Yamaha R15 V3 ১২,০০০ কিলোমিটার রাইডিং অভিজ্ঞতা - সুসান

This page was last updated on 30-Jul-2024 03:02am , By Shuvo Bangla

আমার নাম ফাহিমুল ইসলাম সুসান । আমার বাসা হবিগঞ্জ জেলায় । আমার বয়স ২৮ বছর । আমি বাইকে আরোহন করতে খুব বেশি ভালোবাসি। পূর্ব কিছু দক্ষতা আছে। বর্তমানে আমি একটি R15 V3 বাইক ব্যবহার করছি। বাইকটি ইতিমধ্যে ১২,০০০ কিলোমিটার অতিক্রম করেছি।

Yamaha R15 V3 ১২,০০০ কিলোমিটার রাইডিং অভিজ্ঞতা - সুসান

Yamaha R15 V3 bike

Yamaha R15 V3 বাইক সম্পর্কে কিছু মন্তব্য:

বাইকটির মেনুফেকচার সম্পর্কে আমরা ইতি মধ্যেই অজ্ঞ হয়েছি। বাইকটি মূলত রেসিং বাইক। মোটেই ভাঙগা রাস্তার জন্য এই বাইক না। হালকা বালুতেও সামনের চাকা স্লিপ করে। যা একটি বাইকারের জন্য খুব বড় ধরনের দূর্ঘটনার কারন হতে পারে। কাদা দিয়ে চালানোর অভিঙ্গতা অনেক বেশি। বাইটিতে ব্যালেন্স খুব ভালো তবে কাদা মাটিতে খুব বাজে অভিজ্ঞতা হয়েছে।

মাইলেজ:

Yamaha R15 V3 বাইকটি হাইওয়েতে লিটারে প্রায় ৪৪-৪৫ মাইলেজ পেয়েছি। আর অফরোড়ে প্রায় ৩৮-৩৯ মাইলেজ পেয়েছি।

টপ স্পিড : 
এখন পর্যন্ত ১৫৩ টপ স্পিড পেয়েছি ঢাকা-সিলেট হাইওয়েতে। ৭০০০ আরপিএম এর পরে যখন ভিভিএ একটিভ হয় এর পরে ইঞ্জিনে আলাদা পাওয়ার পাওয়া যায় ।
 
সাসপেনশন : Yamaha R15 V3 Monster ফ্রন্ট সাসপেনশন আমাদের দেশের রোড গুলোতে তেমন ভালো ভাবে কাজ করে না। একটু ঝুঁকে চালাতে হয় যার কারনে হালকা ঝাকিও অনেক বেশি মনে হয়। রেয়ার সাসপেনশন মোটামুটি ঠিক আছে। তবে বাইক অনুযায়ী আরেকটু কমফোর্ট করা উচিৎ ছিলো।

Yamaha R15 V3 red

সিটিং পজিশন: Yamaha R15 V3 বাইটির সিটিং পজিশন অন্য সব হায়ার সিসি বাইকের মতো। একটু বেশিই ঝুকে রাইড করতে হয়। যার জন্য হাতের কবজি প্রথম প্রথম একটু ব্যথা করে। ১/২ সপ্তাহ চালানোর পর সব ঠিক হয়ে যায়। মানে একটু এডজাস্টিং এর ব্যপার।

হ্যান্ডেলবার:

বাইকটির হ্যান্ডেলবার টি আরেকটু উপরে দিলে ভালো হতো। যাদের হাইট কম তাদের জন্যও পারফেক্ট হতো। জ্যামে বসে থাকতেও খুব খারাপ লাগে।

হেডলাইট:

এতো দামি একটি বাইকের আলো এতো কম যা মেনে নেয়া দূস্কর। খুব কম আলো দেয়। যা নিয়ে আমি মোটেই সন্তুস্ট না। আরেকটি প্রবলেম হলো বেশিক্ষন বাইক রাইড করলে হেডলাইটের দুই পাশে কিছুটা কুয়াশার মতো জমে। পরে ঠিক হয়ে গেলেও এমনটি আশা করা যায় না।

Yamaha R15 v3 Review - Most Powerful Bike In Bangladesh 2018 | Bike Review In Bangla By Team BikeBD

ব্রেক :

ব্রেক নিয়ে আমার কোন অভিমত নেই। আমি স্যাটেসফাইড। মাইন্ড ব্লোইং ব্রেক।

ইন্জিন:

যে কোন গিয়ারে সমান Power সাপ্লাই করে। বেশি গিয়ারেও কম RPM তেমন কোন তফাৎ পাই নি। আর একটি প্রবলেম ফেইজ করেছি সেটি হলো, মাঝে মাঝে স্পিড মিটারে গিয়ার ভেনিশ হয়ে যাওয়া। যদিও মেজর কোন প্রবলেম না। গিয়ার শিফটিং এ মাঝে মাঝে বাজে শব্দ করে। এখন  মোটামুটি সব ঠিক আছে। 

সাউন্ড:

সো গুড,কোন মন্তব্য পেশ করছি না। খুব ভালো লাগে সাউন্ডটি।

পিলিওন সিট:

 R15 V2 থেকে অনেক কমফোর্টেবল। V2 এর মতো তেমন কোন প্রবলেম হয় না। বেশ আরামদায়কও বটে।

Yamaha R15 V3

ক্লাচ :

স্লিপার ক্লাচ হওয়ায় খুব দ্রুত গিয়ার শিফট করা যায় এবং অন্য বাইক হতে খুব মজাদার ।

লুক:

লুকটা অনেক এগ্রেসিভ। এবং V2 এর সাথে কোন মিল নেই।

সুইচ:

সুইচ গুলো একটু আপডেট করা হয়েছে। পাস লাইট এর সুইচটি আন-কমন করায় আমার খুব ভালো লেগেছে। সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে ইমারজেন্সি সুইচ। সত্যি খুব উপকারি জিনিস।

Yamaha R15 V3 বাইকটি নিয়ে একদিনে প্রায় ৫০০ + কিলোমিটার রাইডের এক্সপেরিয়েন্স আছে। মোটো ট্রাভেল আমার সবচেয়ে বড় শখ। বাইকটি ক্রয় করার একটিই কারন হাইওয়েতে ট্যুর করা। বাইকটি আপনাকে একটি পূর্নাঙ্গ স্পোর্টস বাইকের ফিল দিবে। ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। প্রতিটি বাইকারের জন্য শুভ কামনা রইলো। হ্যাপি রাইডিং।

আশা করি সুসান ভাই এর ইউজার রিভিউটি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লেগেছে।  ইয়ামাহার এমন ইউজার রিভিউ এবং r15 v3 price in bangladesh এর সর্ম্পকে বিস্তারিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব চ্যানেল ঘুরে দেখুন। শুধু ইয়ামাহা নয় আরো বাইকের ইউজার রিভিউ রয়েছে আমাদের ওয়েবসাইটে। আপনাদের মূল্যবান বক্তব্য এবং  r15 v3 ভালো বা খারাপ দিক আপনার কাছে কোনটা মনে হয় সেগুলো আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন ।

লিখেছেনঃ ফাহিমুল ইসলাম সুসান

আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।