Bajaj Pulsar 150 Ug5 কন্ট্রোল ক্ষমতা খুব বেশি - আরিফ রহমান
This page was last updated on 16-Jul-2024 10:51am , By Raihan Opu Bangla
আমি আরিফ রহমান । আমার বাসা যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানায়। দুই চাকা আমার খুবই প্রিয়, সেটা যদি হয় বাইক তাইলে তো কোন কথাই নাই। আমি একটি Bajaj Pulsar 150 Ug5 বাইক ব্যবহার করছি । আজ আমি আমার বাইকটির মালিকানা রিভিউ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ।
Bajaj Pulsar 150 Ug5 কন্ট্রোল ক্ষমতা খুব বেশি
আমি বাইক চালানো শিখেছি আমার বাবার Hero Honda Splendor + দিয়ে। তখন আমার নিজের কোন বাইক ছিল না। এভাবে ৭ বছর বাবার বাইক ব্যবহার করেছি। অবশেষে ২ বছর আগে আমি নিয়েছিলাম আমার পছন্দে বাইক Bajaj Pulsar 150 Ug5 ।
Bajaj Pulsar 150 Ug5 বাইকটা আমার ছোট বেলা থেকে খুবই পছন্দ ছিল। তাই র্দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর নিয়ে নিলাম আমার পছন্দের বাইকটি। বাইক আমার খুব পছন্দের। কারণ বাইক রাইড করার অনুভূতি অন্যরকম। তাও আবার সেটা যদি হয় নিজের বাইক তাইলে তো আর কোন কথা নাই। বাইক রাইড করা মানে স্বাধীন ভাবে নিজের ইচ্ছা মত চলতে পারা। ভ্রমনের ক্ষেত্রে বাইকের কথা নাই বা বললাম। কারন বাইক নিয়ে ভ্রমন মানেই দুনিয়া নিজের হাতে মুঠোতে।
মুলতো এই বাইকটি আমি নিয়েছিলাম কারন Bajaj Pulsar 150 Ug5 বাইকটি আমার কাছে কম্ফোর্ট একটা বাইক। আর এর লুক আমার ভালো লাগে । আমি যখন বাইকটি কিনেছিলাম তখন এর বাজার মূল্য ছিল ১,৮৬,৫০০ টাকা।
যেটা কিনেছিলাম যশোর জেলার বাজাজ এর অফিসিয়াল শো-রুম থেকে। সাথে ১০ বছরের পেপার্স করেছিলাম। বাইকটি আমি যে দিন কিনতে গিয়েছিলাম সেদিন আমার যে কি আনন্দ হয়েছিল সেটা বলে বোঝাতে পারবো না। বাইকটি আমার বড় ভাই বাড়িতে নিয়ে এসেছিল। নিজের বাইক মানেই অন্য রকম অনুভূতি। বাইকটি যখন প্রথম বারের মত স্টার্ট করেছিলাম তখন খুব ভালো লেগেছিল। কারন আমি ভ্রমন প্রিয় মানুষ। বাইক ভ্রমন সব থেকে প্রিয় আমার কাছে।
Bajaj Pulsar 150 Ug5 First Impression Review In Bangla – Team BikeBD
আমার বাইকটা আমি এ পর্যন্ত তিন বার সার্ভিসিং করিয়েছি। আর সার্ভিসিং করেছি বাজাজ এর শো-রুম থেকে । তাছাড়া বাকি ছোটোখাটো কাজ গুলো আমি আমার নিকটস্থ গ্যারেজে করিয়ে থাকি। বাইকটি ব্রেক ইন টাইম ২৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত আমি ৪২ থেকে ৪৫ কিলোমিটার মাইলেজ পেয়েছি।
আমার বাইক এখন ১৪০০০ কিলোমিটার রাইড করা হয়েছে। তবে বেশ কিছু দিন যাবত আমি যেন অনুভব করছি যে আমার বাইকের মাইলেজ আমি ঠিকঠাক পাচ্ছিনা। সার্ভিসিং এ দেব ভাবছি। কিন্তু সময়ের অভাবে করে উঠতে পারছি না।
