TVS Apache RTR 160 বাইক নিয়ে রাইডিং অভিজ্ঞতা- মোঃ রনি
This page was last updated on 30-Jul-2024 06:00pm , By Shuvo Bangla
আমি মোঃ রনি । আমি একটি TVS Apache RTR 160 বাইক ব্যবহার করি । আজ বাইকটি নিয়ে রাইডিং অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো । আমার কাছে TVS এর সবচাইতে ভালো জিনিষ এটার ডিসপ্লে প্যানেল। অন্যান্য অনেক জরুরী জিনিষ ছাড়াও এটার মধ্যে আরও কিছু ফিচার আছে যেমন ঘড়ি, টপ স্পীড রেকর্ড, ০ থেকে ৬০ কত সেকেন্ডে তুলেছেন এর রেকর্ড।
অনেক বাইকারদের দেখি ক্যামেরা অথবা মোবাইল ক্যামেরা ব্যাবহার করেন টপ স্পীড অথবা ০ - ৬০ রেকর্ড করার জন্য যেটা আমি মনেকরি খুব রিস্কি যেকোনো সময় কোন দুর্ঘটনা হতে পারে । বাইকটির কিছু দুর্বল জিনিষের মধ্যে রয়েছে ফ্রন্ট সাসপেনশন যেটা এই বাইকের সাথে একদম খাপ খায়না কারন যখন আপনি হার্ড ব্রেক করবেন তখন সব চাপ সামনের দিকে চলে আসে যেটা বাইক এর চিকন Telescopic Forks 105 mm Stroke নিতে পারেনা আর পিছনের চাকা স্কিড করে।
আমার মতে যারা এই বাইক ব্যাবহার করছেন তারা RTR 180 এর সামনের সাসপেনশন ব্যাবহার করতে পারেন । TVS এর বাইক গুলোর ফুয়েল ট্যাঙ্ক ক্যাপাসিটি খুব ভালো সেটা বুঝতে পেলাম এই হরতাল আর অবরোধ এর মধ্যে। জরুরী একটা কাজে ঢাকা থেকে দিনাজপুর গিয়েছিলাম টোটাল ৭০০ কিলোমিটার আবার পরদিন ঢাকা চলে আসি। ১৬ লিটার তেল একবারই নিয়েছিলাম ঢাকা থেকে যেটা ঢাকায় ব্যাক করার পরেও কিছু ছিল।
এখন আসি টপ স্পীডের কথায় অনেকেই অনেক কথা বলে কিন্তু আমার মতে এই বাইকের টপ স্পীড ১১৯ - ১২০ এর বেশী উঠানো সম্ভব না আমি ১২০ তুলেছিলাম মাওয়া রোডে আর একটু হয়তো তুলতে পারতাম কিন্তু সামনে একটা গাড়ি এসে যাওয়ায় স্পীড কমিয়ে দিতে হয়েছিলো।
আমার মনে হয় কোনও ১৫০ সিসির বাইক এই বাইকের সাথে স্পিডিং এর ক্ষেত্রে পারবেনা কারন স্পীড আর এক্সিলারেসন সত্যি ভালো । কিন্তু দুর্বল সাসপেনশন এর জন্য হার্ড ব্রেক এর কথাটা মাথায় না রাখলে কিন্তু সমস্যা।
এবার আসি ভাইব্রেশন এর কথায়। সত্যি বলতে বাইকটি চালানোর সময় একটা ভাইব্রেশন অনুভব হয় কিন্তু ৬০ এর উপরে গেলে ওই ভাইব্রেশন আর তেমন বুজতে পারিনা আর কিছু দিন চালানোর পর অভ্যাস হয়ে যায়।
বাইকটি আমি টিভিএস এর শোরুম থেকে ক্রয় করি । এর আগে যখন ডায়ান ১১০ বাইকটি চালাতাম তখন কোমরে আর পিঠের নীচে একটা হাল্কা ব্যাথা অনুভব করতাম কিন্তু এই বাইকটি চালানোর পর কোনও ব্যাথা অনুভব হয়নাই। আর একটা টেনশন কাজ করছিলো এটার ইঞ্জিন নিয়ে শুনেছিলাম এটা নাকি খুব গরম হয় অথবা ইঞ্জিনের আওয়াজ নাকি পরিবর্তন হয়ে যায় লং ট্যুরে।
কি সমস্যা হতে পারে এটা পরীক্ষা করার জন্য ঘণ্টা দুয়েক একটানা চালিয়েছিলাম কিছু সময় ৯০ তে আর কিছু সময় ১০০ এর উপরে। আল্লাহর রহমতে কোন সমস্যা হয়নাই লাস্ট যশোর টু মাওয়া টুর এর পিছনের এবং সামনের টায়ার নিয়ে আমি সন্তষ্ট আমি খুব ভালো ভাবে কর্নারিং করতে পারি।
সব মিলিয়ে বাইকটা খুব ভালো লাগে আমার কাছে । বাইকটির লুকিং , পার্ফরমেন্স , হর্স পাওয়ার রেডি পিক আপ কিন্তু ব্রেকিং টা আরো একটু ভালো করা উচিত বলে আমি মনে করি এবং বাইকটার সামনের দিক খুবই হালকা যা ১০০+ স্পিড উঠলে রিস্কি হয়ে যায় । ধন্যবাদ ।
লিখেছেনঃ মোঃ রনি
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।