desktop
noadd

বাংলাদেশে পাওয়া যাচ্ছে ইউএম-রানার মোটরসাইকেল : অনুষ্ঠান ও পণ্যের বিবরণ

This page was last updated on 12-Jan-2025 01:33pm , By Shuvo Bangla

আজ বাংলাদেশের অন্যতম বড়ো মোটরসাইকেল নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান রানার মোটরসাইকেল আরো এক ধাপ এগিয়ে গেলো। তারা বাংলাদেশে ইউএম-রানার ব্র্যান্ড নামে মোটরসাইকেল উৎপাদনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ইউএম ইন্টারন্যাশনাল এলএলসি’র সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

ভালুকায় রানারের নিজস্ব মোটরসাইকেল ম্যানুফ্যাকাচিরং প্ল্যান্টে এই মোটরসাইকেল তৈরি করা হবে। আর ইউএম ইন্টারন্যাশনাল এলএলসি এ কাজে রানারকে সকল প্রকার প্রাযুক্তিক ও প্রকৌশল সহায়তা দিবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানের কাঁচামালের জোগান.ও তারা দিবে।

আজ মালিবাগে অবস্থিত ইউএম রানার শোরুমে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান জনাব হাফিজুর রহমান খান, ই্উএম ইন্টারন্যাশনালের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর জনাব জুয়ান ভিলেগাস, রানার অটোমোবাইলের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জনাব মুখেশ শর্মা এবং প্রোজেক্ট ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সাপ্লাই চেইন সহকারী ব্যবস্থাপক জনাব আমিদ সাকিফ খান।

চুক্তি স্বাক্ষরকালে আমরা প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিদের কাছ থেকে জানতে পারি :

  • প্রাথমিক অবস্থায় ইউএম-রানার মোটরসাইকেল বাংলাদেশে ক্রুজার ও স্পোর্টস ক্যাটেগরির রেনেগাডএক্সট্রিট বাইক নিয়ে বাজারে থাকবে।
  • বর্তমানে বিশ্বের ২৫টিরও বেশি দেশে ইউএম মোটরসাইকেল পাওয়া যাচ্ছে।
  • বাইকগুলো ১০০-১৫০ সিসি ক্যাটেগরির হবে এবং সেগুলোতে কে

Also Read: রানার অটোমোবাইলস লিমিটেড - ৫ম ঢাকা বাইক শো ২০১৯

  • ইউআই (কি ইউএম ইনোভেশন) প্রযুক্তি ব্যবহৃত হবে।
  • সম্প্রতি ভারতেও ইতিবাচকভাবে যাত্রা শুরু করেছে ইউএম।  
  • চুক্তি অনুসারে রানার ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার জন্য ইউএম মোটরসাইকেল তৈরি ও রপ্তানি করবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশে প্রচলিত সিসি লিমিটের চেয়ে রপ্তানিযোগ্য বাইকের ইঞ্জিন বেশি সিসির হবে।
  • তারা আগামী ৬ মাসে সারাদেশে আরো ৬০টির বেশি শোরুম খোলার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
  • রানার বাংলাদেশের বাজারে নতুন স্পোর্টস বাইক ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে সেটাই হবে বাংলাদেশে তৈরি প্রথম স্পোর্টস বাইক। আমরা যতোদূর জানতে পেরেছি, বাইকটিতে ডুয়েল ডিস্ক ব্রেক থাকবে এবং এর ইঞ্জিন হবে ১২৫-১৫০ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার কার্বুরেটর ওয়াটার কুলড। এটা  ঠিক কবে নাগাদ বাজারে আসবে বলতে না পারলেও, এ বছরের শেষ নাগাদ এর প্রোটোটাইপ বাজারে আসবে বলে ধারনা করছি আমরা।

বাংলাদেশের বাজারে ইউএম-রানারের প্রোডাক্ট লাইন আপ :

  • ম্যাক্স ইকোবুস্ট : ১০০ সিসি কমিউটার
  • এক্স স্ট্রিট : এটা একটি নেকেড বাইক, যেটি ১০০, ১২৫ ও ১৫০ সিসি ইঞ্জিন বিশিষ্ট হবে।
  • রেনেগাড স্পোর্টস : ১৪০সিসি ক্রুজার বাইক
  • রেনেগাড কমান্ডো এস১৫০ : ১৫০ সিসি ওয়াটার কুলড ইঞ্জিন
  • রেনেগাড কমান্ডো ১৫০ : ওয়াটার কুলড ইঞ্জিনের ক্রুজার বাইক

পড়ুন>> টিম বাইকবিডি’র করা ইউএম এক্সট্রিট এর রিভিউ

রানার মোটরসাইকেল এখনই বাইকগুলোর দাম বা তা আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারে ছাড়ার দিনক্ষণ জানাচ্ছে না। তবে তা জানা মাত্রই আমরা আমাদের পাঠকদের জন্য প্রকাশ করবো। তাছাড়া রানারের নতুন স্পোর্টস বাইক অতিশীঘ্রই দেখতে পাবো বলে আশা করছি।

আর্টিকলেটি পূর্বে ইংরেজিতে প্রকাশ করা হয়েছিলো।