্তবে নিয়ে আসি নিজের কর্মের দ্বারা এবং নিজের টাকায় গত আগষ্ট ২০১৯ সালে। নতুন ব্রান্ড নিয়ে তেমন আগ্রহ আমার ছিল না তাই সবার অতি পরিচিত Bajaj Pulsar 150 সিসি বাইকটা আমি পছন্দ করি, এবং ক্রয় করি ।
Bajaj Pulsar 150 এমন একটি মোটরসাইকেল যা একই মডেল নিয়ে বছরের পর বছর ব্যবসা করছে । এই বাইক যারা ব্যবহার করে তাদের কাছ থেকে খুব বেশি অভিযোগ করতে শোনা যায় না । আর আমি নিজেও বাইক কেনার আগে এই বাইক অনেকবার চালিয়েছি।
আমার কাছে এই মোটরসাইকেলটা ১৫০ সিসি সেগমেন্টে এবং আমার বাজেট বিবেচনায় সেরা বলে মনে হয়েছে। আমি চাকুরী করি এবং আমার চাকুরীর জন্য আমাকে বাড়ি থেকে দূরে থাকতে হয়, আর দুই ঈদে বাড়িতে যাওয়া আসার সুবিধার্থে আমার একটি বাইকের খুব দরকার ছিল যার জন্যে এই বাইকটা আমাকে সকল দিক দিয়ে অনেক সহায়তা করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
Bajaj Pulsar 150 Twin Disc First Impression Review In Bangla – Team BikeBD
এক বছর তিন মাস যাবত আমি এই বাইকটা ব্যবহার করছি এবং এই সময়ের মধ্যে আমি প্রায় ৫৫০০ কিলোমিটার চালিয়েছি। এই সময়ের মধ্যে আমার এই বাইকটি থেকে ভালো খারাপ অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে ।
Bajaj Pulsar 150 বাইকের কিছু ভালো দিক-
- এই বাইকের সিটিং পজিশন এবং হ্যান্ডেলবারের মধ্যে অসাধারণ একটা সমন্বয় রয়েছে যা আমাকে যেকোন দুরুত্ব অতিক্রমে অনেক সহায়তে করে থাকে।
- সিঙ্গেল ডিস্ক ব্রেকিং হলেও এর কন্ট্রোল আমার কাছে খুব সহজ এবং এই কারনে আমি যেকোন রাস্তায় বা যেকোন দুরুত্ব অতিক্রমে কোন সমস্যা বোধ করি না বরং স্বাচ্ছন্দ্যে বাইক নিয়ে বের হয়ে যাই।
- দুরের পথে এই বাইকটা আমার দেখা সবচেয়ে ভাল বাইকের মধ্যে একটি কারন আমি যতই গতি উঠায় না কেন, এই বাইকে আমি কোন ধরনের ভাইব্রেশন অনুভব করি নাই ।
- সাসপেনশন এর পারফরমেন্স উল্লেখ করার মতো কারন বাইকের ওভার অল পারফরমেন্স এর সাথে তুলনা করলে সাসপেনশনের কথা অবশ্যই আমাকে উল্লেখ করতে হবে।
- একইসাথে এর লুকটা অন্য সকল বাইক থেকে আলাদা এবং এক অর্থে অনন্য কারন কোন রকম পরিবর্তন বা পরিমার্জন ছাড়াই সামান্য কিছু রঙ এর পরিবর্তন দিয়ে এই বাইকটা অনেক বাইকারের স্বপ্ন পুরন করে আসছে
অন্যদিকে খারাপ নিয়ে বলতে গেলে আমি সরাসরি খারাপ বলার মত এখনও কোন দিক খেয়াল করতে পারিনি তবে আমার মনে হয় হেডলাইটের আলো কিছুটা কম। যদিও এইটা কোন সমস্যা মনে হয় না আমার কাছে কিন্তু একটা এলইডি লাইট লাগালে এই বাইক একেবারে পারফেক্ট একটা বাইক হবে।
১৫০ সিসির আরও অনেক বাইক রেখে কেন আমি Bajaj Pulsar 150 সিসি সিঙ্গেল ডিস্ক মডেলের বাইক পছন্দ করলাম? যেমনটা আমি পুর্বেই উল্লেখ করেছি যে পালসার বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় বাইকগুলার মধ্যে একটি এবং এমন একটা বাইক যার ওপর কোন রকম সন্দেহ ছাড়াই ভরসা করা যায়। আবার এই বাইকে নতুন করে রঙ এর বৈচিত্র দেওয়া হয়েছে যা সহজেই যে কারও নজর কাড়তে সক্ষম।
আমি ১৫০সিসি সেগমেন্টের অনেক বাইক চালিয়েছি সেগুলার মধ্যে বাজাজ পালসার সিরিজের সিংগেল ডিস্ক মডেলটা আমার কাছে বাজেট এবং পারফরমেন্সের দিক দিয়ে সবচেয়ে ভালো বলে মনে হয়েছে। অন্যদিকে মাইলেজ নিয়ে বিস্তারিত বলতে গেলে আমি বলতে চাই যে আমি আমার বাইকে অন্যান্য ১৫০সিসি বাইকের থেকে বেশ ভাল মাইলেজ পাচ্ছি এবং এই কারনে পথের দুরুত্ব আমার কাছে কোন দুরুত্ব বলে মনে হয় না।
বর্তমানে আমি মাইলেজ পাচ্ছি প্রায় ৪০ কিলোমিটার প্রতি লিটার শহরে বাইক চালানোর সময় এবং ৪৫ কিলোমিটার বা তার বেশি মাইলেজ পাচ্ছি হাইওয়েতে বাইকটা চালানোর সময়।
আমি আমার বাইকের সামগ্রীক পাররফরমেন্স নিয়ে অনেক খুশি কারন আমার দেখা ১৫০সিসি সেগমেন্টে এমন পারফরমেন্স আমি খুব কমই দেখেছি। ধন্যবাদ ।
লিখেছেনঃ মোঃ ফারুক হোসেন
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।