কমে গেল মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন ফি!
This page was last updated on 16-Jul-2024 02:26pm , By Raihan Opu Bangla
মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন ফি কমিয়ে অর্ধেক করা হয়েছে। রেজিস্ট্রেশন ফি কমানোর জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় যে প্রস্তাব দিয়েছিল সম্প্রতি তা অনুমোদন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। ফলে এখন থেকে গ্রাহকদের নিবন্ধন খরচ অর্ধেক কমে যাবে।
কমে গেল মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন ফি!
নতুন নির্ধারণ করা ফি তে এখন ১০০ সিসি বা তার নিচের ইঞ্জিন ক্ষমতার মোটরসাইকেলের নিবন্ধনে খরচ হবে ২ হাজার টাকা। যা এতদিন ছিল ৪ হাজার ২০০ টাকা। আর ১০০ সিসির উপরের ইঞ্জিন ক্ষমতার মোটরসাইকেলের নিবন্ধন ফি হবে ৩ হাজার টাকা। যা আগে ছিল ৫ হাজার ৬০০ টাকা।
১০০ সিসি বা তার নিচের ইঞ্জিন ক্ষমতার মোটরসাইকেলের নিবন্ধন মাশুল বর্তমানে ৪ হাজার ২০০ টাকা। এটি কমিয়ে ২ হাজার টাকা করা হচ্ছে। আর ১০০ সিসি বা তার ওপরের সিসির মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে নিবন্ধন মাশুল বর্তমানে ৫ হাজার ৬০০ টাকা।
এটি কমিয়ে করা হচ্ছে ৩ হাজার টাকা। ১০০ সিসি বা তার নিচের ইঞ্জিন ক্ষমতার মোটরসাইকেলের নিবন্ধন মাশুলের সঙ্গে এত দিন ভ্যাট ছিল ৬৩০ টাকা, আর ১০০ সিসি বা তার ওপরের সিসির মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে নিবন্ধন মাশুলের সঙ্গে ভ্যাট ছিল ৮৪০ টাকা। ভ্যাটের হার ঠিকই রয়েছে। তবে নিবন্ধন মাশুল কমায় ভ্যাটও কমবে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আহমদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে গত বছরের ১৬ আগস্ট অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ-জাপান যৌথ সরকারি–বেসরকারি অর্থনৈতিক সংলাপ’ শীর্ষক বৈঠকে মোটরসাইকেলের নিবন্ধন মাশুল কমানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তার আগে ঢাকার জাপান দূতাবাস শিল্প মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব দেয়। বিএমএএমএ গত ১১ নভেম্বর অর্থসচিব আবদুর রউফ তালুকদারের কাছে সব ধরনের মাশুল কমানোর আবেদন করে। নিবন্ধন মাশুলের পাশাপাশি ডিজিটাল সনদ, সম্পূরক শুল্ক, ডিজিটাল নম্বরপ্লেট, পরিদর্শন মাশুল, সড়ক কর (রোড ট্যাক্স) ইত্যাদি খরচ রয়েছে।
Also Read: দাম কমানোতে বিক্রি বেড়েছে মোটরসাইকেলের
বিএমএএমএ বলছে, ৯০ হাজার টাকার মোটরসাইকেলের মাশুল ২৩ শতাংশ অর্থাৎ ২০ হাজার ৯৩৭ টাকা। আর ১ লাখ ৩০ হাজার টাকার মোটরসাইকেলে ১৮ শতাংশ অর্থাৎ ২২ হাজার ৭৮৯ টাকা। বিএমএএমএ অর্থসচিবকে বলেছে, ১১০ সিসির একটি মোটরসাইকেলের মাশুল বাংলাদেশে ২২ হাজার ২৮৪ টাকা। ভারতে তা ৩ হাজার ৮৭৯, শ্রীলঙ্কায় ৪ হাজার, পাকিস্তানে ২ হাজার ৬৮, মিয়ানমারে ৩ হাজার ৩২০ এবং মালয়েশিয়ায় ১ হাজার ১৩২ টাকা।
এর আগে ঢাকাস্থ জাপানি রাষ্ট্রদূত শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে এক বৈঠকে মোটরসাইকেল নিবন্ধন খরচ কমানোর প্রস্তাব দেন। বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলোর মধ্যে জাপান অন্যতম। জাপানের অনুরোধ, দেশের গ্রাহকদের সুবিধা এবং সব মোটরসাইকেল যাতে নিবন্ধনের আওতায় থাকে সেই চিন্তা থেকে ফি কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছিল।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্য অনুযায়ী, করোনার কারণে চলাচল সীমিত থাকলেও গত বছর সারাদেশে ৩ লাখ ১১ হাজার ১৬টি মোটরসাইকেল নিবন্ধন নিয়েছেন গ্রাহকরা।
২০১৯ সালে সারাদেশে ৪ লাখ ১ হাজার ৪৫২টি মোটরসাইকেলের নিবন্ধন নিয়েছিলেন গ্রাহকরা। ২০১৮ ও ২০১৭ সালে যথাক্রমে এ সংখ্যা ছিল তিন লাখ ৯৩ হাজার ৫৪৫ ও তিন লাখ ২৫ হাজার ৮৭৬টি। অর্থাৎ দেশে মোটরসাইকেলের ব্যবহার ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
রেজিস্ট্রেশন ফি কমে যাওয়াতে আগের চেয়ে মোটরসাইকেল বিক্রয় আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে বাইকারদের আরও খরচ কমে যাওয়াতে মোটরসাইকেল বিক্রয়ের পরিমান আগের চেয়ে আরও বেশি হবে বলেই সবাই ধারণা করছে। ধন্যবাদ।
প্রতিবেদনঃ সময় নিউজ টিভি