আমি আমার বাইকের জন্য সাধারন Castrol Active 4T Premium Synthetic ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করি যেটা আমি নিজে ইন্ডিয়া থেকে ক্রয় করি । যার বাংলাদেশি মূল্য আসে ৪৬০ থেকে ৪৮০ টাকা। এই অয়েল পারফরমেন্স আমি খুব ভাল পাই তাই এটা ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু করোনার কারনে ইন্ডিয়াতে যেতে পারছি না বিধায় নিজ এলাকা থেকে কেনা Volvoline 4T Premium Synthetic ব্যবহার করছি।
আমি আমার Bajaj Pulsar 150 Ug5 বাইকে হেড লাইট এর গ্লাস এবং মিটার বক্স পরিবর্তন করেছি । কক্সবাজার ট্যুর থেকে ফেরার পথে মাগুরা জেলাতে এসে বাঁশের ভ্যান এর সাথে এক্সিডেন্ট করেছিলাম। এতে করে আমার বাইকের মিটারে সমস্যা হয়েছিল এবং হেড লাইটের গ্লাস টা ভেঙ্গে গিয়েছিল। যার ফলে পরিবর্তন করতে হয়েছে।
Bajaj Pulsar 150 Ug5 বাইকটি দিয়ে আমি ১১৮ কিলোমিটার স্পিড তুলেছি। বাইকের উপর প্রেশার সৃষ্টি করা আমার পছন্দ নয়। এই জন্য ১১৮ তে থেমে গিয়েছি।
Bajaj Pulsar 150 Ug5 বাইকের কিছু ভাল দিক-
- কন্ট্রোল ক্ষমতা খুব বেশি।
- বাইকের লুকিং স্টাইল অনেক স্মার্ট।
- সিটিং পজিশন বেশ কম্ফোর্ট।
- ছোট খাটো সমস্যা গুলো নিজেই ঠিক করতে পারি।
- রেয়ার পার্টস গুলোর দাম হাতের নাগালে।
Bajaj Pulsar 150 Ug5 বাইকের কিছু খারাপ দিক-
- বাইকটি তুলনামূলক বেশি লম্বা হওয়াতে মাঝে মাঝে টার্নিং এ সমস্যা হয়।
- মাইলেজ আর সামান্য একটু বেশি পেলে ভালো হতো।
- ১০০ স্পিডে ইঞ্জিনের শব্দটা একটু বেশি হয়।
- লং রাইডে ইঞ্জিন গরম হয় একটু বেশি।
- হেড লাইট এর পাওয়ার আমার কাছে একটু কম মনে হয়।
Bajaj Pulsar 150 Ug5 বাইকটি দিয়ে আমি এ পর্যন্ত দেশের ৩৫ জেলা ভ্রমন করতে সক্ষম হয়েছি। তার ভিতর সব থেকে বড় ভ্রমন ছিল যশোর - ঢাকা- খাগড়াছড়ি- রাঙামাটি- চট্টগ্রাম- বান্দরবান - কক্সবাজার ট্যুর। যেখানে আমি প্রায় ৩০০০ কিলোমিটার রাইড করেছি।
Bajaj Pulsar 150 Ug5 বাইকটি দিয়ে আমি খুব সহজেই জায়গা গুলো ভ্রমন করতে সক্ষম হয়েছি। লং ট্যুরে আমি বাইকের তেমন কোন সমস্যা খুজে পাই নাই। খুব শীঘ্রই আমি আর একটা লং ট্যুরে যাবার প্ল্যান করেছি। আশা করি আমার বাইক আমার আশা পূরন করবে। সব শেষে বলতে পারি যেহেতু আমি একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে সেহেতু আমার মত মানুষের জন্য Bajaj Pulsar 150 Ug5 বাইক সব থেকে পারফেক্ট একটা বাইক।
কারন মধ্যবিত্তদের স্বপ্ন পূরনের জন্য Bajaj Pulsar 150 Ug5 অনেক সুন্দর এবং সাশ্রয়ী একটা বাইক। সব দিক দিক বিবেচনা করলে এই বাইকটা খুবই সুন্দর একটা বাইক। ধন্যবাদ ।
লিখেছেনঃ আরিফ রহমান
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।