Bajaj Discover 125 ৩০,০০০ কিলোমিটার রাইড রিভিউ - শামীম
This page was last updated on 31-Jul-2024 03:57pm , By Raihan Opu Bangla
আমি মোঃ শামীম আকন। বেতাগী থানার বরগুনা জেলার ৪ নং মোকামিয়া ইউনিয়নে আমার বাসা। আজ আমি আমার Bajaj Discover 125 বাইকটি নিয়ে ৩০,০০০ কিলোমিটার রাইড করার অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
Bajaj Discover 125 ৩০,০০০ কিমি রাইড রিভিউ
কিছুদিন ধরে ভাবছি আমার বাইকের একটি রিভিউ লিখব। অবশেষে আজ লিখেই ফেল্লাম। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় Bajaj Dicscover 125 cc বাইকটিই আমার জীবনের প্রথম বাইক। বাইক নিয়ে ভ্রমন করতে ভালোবাসি, ছোটবেলা থেকে বাইকের প্রতি প্রচন্ড দুর্বলতা আমার।
ছোট বেলা থেকে বাইকের প্রতি দূর্বলতা ছিল। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম আরেকটু বড় হয়ে একটা বাইক কিনবো। এই বাইকি আমি আমার ইউনিয়নের একজন লোক এর কাছ থেকে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকায় ক্রয় করি। বাইকটি তখন ৩০০ কিলোমিটার রানিং ছিল , ক্রয় করার পরে আমি ৩০,০০০ কিলোমিটার রাইড করি । বাইকটি আমাকে অসাধারণ পার্ফরমেন্স দিয়েছে যা বলার বাহিরে, যা আমি আগে চালানো বাইক গুলোতে পাইনি। আমার মতে কম বাজেটে একটি অসাধারণ বাইক পেয়েছি । বাইকটি আমি ১০-১১-২০২০ তারিখে পুরাতন ক্রয় করি।
আমি জীবনে সর্ব প্রথম Bajaj Platina এবং পরে Bajaj CT 100 বাইক দুটি চালিয়েছি। ছোট বেলা থেকে বাইকের প্রতি দূর্বল ছিলাম । Bajaj Discover 125 বাইকটি আমার খুব ভালো লাগত , তাই সিদ্ধান্ত নিলাম আরেকটু বড় হয়ে এই Bajaj Discover 125 বাইক কিনবো। এই বাইকের চেইন বেশী একটা লুজ হয় নাহ। ৮০০ বা ১০০০ কিলোমিটার পর পর চেইন টাইট দিতে হয়। এই টোটাল রাইডে আমি আমার বাইক ১০-১৫ বার সার্ভিসিং করেছি। বেতাগী , বরিশাল , পটুয়াখালী থেকে সার্ভিসিং গুলো করিয়েছিলাম। যেখান থেকে বাইকগুলো সার্ভিসিং করাই আলহামদুলিল্লাহ ভালো সার্ভিস পেয়েছি ।
বাইকটিতে আমি হাইওয়েতে ৫৭+ ও সিটিতে ৫০+ মাইলেজ পেয়েছি। সবথেকে এই বাইকের যে জিনিসটি আমার কাছে ভালো লেগেছে তা হলো বাইকের হেডলাইট । যেটি আমাকে হাইওয়েতে সর্বোচ্চ সাপোর্ট দিয়েছে। আমি বাইকটি প্রতিদিন যত্ন নেই এবং বাইক নিয়ে বের হওয়ার আগে চেক করে তারপর চালাই।
লং রাইড করে আমি কোন কোমর ব্যাথা বা হাত ব্যাথা অনুভব করিনি। আমার কাছে বাইকটির সাসপেনশন অনেক আরামদায়ক মনে হয়েছে। আমার বাইকে ব্যবহার করা ইঞ্জিন অয়েলের নাম MaX 5 যার দাম ৫১০ টাকা। এই ইঞ্জিন ওয়েল দিয়ে আমি বাইকটি ২০০০ কিলোমিটার রাইড করি । বাইকটিতে এখন পর্যন্ত আমি ব্রেক ক্যাবল, থ্রটল ক্যাবল , ক্লাস ক্যাবল ইত্যাদি পরিবর্তন করি । বাইকে মডিফাই বলতে আনেক কিছুই করেছি। আগেই বলি যত স্পীড বেশি, তত বিপদ বেশি। একবার আমি ভোলা থেকে আসার পথে রাতে ফাকা হাইওয়েতে আমার Bajaj Discover 125 বাইকটা দিয়ে ১১৬ পর্যন্ত স্পীড পেয়েছিলাম। সবাই সাবধানে বাইক চালাবেন। বাইক ক্রয় করার পর অনেকেই স্টক হেড লাইট এর বাল্ব পরিবর্তন করেন শুধুমাত্র আলো স্বল্পতার কারনে। কিন্তু Bajaj Discover 125 বাইকে এই সমস্যা খুব কম এর দুই পাশে এলইডি লাইট গুলো দেখতে খুব সুন্দর লাগে।
বাইকটি দিয়া আমি লং ট্যুরে একবার গেছিলাম ভোলা থেকে, বরিশাল হয়ে মাওয়া গিয়ে আবার নিজ এলাকায় ফিরলাম। আমার মতে কম বাজেটে Bajaj Discover 125 একটি শ্রেষ্ঠ বাইক। আমি বলবো প্রত্যেক বাইকের কিছু না কিছু সমস্যা থাকে, কোন বাইকই সমস্যার উর্ধ্বে নয়। তবে আমি বলব ১ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা বাজেটে Bajaj Discover 125 বাইকটি ভ্যালু ফর মানি। ধন্যবাদ ।
লিখেছেনঃ মোঃ শামীম আকন আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।