Lifan KPR 165R EFI ১০,০০০ কিলোমিটার মালিকানা রিভিউ - জুয়েল
This page was last updated on 29-Jul-2024 05:48pm , By Shuvo Bangla
আমি মোঃ জুয়েল চৌধুরী । ঢাকা সাভার বসবাস করি । আমি একটি Lifan KPR 165R EFI বাইক ব্যবহার করি । বাইকটি নিয়ে আজ আমি ১০,০০০ কিলোমিটার রাইডিং অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো ।
আমার প্রথম বাইক ছিল Bajaj Discover 125 । এর পরে আমি টারো জিপি বাইকটি ব্যবহার করি কিছুদিন পরে লিফান কেপিয়ার বাইকটি ক্রয় করি । বাইক আমার কাছে প্রয়োজন থেকেও বেশি কিছু ।
টারো জিপিতে ইঞ্জিন ছিল লিফান এর NBF1 ইঞ্জিন , তাই NBF2 এর কেপিয়ার কিনতে কোন প্রকার চিন্তা করিনি । বাইকটি ক্রয় করেছিলাম লিফান শোরুম নিউ বাইক সেন্টার থেকে । তখন Lifan KPR 165R EFI বাইকটির বাজার মূল্য ছিল ২,১০০০০ টাকা।
কেপিয়ার বাইকটি টারোর থেকে বেশ হালকা লাগছিল যার কারনে ইঞ্জিন পাওয়ার আমি খুব বেশি ফিল করেছিলাম । 17 HP & 17 NM টর্ক এর পাওয়ার আপনাকে মুগ্ধ করবে । বিশেষ করে এর LED প্রেজেকশন লাইট , থ্রি পার্ট হ্যান্ডেল , লিকুইড কুল ইঞ্জিন , ৬ টি গিয়ার এর কারনে আমার বাইকটি খুব পছন্দের ।
এখন পর্যন্ত বাইকটি ৪ বার সার্ভিস করেছি , সবগুলোই লিফান এর মিরপুরের সার্ভিস সেন্টার থেকে । মাইলেজ গড়ে ৪৪-৪৫ পেয়েছি । 10w40 গ্রেডের ফুল সেন্থেটিক ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করি ।
কিছু কিছু পার্টস পরিবর্তন করেছি মনোশক হর্নেট এর , চেইন গিয়ার এক্স এর , ফগ A7 , হর্ন পালসার এর , টায়ার টিমসান এর ।
Lifan KPR 165R EFI বাইকটির কিছু ভালো দিক -
- ইঞ্জিন পাওয়ার
- টর্ক
- ব্রেকিং
- লুকস
- রাইডিং কম্ফোর্ট
Lifan KPR 165R EFI বাইকটির কিছু খারাপ দিক -
- ইঞ্জিন হিটিং ইস্যু
- পেছনের ব্রেক কম কাজ করে
- স্টক চেইন লুজ হয়
- স্টক হর্ন ভালোনা
- ফুয়েল ট্যাংক গরম হয়
Lifan KPR 165R EFI বাইকটি নিয়ে আমি ঢাকা মাওয়া লং রাইড করি । এছাড়া ঢাকা - দিনাজপুর - বগুড়া রাইড করি । আমার মতে বাইকটির কিছু আপগ্রেড করা উচিৎ যেমন ডুয়েল হেডলাইট , ২০ HP এর ৪ ভাল্ব এর ইঞ্জিন চাই । সামনে ১০০ সেকশন এবং পেছনে ১৪০ সেকশন এর টায়ার দরকার । এবিএস ব্রেকিং দরকার । ধন্যবাদ ।