বাইক চালাতে গিয়ে ওয়ারেন্ট ব্যতীত গ্রেফতার হওয়ার কারন
This page was last updated on 30-Jul-2024 05:26pm , By Ashik Mahmud Bangla
আপনি জানেন কি বাইক চালাতে গিয়ে কিছু ভুলের কারনে আপনি ওয়ারেন্ট ব্যতীত গ্রেফতার হতে পারেন। হ্যাঁ আমাদের দেশে এমন আইনও কিন্তু আছে যেখানে আপনাকে এরেস্ট করার জন্য ওয়ারেন্ট এর প্রয়োজন হবে না। নিজে নিরাপদ থাকতে সব সময় দেশের আইন সম্পর্কে জেনে রাখবেন , কারন যে আইন জানে না তার জীবনে সমস্যার কোন কমতি থাকে না।
বাইক চালাতে গিয়ে ওয়ারেন্ট ব্যতীত গ্রেফতার হওয়ার কারন
কি কি কারনে একজন পুলিশ আপনাকে ওয়ারেন্ট ব্যতীত গ্রেফতার করতে পারে আজ সেই বিষয়গুলো নিয়ে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
২০১৮ সনের ৪৭ নং আইন ত্রয়োদশ অধ্যায় ওয়ারেন্ট ব্যতীত গ্রেফতারের ক্ষমতা
১১০। (১) কোনো পোশাকধারী পুলিশ অফিসারের সন্মুখে কোনো ব্যক্তি ধারা ৭২, ৭৩, ৭৫, ৭৭, ৭৯, ৮৪, ৮৬, ৮৯, ৯২(১), ৯৮ বা ১০৫ এর অধীন শাস্তিযোগ্য কোনো অপরাধ করিলে, তিনি উক্ত ব্যক্তিকে ওয়ারেন্ট ব্যতীত গ্রেফতার করিতে পারিবেন।
(২) উদ্ভুত পরিস্থিতির প্রয়োজনে , কোনো পুলিশ অফিসার ওয়ারেন্ট ব্যতীত কোনো মোটরযানের চালককে গ্রেফতার করিলে , তিনি উক্ত মোটরযানের নিরাপদ হেফাজতের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ বা ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন , বা মোটরযানটি নিকটতম থানায় লইয়া যাইবেন।
(৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীন দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ অফিসার , যথাশীঘ্র সম্ভব , তবে কোনক্রমেই চব্বিশ ঘন্টার অধিক নহে , সংশ্লিষ্ট মোটরযানের মালিককে মোটরযানটি কোথায় স্থানান্তর করা হইয়াছে এবং চালককে কোথায় লইয়া যাওয়া হইয়াছে তাহা অবহিত করিবেন।
ধারা ৭২
২০১৮ সনের ৪৭ নং আইন এর একাদশ অধ্যায়ে মোটরযান রেজিস্ট্রেশন ব্যতীত মোটরযান চালনা সংক্রান্ত ধারা ১৬ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড ,
৭২। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ১৬ এর বিধান লঙ্ঘন করেন , তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ , এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৬ (ছয়) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
ধারা ৭৩
সড়ক পরিবহণ আইন ২০১৮ একাদশ অধ্যায় ভূয়া রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার ও প্রদর্শনে বিধি-নিষেধ সংক্রান্ত ধারা ১৭ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড,
৭৩। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ১৭ এর বিধান লঙ্ঘন করেন , তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ , এবং তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর তবে অন্যূন ৬ (ছয়) মাসের কারাদণ্ড , বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা তবে অন্যূন ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
ধারা ৭৯
২০১৮ সনের ৪৭ নং আইন একাদশ অধ্যায় মোটরযানের বাণিজ্যিক ব্যবহার সংক্রান্ত ধারা ৩১ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড ,
৭৯। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৩১ এর বিধান লঙ্ঘন করেন , তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ , এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং চালকের ক্ষেত্রে , অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক ১ (এক) পয়েন্ট কর্তন হইবে।
ধারা ৮৪
২০১৮ সনের ৪৭ নং আইন একাদশ অধ্যায় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত কোনো মোটরযানের কারিগরি বিনির্দেশ অমান্য সংক্রান্ত ধারা ৪০ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড ,
