Yamaha FZS FI V3 বাইক নিয়ে মালিকানা রিভিউ - শাকিবুল শাকিল
This page was last updated on 31-Jul-2024 04:20pm , By Shuvo Bangla
আমি শাকিবুল শাকিল, আমি অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের একজন ছাত্র। আমার বাসা পাবনা জেলাতে বাইকের প্রতি ছোটবেলা থেকেই আবেগপ্রবণ আমি। আমি আমার প্রথম বাইক Yamaha FZS FI V3 নিয়ে আজ রিভিউ লিখবো ।
আজ আমি রিভিউ লিখবো সাথে জীবনে প্রথম বাইক কেনার অনুভূতি শেয়ার করবো । বাইকটি এসিআই মটরস ইন্ডিয়া থেকে বাংলাদেশে আমদানি করে। তখন সবাই বলত এই বাইকটি এসিআই মটরস দেশে সেটিং করাতে ট্যাংকের সমস্যা হয় অনেক কিছুই বলেছিলো আমি তখন নিজের ন্যূনতম ধারণা থেকে মানুষের কথাবার্তার ঊর্ধে নিয়ে আসলাম পছন্দের বাইকটি ।
আমি বাইক কিনেছিলাম কুষ্টিয়া ভেড়ামারা ইয়ামাহার শোরুম থেকে । পাবনাতে তখন অফিশিয়াল শোরুম না থাকাতে পাবনা থেকে কুষ্টিয়া ভেড়ামারা কাছে হাওয়াতে সেখানে যোগাযোগ করতে বলে এসিআই সেন্টার ।
তখন আমি কুষ্টিয়া ভেড়ামারা শোরুমে যোগাযোগ করি, ২০২০ সালের প্রথমদিকে তখন দেশে করোনা মহামারী দেশের অনেক স্থান লকডাউনের মধ্যে আমি তখন ইন্টারমিডিয়েট এর ছাত্র সেই কলেজ জীবনের বাইক কেনার অনুভূতিই অন্যরকম।
সারারাত জেগে ছিলাম ঘুম আর আসে না সকাল আর হয়না এভাবেই সময় কাটতে থাকে আমার চারিদিকে মসজিদের ফজরের আজান কানে আসতে লাগলো তখন বাড়ির পাশে মসজিদ বিছানা থেকে উঠে গোসল করে মসজিদে দিকে রওনা হলাম নামাজ শেষ করে আমার সাথে যারা বাইক কিনতে যাবে আমার সকল বন্ধুদের ফোন করতে লাগলাম এত সকালে কারো ওঠার অভ্যাস নাই ঘুম থেকে সবাই আমার ফোন পেয়ে আস্তে আস্তে এক এক জন করে আসতে লাগলো এক জেলা থেকে অন্য জেলায় বাইক কিনতে যাবো তাই ।
খুব সকাল সকাল রওনা হলাম আমরা সবাই, নয় জন বন্ধু নয়টি বাইক নিয়ে সারা রাস্তায় খুব এক্সাইটেড ছিলাম , যা বলে বোঝানো যাবে না । রাস্তা যেন কোনোভাবেই শেষ হচ্ছিল না, গন্তব্যে পৌঁছানো আকুতি আমার মধ্যে কাজ করছিল ।
অবশেষে গুগোল ম্যাপ ধরে শোরুমে পৌঁছাই আমরা সবাই । আমরা আগে থেকেই বুকিং দেওয়াতে শোরুম থেকে একটি সোল্ড আউট করে রাখছিল । ঢাকা থেকে মাত্র ছয় পিস বাইক ঔ শোরুমে আসছিলো বাইকগুলো নামানো হলো শো-রুমে ট্রাক থেকে তখন ইয়ামাহার এই মডেলের বাইক গুলা সকল শোরুমে ছিলনা।
তবে আমি আমার পছন্দের ম্যাট ব্লু কালারটি পেয়েছিলাম কারণ তখন এই কালারটি ছিল । আমি তখন অনেক খুশি ও আনন্দিত হয়েছিলাম যা বলে বুঝানোর মতো না আমার প্রথম বাইক চালানো অনুভূতি এই বাইক দিয়ে ।
এই বাইকের মাইলেজ ও কম্ফর্টিং দেখে আমার বাইকটিকে নেয়ার আগ্রহ জাগে বাইকবিডি এর ইউটিউব চ্যানেলে রিভিউ দেখে এই বাইকটি কেনার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমি আলহামদুলিল্লাহ তাদের রিভিউ দেখে যেমনটি দেখেছিলাম তেমনটি চালিয়ে তার প্রমাণ পেয়েছি ।
অফিশিয়া বাইক হওয়াতে আমি অনেকগুলো পার্টস এর উপর ওয়ারেন্টি পেয়েছি যা আমাকে পুরাতন টা খুলে নতুন করে নতুন পার্টস লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল এমন টা অনেক ভালো লেগেছিলো আমার । নতুন বাইকের সমস্যা সমাধান অফিশিয়াল ভাবে কার না ভালো লাগে ।
Yamaha FZS FI V3 বাইকের কিছু ভালো দিক -
- বাইকটির কম্ফোর্টর
- লুকস
- কন্ট্রোলিং
- এবিএস ব্রেকিং
ব্যাক্তিগত কিছু কথা -
আমি যখনি বাইকটাতে উঠি আমি কম্ফোর্ট অনুভব করি, আমি আমার বাইক নিরাপদে রাইড করি, আমার বয়সি ছেলেরা হয়তো একটু উগ্র রাইডে অভ্যস্ত তবে আমি সব সময় ইন্টারন্যাশনাল রাইডিং টেকনিক ফলো করার চেষ্টা করি।
সুবিধার কথা তো হলো কোন বাইকই স্বয়ংসম্পূর্ণ না অসুবিধার কথা বলি -
- বাইকের পার্টস আসলেই লোকালে পাওয়া যাবে না । তবে আমি মনে করি লোকালে লাগানো উচিত না, শোরুমে পেয়ে যাবেন ।
- সামনের অলয়েজ হেডলাইড অন প্রযুক্তির কারণে অন্যান্য মানুষ অশ্লিল ভাবে হাত নাড়িয়ে বলবে লাইট জ্বলে
- Fi ইঞ্জিন ভালো মানের তেল নিতে হবে ।
- কিক নাই ।
আমি বাইক কেনার মূল উদ্দেশ্য কলেজ যাওয়া আসা প্রায় ৩০ - ৩৫ কিলোমিটার , প্রাইভেট সব মিলিয়ে সময় কম কাজ বেশি , নানান দিকে হাত প্রসস্ত করতে অর্থাৎ জীবনে গতি আনতে বাইক নেওয়া।
দেশের বিভিন্ন জায়গা ট্যুর দিয়েছি কোনো সমস্যা হয়নি আলহামদুলিল্লাহ লং রাইডে একটানা বাইক চালিয়েছি কেনো সমস্যা ছাড়া । সবার প্রতি ভালোবাসা রইলো আমার মতামতকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ। ধন্যবাদ টিম বাইকবিডিকে এরকম, সুন্দর একটি প্ল্যাটফর্ম গঠনের জন্য ।