Yamaha Fazer FI V2 মালিকানা রিভিউ - রিসাদ অনিক

This page was last updated on 31-Jul-2024 07:51am , By Shuvo Bangla

আমি রিসাদ অনিক । আমি ঢাকা কেরানীগঞ্জ থাকি , আমার হোমটাউন মুন্সিগন্জ বিক্রমপুর । আজ আপনাদের সাথে আমার Yamaha Fazer FI V2 বাইকের রাইডিং অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো ।

yamaha fazer fi v2

বাইক ভালোবাসি , এই ভালোবাসা থেকে Bikrampur riderz গ্রুপের এডমিন প্যানেলের সাথে দির্ঘ ২ বছর যাবত জড়িত আছি। আমার কাছে বাইক একটা ভালবাসা। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমরা মাগুরাতে থাকতাম। আমার আব্বুর বন্ধু তার বাইক নিয়ে আমাদের বাসায় আসতো , তখন ১৯৯৯/২০০০ সাল, তখন থেকে বাইক পছন্দ করি।

আব্বুর বন্ধুর বাইকে চরতে অনেক ভালো লাগতো। আমি বাইক চালানো শিখেছি ২০১১ তে। কিন্তু নিজের বাইক না থাকায় ঐ ভাবে বাইক চালাতে পারি নাই। দীর্ঘ ৮ বছর বাইক চালাই নাই কিন্তু বন্ধুদের সাথে তাদের বাইকে চরে অনেক জায়গায় ঘুরেছি।

২০১৯ সালে আমার নানা বাড়িতে এক মামার বাইক দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ্‌ ভালো ভাবে বাইক চালানো শিখলাম। ২০২০ সালে লকডাউনের পরে আমার এক বন্ধুর বাইক চালাতাম হাত ক্লিয়ার করার জন্য। আধা ঘন্টার জন্য বাইক নিতাম আর তেল ভরতাম ২ লিটার।

yamaha fazer fi v2

এমন করে প্রায় ১০/১২ দিন ঐ বন্ধুর বাইক চালিয়ে নিজের হাত ক্লিয়ার করেছি। ২০২০ সালেই আমি বাইক কিনি। আমার প্রথম বাইক Pulsar 150 । সেকেন্ড হ্যান্ড কিনেছিলাম ৬২,০০০ টাকা দিয়ে। নারায়ণগঞ্জের এক ভাইয়ের থেকে বাইকটা কিনেছিলাম।

জীবনের প্রথম আমার নিজের বাইক এটা। এই বাইকটা কেনার জন্য আমার ৩টা ফ্রেন্ড আমাকে ফেল্প করেছিলো। বাইক কেনার পর প্রথম যখন বাইক স্টার্ট দেই তখন নিজের ভিতরে কেমন যে লাগছিলো বলে বোঝানো যাবে না।

বাইক কিনার পরের দিন কিনলাম একটা ভালো মানের হেলমেট। কারণ বাইক দু-চাকার বাহন যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমি যদি বাইক চালানো অবস্থায় পরে যাই আর আমার মাথায় যদি একটা ভালো মানের হেলমেট পরা থাকে তাহলে আমি মাথায় কোনো আঘাত পাবো না এবং আমার মাথা ও সেফ থাকবে ইনশাআল্লাহ্‌।

আমার মতে আমরা যারা বাইক চালাই সবারি উচিৎ সেফটি গিয়ার ব্যবহার করে বাইক চারানো। আমার নিজের বাইক নিয়ে প্রথম ট্যুর শরিয়তপুর। আমরা চারজন দুই বাইক নিয়ে মাওয়া তারপরে পদ্মা নদী পার হয়ে শরিয়তপুর গিয়েছিলাম।

২০২০ সালেই আমি আমার দ্বিতীয় বাইক Fazer fi v2 ইয়ামাহার শোরুম থেকে কিনি। আলহামদুলিল্লাহ্‌ ফেজার চালিয়া আমি অনেক মজা পেয়েছি । ফেজার বাইকের সবচেয়ে বড় জিনিস হল কমফোর্ট। এই বাইক চালিয়ে আমি ঢাকা থেকে পঞ্চগড়, তেতুলিয়া গিয়েছি।

আলহামদুলিল্লাহ্‌ যেমন ব্রেক তেমন কন্ট্রোল। ফেজারের পিলিওন সিট টা এক কথায় ট্যুরের জন্য বেস্ট। ইয়ামাহা ফেজার এর মাইলেজ ও পেয়েছি অনেক ভালো। ফেজার বাইকের পরে আমি FZS V3 বাইকটি ক্রয় করি।

FZS V3 বাইকটি এবিএস ভার্শন ছিলো। ফাস্ট টাইম এবিএস বাইক নিলাম। বাইকের ব্রেক FZS এর থেকে অনেক ভালো। এই বাইক নিয়ে আমি অনেক গুলো জেলায় ট্যুর দিয়েছি।

yamaha fazer fi v2

আমি আমার প্রথম বাইক যখন কিনি তখন আমি আমার ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে দেই। কারণ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া বাইক চালানো ঠিক না। আমি সব সময় আইন মেনে বাইক রাইড করি।

বাইক চালানোর সময় নিজের মাইন্ড স্থির রাখতে হবে। বাইক নিয়ে পাগলামি করা যাবে না। বাইক রাইডের সময় সেফটিগিয়ার ব্যবহার করতে হবে। আসা করি বাংলাদেশের সকল বাইকার ভাই-বোনেরা নিজেদের সেফটি নিয়ে এগিয়ে যাবেন বহুদূর।

আমার সকল বাইকার ভাই-বোন দের জন্য অনেক অনেক ভালবাসা থাকবে। আমি বাইক বিডি কে অনেক ভালবাসি
বাইক বিডি গ্রুপের মাধ্যমে আমি বাইক সংক্রান্ত তথ্য পেয়ে অনেক উপক্রিত হয়েছি। আল্লাহ্‌ যদি আমাকে বাঁচিয়ে রাখেন তাহলে কোনো এক দিন বাইক বিডি এর হয়ে কাজ করবো ইনশাআল্লাহ্‌।

সুভ্র সেন দাদা কে অনেক ভালো লাগে। দাদার সাথে প্রথম দেখা হয় ৩৬৫ গ্রুপ এর প্রোগ্রামে। বাইক বিডি এর স্টিকার টি শার্ট আমার অনেক অনেক পছন্দ। বাইক মানেই বাইক বিডি । ধন্যবাদ ।

 

লিখেছেনঃ রিসাদ অনিক
 
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।