৮৪। যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৪০ এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ , এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) বৎসরের কারাদণ্ড তবে অন্যূন ১ (এক) বছর , বা অনধিক ৩ (তিন) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
ধারা ৮৯
২০১৮ সনের ৪৭ নং আইন একাদশ অধ্যায় পরিবেশ দূষণকারী , ঝুঁকিপূর্ণ ইত্যাদি মোটরযান চালনার বিধি-নিষেধ সংক্রান্ত ধারা ৪৬ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড ,
৮৯। (১) যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৪৬ এর উপ-ধারা (২) ও (৩) এর বিধান লঙ্ঘন করেন , তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ , এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং , চালকের ক্ষেত্রে , অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক ১ (এক) পয়েন্ট কর্তন হইবে।
(২) যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৪৬ এর উপ-ধারা (৪) এর বিধান লঙ্ঘন করেন , তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ , এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ২০ (বিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং , চালকের ক্ষেত্রে , অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক ১ (এক) পয়েন্ট কর্তন হইবে।
ধারা ৯২
২০১৮ সনের ৪৭ নং আইন মোটরযান চলাচলের সাধারণ নির্দেশাবলী সংক্রান্ত ধারা ৪৯ এর বিধান লঙ্ঘনের দণ্ড ,
৯২। (১) যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৪৯ এর উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সাধারণ নির্দেশাবলির প্রথম অংশের কোনো বিধান লঙ্ঘন করেন , তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘন হইবে একটি অপরাধ , এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) মাসের কারাদণ্ড, বা অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং , চালকের ক্ষেত্রে , অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক ১ (এক) পয়েন্ট কর্তন হইবে।
ধারা ৯৮
২০১৮ সনের ৪৭ নং আইন একাদশ অধ্যায় ওভারলোডিং বা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে মোটরযান চালনার ফলে দুর্ঘটনায় জীবন ও সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের দণ্ড ,
৯৮। যদি নির্ধারিত গতিসীমার অতিরিক্ত গতিতে বা বেপরোয়াভাবে বা ঝুঁকিপূর্ণ ওভারটেকিং বা ওভারলোডিং বা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে মোটরযান চালনার ফলে কোনো দুর্ঘটনায় জীবন ও সম্পত্তির ক্ষতি সাধিত হয় , তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট মোটরযানের চালক বা কন্ডাক্টর বা সহায়তাকারী ব্যক্তির অনুরূপ মোটরযান চালনা হইবে একটি অপরাধ , এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) বৎসর কারাদণ্ড, বা অনধিক ০৩ (তিন) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং আদালত অর্থদণ্ডের সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে প্রদানের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
ধারা ১০৫
২০১৮ সনের ৪৭ নং আইন একাদশ অধ্যায় দুর্ঘটনা সংক্রান্ত অপরাধ ,
১০৫। এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, মোটরযান চালনাজনিত কোনো দুর্ঘটনায় গুরুতরভাবে কোনো ব্যক্তি আহত হইলে বা তাহার প্রাণহানি ঘটিলে , তৎসংক্রান্ত অপরাধসমূহ Penal Code, 1860 (Act No. XLV of 1860)-এর এত দ্সংশ্লিষ্ট বিধান অনুযায়ী অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, Penal Code,1860 (Act No. XLV of 1860)-এর section 304 B এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো ব্যক্তির বেপরোয়া বা অবহেলাজনিত মোটরযান চালনার কারণে সংঘটিত দুর্ঘটনায় কোনো ব্যক্তি গুরুতরভাবে আহত হইলে বা তাহার প্রাণহানি ঘটিলে , উক্ত ব্যক্তি অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ড, বা অনধিক ০৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
আসুন নিজে আইন মেনে চলি এবং অপরকে আইন মানতে উৎসাহিত করি।