Yamaha FZS FI V2 DD একটি আরামদায়ক বাইক - রাইসান
This page was last updated on 01-Aug-2024 06:39pm , By Shuvo Bangla
আমি ইয়ামিম মুস্তাকিম রাইসান । ময়মনসিংহ শহরে বসবাস করি । আমার বাইক এর নাম Yamaha FZS FI V2 DD। আমার বাইকটি এখন ১৫ হাজার কিলোমিটার চলেছে ।
আমার Yamaha FZS FI V2 DD বাইকটি ব্যবহার করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো।
আমার জীবনের প্রথম বাইক ছিলো Yamaha FZS Version 1। বাইকটি আমার অনেক পছন্দের একটা বাইক ছিলো। বাইকটি নিয়ে আমার অনেক ট্যুর এবং রাইডিং অভিজ্ঞতা আছে।
অনেক স্মৃতি জড়িয়ে ছিল আমার প্রথম বাইকটি নিয়ে। আসলে আমি বাইক অনেক ছোট বেলা থেকে পছন্দ করি । বাইক দিয়ে আমার ঘুরতে অনেক ভালো লাগে। আমি আসলে ঘুরতে পছন্দ করি, বাইক দিয়ে ঘুরলে আরও অনেক ভাল লাগে। বাইক দিয়ে ভ্রমণ করলে নিজের মন এর মধ্যে একটা আলাদা ভালো লাগা কাজ করে। যতই মন মেজাজ খারাপ থাকুক বাইক দিয়ে ঘুরলে মন ভাল হয়ে যায়। বাইক দিয়ে ভ্রমন করলে নিজের ইচ্ছে মত যখন যেখানে ইচ্ছে যাওয়া যায়। নিজে স্বাধীন ভাবে চলাচল করা যায়।
প্রথম বাইকটি বিক্রি করার পরে বাইক এর অভাব অনুভব করছিলাম। ভাবছিলাম এর পরে কোন বাইক নেওয়া যায়। আসলে আমি যখন বাইক কিনব ঠিক করি তখন খোজ খবর নিয়ে জানতে পারি যে আমার বাজেট এর মধ্যে Yamaha FZS FI V2 DD বাইক পাওয়া যাবে, তাই আমি পুরাতন Yamaha FZS FI V2 DD বাইকটি ক্রয় করি। যেহেতু আমি আগে FZ V1 বাইকটি ব্যবহার করেছি তাই এর ব্রেকিং এবং ব্যলেন্সিং এর উপর আমার ভালো আস্থা ছিল। তাই Yamaha FZS FI V2 DD বাইকটি ক্রয় করি ।
Click To See Yamaha FZS FI V2 DD Test Ride Review In Bangla – Team BikeBD
আমি বাইকটি ১,৫০,০০০ টাকা দিয়ে ক্রয় করি । ফেইসবুক এর একটি বাইক সেল গ্রুপের মাধ্যমে কিনেছিলাম। বাইক কিনতে যাওয়ার দিন আমি খুব খুশি ছিলাম, কারণ অনেক দিন বাইক ছাড়া থাকার পর আজকে আবার একটা নতুন বাইক নিতে যাচ্ছি। বাইকটি প্রথম দিন চালিয়ে আমি খুব খুশি ছিলাম। সেই দিন এর কথা আমার এখনো মনে আছে। আমি বাইক এ কোন সার্ভিস করাই নাই, কারণ বাইকটা একদম ফ্রেশ কন্ডিশন এর ছিলো এবং এখনো খুব ভালো সার্ভিস দিচ্ছে । আমি আমার বাইকের অনেক ভাল যত্ন নেই । সঠিক সময়ে ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করি। যখনই কোন সমস্যা হয় খুব দ্রুত তার সমাধান করার চেষ্টা করি । মাইলেজ সিটিতে ৪০ এবং হাইওয়েতে ৪৫ পাই । বাইকটা বাংলাদেশের সকল ধরনের রাস্তায় চালানোর জন্য পার্ফেক্ট । বাইকটির সিটিং পজিশন খুব ভালো যার কারনে লং রাইড গুলো খুব কম্ফোর্ট পাওয়া যায় । বাইকটির ব্রেকিং এবং ব্যলেন্সিং খুব ভালো । তবে টপ স্পিড ওভারটেকিং এ সমস্যা হয় । ১৫০ সিসি ইঞ্জিন হওয়া সত্তেও টপ স্পিড কম এবং ওভারটেকিং এর সময় কনফিডেন্স কম পাওয়া যায় ।
Yamaha FZS FI V2 DD বাইকের কিছু ভালো দিক-
- ব্রেকিং
- ব্যলেন্সিং
- মাইলেজ অনেক ভালো
- কম্ফোর্ট
- লং রাইডের জন্য পার্ফেক্ট
Yamaha FZS FI V2 DD বাইকেরকিছুখারাপদিক-
- থ্রটল রেস্পন্স কম
- বাইকের প্রাইস তুলনামূলক বেশি
- লং রাইডে ইঞ্জিনের শব্দ পরিবর্তন হয়
- বারবার টেপেড এডজাস্ট করতে হয়
- হেডলাইটের আলো হাইওয়ের জন্য যথেষ্ঠ নয়
Yamaha FZS FI V2 DD বাইকটি নিয়ে আমার টপ স্পিড ১১২ । আমি এত স্পিড পছন্দ করি না। নরমাল ৬০-৭০ স্পিড আমি বেশি পছন্দ করি। তাই টপ স্পিড নিয়ে খুব বেশি আগ্রহ নেই ।
বাইকটি নিয়ে লং রাইড করে অনেক ভালো লাগে, অনেক কম্ফোর্ট, সহজেই অনেক দূর বিরতি না দিয়ে গন্তব্যে যাওয়া যায় । যদি আপনি একটি আরামদায়ক বাইক চান তাহলে Yamaha FZS FI V2 DD আপনার জন্য ভালো একটি বাইক । ধন্যবাদ ।
লিখেছেনঃ ইয়ামিম মুস্তাকিম রাইসান
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।