Lifan KPR 200 - আরেকটা বাজেট কিলার?
This page was last updated on 09-Jan-2025 03:24pm , By Badhan Roy
চায়না বেশিদিন যায়না – লোকমুখে প্রবাদটি বেশ প্রচলিত। কিন্তু বাইকিং কম্যুনিটিতে এই প্রবাদটি অনেকটাই ভিত্তিহীন প্রমাণ করেছে জনপ্রিয় চাইনিজ মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড লিফান। লিফানের সব সেগমেন্টের একের পর এক বাইক যেমন ছিল বাইকারদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে, তেমনই এর বিল্ড কোয়ালিটি, পারফরমেন্স এবং স্পেয়ার পার্টস এর সহজলভ্যতার কারনে রাসেল ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ তথা লিফান ব্র্যান্ড বাংলাদেশে ভরসার জায়গা করে নিয়েছে অল্প সময়েই।
স্পোর্টস সেগমেন্টে লিফান KPR 150, KPR 165 fi মডেলগুলি বহুল জনপ্রিয় এবং বাংলাদেশের বাইকারগণ এই সিরিজটিকে “বাজেট কিলার” বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন বেশি। কারন এই ধরণের একই স্পেসিফিকেশনসহ জাপানি বা ভারতীয় ব্র্যান্ডের বাইকের মূল্য লিফানের বাইকগুলির দামের প্রায় দেড় থেকে দ্বিগুণ হয়ে থাকে। আর এখন KPR সিরিজের অসাধারণ সফলতার উত্তরসূরী হিসেবেই বাংলাদেশে আসতে চলেছে Lifan KPR 200. তো চলুন এক নজরে বাইকটি সম্পর্কে ধারণা নেওয়া যাক।
Also Read: Lifan 160cc Price in Bangladesh At A Glance
Lifan KPR 200 - ডিজাইন:
স্পোর্ট লুক এর এগ্রেসিভ ডিজাইন ও স্পোর্টস সেগমেন্টের স্প্লিট সিটিং পজিশন Lifan বাইকটিতে করা হয়েছে। প্রথম দেখাতেই এটির স্পোর্টি শেপ বাইকটিতে বেশ প্রিমিয়াম একটি ফিল দেয়। ডুয়াল এলইডি হেডল্যাম্প ও ফ্রন্ট প্লেসড ওয়াইড মিরর বাইকের এগ্রেসিভ লুক ফুটিয়ে তোলে। বাইকের পিছনের দিকটিও যথেষ্ট শার্প করে তৈরী করা হয়েছে যা মনোযোগ আকর্ষণ করে।
Also Read: Lifan KPR 150 নিয়ে ঢাকা>কক্সবাজার>ঢাকাঃ ৮৫০ কিমিঃ ২৫ ঘণ্টা রাইড
Lifan KPR 200 - ইঞ্জিন স্পেসিফিকেশন:
Lifan KPR 200 বাইকটিতে রয়েছে ৬-স্পিড গিয়ারবক্স ও ওয়েট-মাল্টিপ্লেট ক্লাচের সাথে ১৯৮সিসি সিঙ্গেল-সিলিন্ডার, লিকুইড কুলড, ৪-ভাল্ভ, ৪-স্ট্রোক ইলেক্ট্রনিক ফুয়েল-ইনজেক্টেড (EFI) ইঞ্জিন, যা ৯০০০ আরপিএম-এ ২০.৫০ বিএইচপি পাওয়ার এবং ৭৫০০ আরপিএম-এ ২৩ এনএম টর্ক উৎপন্ন করে। বাইকটি ১৪০ কি.মি/ঘন্টা পর্যন্ত টপস্পিড দিতে সক্ষম। এই ইঞ্জিনটি NBF-2 প্রযুক্তির সাথে তৈরি, যা অত্যন্ত শক্তিশালী ও স্মুথ রাইডিং এক্সপিরিয়েন্স এর নিশ্চয়তা দেয়।
Also Read: Lifan bike showroom in Manikganj Sadar: Walid Motors
