বাজাজ পালসার ১৫০ এর মালিকানা রিভিউ - লিখেছেন শাহাদাত
This page was last updated on 19-Aug-2024 08:53am , By Shuvo Bangla
আমি শাহাদাত সোহেল। বয়স ২৬। থাকি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায়।বেশ কিছুদিন ধরেই আমি আমার বাইকের সম্পর্কে আমার মতামত সকলের সাথে শেয়ার করতে চাচ্ছিলাম, তাই আজ লিখেই ফেললাম আমার বাজাজ পালসার ১৫০ এর মালিকানা রিভিউ।
আমার বাজাজ পালসার ১৫০ এর মালিকানা রিভিউ।
আমার বাইক চালানোর ইতিহাস অনেক পুরনো। বয়স ৯ কি ১০, সবেমাত্র বাইসাইকেল চালানো শিখেছি। স্বপ্ন তখন আকাশছোঁয়া। মটরবাইক কি তাহলে আরও মজার?? প্রশ্নটা মাথায় বারবার ঘুরপাক খেতে থাকতো। ১৫ বছর বয়সে প্রথম সুযোগ মিললো স্বপ্নের বাইক রাইডিং এর! বাইক নিয়ে আসলেন কাকা। হিরো হোন্ডা মোটরসাইকেল। তখনও মডেল বোঝার পরিপক্কতা আসেনি। কাকা নিজ হাতে শিখিয়েছিলেন বাইক হ্যান্ডেলিং, ব্রেকিং, কর্নারিং। বহুদিন কেটে গেল বাইকার হিসেবে। ২০১৬ সালের প্রথম থেকেই ভাবছিলাম একটি ১৫০ সিসির বাইক কিনব।
বাইক বিডি ছিল আমার মেন্টর।। টিভিএস অ্যাপাচি, হিরো হাঙ্ক, বাজাজ পালসার ১৫০ ছিলো পছন্দের তালিকায়। সবকিছু ছাপিয়ে বাজাজ পালসার কেড়ে নিল সব আলো। এর ডাইনামিক বডি, Cool Suspension, বিশেষত এর টেইল ল্যাম্প এর LED ফ্লাশ সত্যিই একে করেছে অমরাবতী। বাজাজের সুনাম ও এর স্পেয়ার পার্টস এর সহজলভ্যতাও পছন্দ করার কারণ হিসেবে বলা যায়। ২৯ শে অক্টোবর এক বন্ধুকে নিয়ে চলে গেলাম উপজেলা শহর কটিয়াদীতে, যেখানে রয়েছে উত্তরা মটরস এর শোরুম মোহন মটরস। নীল আমার প্রিয় রঙ, তাই বাজাজ পালসার ১৫০ ২০১৫ এর চারটি মডেলের মধ্যে SAPPHIRE BLUE নিলাম। দাম নিলো ১,৯২,০০০ টাকা।
বাইক সম্পর্কে বলতে গেলে, প্রথমেই বলতে হবে এর লুকিং। সত্যিই অসাধারন। সব বয়সের জন্যই মানানসই। এর রয়েছে ফোর স্ট্রোক ডিটিএসআই ইঞ্জিন। টর্ক ৯০০০ আরপিএম। ১৫০ সিসির বাইক হিসেবে এর ইঞ্জিনটি যথেষ্ট শক্তিশালী। রয়েছে ৫ স্পীড এর গিয়ার বক্স। ডিজিটাল স্পিডোমিটার এক অন্যরকম আবেদন সৃষ্টি করেছে। রয়েছে টিউবলেস টায়ার যা আপনাকে দেবে স্বস্তিদায়ক রাইডিং এর আনন্দ।
Also Read: উত্তরা মোটরস বাংলাদেশে নিয়ে এলো বাজাজ ভি১৫ : অনুষ্ঠানের আদ্যোপান্ত
এর নিট্রোক্স শক এবজর্ভার আপনাকে দেবে ঝাকুনিবিহীন রাইডিং অভিজ্ঞতা। এর পিছনের ড্রাম ব্রেকটা খুব ভালো রেসপন্স করে। সিটিং পজিশন চমৎকার। ১৪৩ কেজি ওজন একে দিয়েছে বেশি স্পিডে নিশ্চিন্তে রাইড করার প্রেরনা। ১২ ভোল্ট ডিসি ব্যাটারি থাকায় রাতে রাইড করা যায় নিশ্চিন্তে। ২৫০০ কিমি পর্যন্ত আমি পেয়েছি ৫৩ লিটার পর্যন্ত মাইলেজ, যা আমি কখনো ভাবতে পারিনি। ইঞ্জিন অয়েল হিসেবে আমি Super 4T 20W-50 ব্যবহার করছি। ভ্রমন বলতে ব্রেক ইন পিরিয়ডে আমি একদিনে ২২৫ কিলোমিটার রাইডিং করেছি। সত্যিই একে হাইওয়ের রাজা বলা যায়। শহরে ৩ গিয়ারে ও হাইওয়েতে ৫ গিয়ার শিফটে আপনি পেতে পারেন ভালো মাইলেজ।
ভালো বৈশিষ্ট্যঃ ১/ অসাধারণ বডি গ্রফিক্স ও পারফরমেন্স। ২/ শক্তিশালী ইঞ্জিন পাওয়ার। ৩/ গুড হ্যান্ডেলিং ও ব্রেকিং। ৪/ টিউবলেস টায়ার ও গ্রিপিং। খারাপ বৈশিষ্ট্যঃ ১/ একই পুরনো ডিজাইন 2/ দ্বীতিয় গিয়ারে প্রচুর শব্দ করে ৩/ শহরে মাইলেজ কম। ৪/ সরু রাস্তায় চালানো অনেক কষ্টকর।
পরিশেষে বলা যায়, বাজাজ পালসার ১৫০ এমন একটি বাইক যা সবাই পছন্দ করবে। যারা একটু দ্রুতগতির বাইকার তাদের জন্যই এই বাইক। যারা অল্পগতিতে বাইক চালান তাদের জন্য এটি সাশ্রয়ী হবে না। সকলেই সাবধানে বাইক চালান, ও অবশ্যই সর্বদা হেলমেট ব্যবহার করুন। আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন।
Also Read: বাজাজ পালসার সিরিজে চলছে ১২,০৭৩ টাকার ক্যাশব্যাক অফার !
আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com - এই ইমেইল এড্রেসে।