ফিচারস: Lifan KPR 200এর কিছু উল্লেখযোগ্য ফিচারস হলো:
সিট হাইট, ওজন ও গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স: ৭৭০ মি.মি এর সিট হাইট, ১৫৮ মি.মি এর গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ও ১৬০ কেজি ওজনের কার্ব ওয়েট থাকছে বাইকটিতে।
ইগনিশন সিস্টেম: ইলেক্ট্রনিক সেলফ ইগনিশন।
ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার: সম্পূর্ণ এলসিডি ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টারটিতে ফুয়েল লেভেল, একাধিক ট্রিপ মিটার, স্পিডোমিটার, ট্যাকোমিটার, গিয়ার, সার্ভিস ইন্ডিকেটর, এবিএস ইন্ডিকেটর, ঘড়ি ইত্যাদি দেওয়া আছে।
Also Read: Lifan KPR 150 V2 ৪০,০০০ কিলোমিটার মালিকানা রিভিউ - সৌরভ
এলইডি লাইটিং: এলইডি ডুয়াল হেডল্যাম্প, টেইল ল্যাম্প এবং হ্যালোজেন টার্ন ইন্ডিকেটর বাইকটিকে আধুনিক এবং আর্কষণীয় করে তুলেছে। ডুয়াল হেডল্যাম্পটি বেশ প্র্যাক্টিকাল ও স্পোর্টি বডিকিটের সাথে বেশ প্রিমিয়াম লুক দেয়।
টিউবলেস টায়ার: বাইকটির টায়ার সাইজ সামনের টায়ার 100/80-17, পিছনের টায়ার: 130/70-17. বাইকটিতে এলয় রিমের সাথে টিউবলেস টায়ার ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে টায়ার পাংচারের ঝুঁকি কম এবং বেটার কনফিডেন্স এর সাথে রাইড করা সম্ভব।
ব্রেক: ব্রেকিংএর জন্য সামনে ও পিছনে দেওয়া হয়েছে ডিস্ক ব্রেক সাথে ডুয়াল চ্যানেল এবিএস সিস্টেম যা বৃষ্টি ও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে খুবই জরুরী।
সাসপেনশন সিস্টেম: বাইকটির সামনে টেলিস্কোপিক শক অ্যাবজর্বার ও পিছনে এডজাস্টেবল মনোশক অ্যাবজর্বার ব্যাবহার করা হয়েছে যা রাইডিং কে আরামদায়ক করে তুলবে।
মাইলেজঃ ইন্টারনেট ও লিফান মোটরসাইকেল ইন্টারন্যাশনাল এর তথ্য অনুযায়ী ১৪ লিটারের ফুয়েল ক্যাপাসিটির সাথে প্রতি লিটার জ্বালানী তেলে বাইকটি ৩৫-৪০ কিলোমিটারের মাইলেজ দিতে সক্ষম। তবে পরিবেশ, জ্বালানীর মান এবং রাইডিং স্টাইলের উপর মাইলেজ কম বেশী হতে পারে।
তো এই ছিল Lifan KPR 200এর বিস্তারিত। স্বল্প বাজেটের মধ্যে প্রিমিয়াম ফিলসহ উচ্চসিসির ভরসাযোগ্য স্পোর্টস বাইক যে সকল বাইকারগণ খুজছেন তাদের জন্য বরাবরের মতই লিফানের এই বাইকটি হতে পারে ভাল একটি অপশন। আশা করা যায় শীঘ্রই বরাবরের মতই সাধারণ বাইকারদের কথা মাথায় রেখেই লিফান বাংলাদেশ তথা রাসেল ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ বাইকটি সুলভ মূল্যে বাজারজাত করবে।
বাইকের লঞ্চিং, মূল্য ও প্রি বুকিং, বিষয়ক তথ্য সবার আগে পেতে বাইকবিডির সাথেই থাকুন।