Lifan KPR 165R Carburetor ১৬০০০ কিলোমিটার রাইড - আনজিম
This page was last updated on 29-Jul-2024 09:59am , By Shuvo Bangla
আমি আনজিম বিন রহমান । প্রথমেই বলে রাখি আমার লাইফ এর ফার্স্ট বাইক Lifan KPR 165R Carburetor আমার বাইকটি চলছে টোটাল ১৬,০০০ কিলোমিটার ।
আমি সবার অমতে বাইকটি ক্রয় করি , কারন সবাই বলে চাইনিস বাইক ভালো না কিন্তু লিফান কেপিয়ার সবার এই ভুল ধারনা পরিবর্তন করে দিয়েছে।
দিনাজপুরে ২ থেকে ৩ টা কেপিয়ার আছে । তার মধ্যে আমি আর সৌরভ ভাই পরিচিত আর চাইনিজ বাইক হওয়ার কারনে খুবই আনকমন বাইক দিনাজপুর এ । অনেকেই জিগ্যেস করে ভাই এটা কি বাইক? মজাই লাগে ।
বাইক আমি ছোট বেলা থেকেই ভালবাসি আব্বুর Discover 135 ছিল সেটা থেকেই বাইক এর প্রতি নেশা আর ক্লাস ৭ থেকে বাইক চালাতে পারি কিন্তু বাইক এর অভাবে চালানো হয়ে উঠে নাই। আর যখন ইন্টার এ উঠি তখন কেপিয়ার ক্রয় করি আর এটাই আমার লাইফ এর ফার্স্ট বাইক।
প্রথমেই কেপিয়ার এর এত কুইক এক্সেলারেশন এর জন্য আমি ফ্যান হয়ে যাই । কারন এত কম টাকায় এত ভাল থ্রটল রেস্পস আর কোন বাইক এ আমি পাই নাই আর আমার স্পোর্টস বাইক সব থেকে প্রিয় তাই লিফান কেপিয়ার বেছে নেয়া ।
Lifan KPR 165R বাইকটির দাম ২ লক্ষ টাকা আর বাইকটি আমি পুরাতন ক্রয় করেছিলাম তাই Lifan showroom এ গিয়ে বাইক ক্রয় করার গল্পটা বলতে পারলাম না ।বাইকটি যেহেতু আমি পুরাতন ক্রয় করেছিলাম আমাকে বগুরা থেকে বাইক এনে দিয়েছে সেইদিনি বাইক চালানোর পরে আরও বেশি ভক্ত হয়ে গিয়েছিলাম কেপিয়ার এর । যেহেতু অনেক পাওয়ার এই বাইকে তাই দুই একবার হুইলি উঠে গেসিলো প্রথমেই, অনেক ভয় পেয়েছিলাম।
লিফান কেপিয়ার বাইকের মত ইঞ্জিন পাওয়ার ২ লক্ষ টাকার আশে পাশে কোন বাইকে নেই । আরপিএম মিটার টা জোস লাগসে এত বড় আর সাথে ডিজিটাল মিটার ও রয়েছে গিয়ার ও টাইম দেখা যায় ।
আমি যেহেতু দিনাজপুর থাকি তাই এখানে কোন সার্ভিস সেন্টার নেই কেপিয়ার এর, তাই এখানে লোকাল মেকানিক দিয়েই কাজ করিয়েছি আর খুব বেশি একটা সমস্যা না কেপিয়ার এর সার্ভিস কম বেশি সবাই পারে ।
মাইলেজ -
যদি Lifan KPR 165R Carburetor এর মাইলেজ এর কথা বলি তাহলে বলবো ৩০ থেকে ৩৫ পাচ্ছি সিটি রাইডে আর হাইওয়েতে ৩৮+ আর যদি খুব হাই আরপিএম এ চালাই তাহলে ২৫ এর মত থাকে তবে মাইলেজটা একটু ভাল দিতে পারত আমার মতামত।
ইঞ্জিন অয়েল -
আমি আমার বাইক এ মতুল 10w40t 7100 FULL SYNTHETIC ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করি যার কারনে পারফরম্যান্স খুব ভালো থাকে। ইঞ্জিন অয়েলটির দাম ১২০০ টাকা এটা অনেক ভাল ইঞ্জিন অয়েল ।
এখন পর্যন্ত ব্রেক সু , এয়ার ফিল্টার , আর কেপিয়ার এর স্টক চেইন টা ভাল না তাই গিয়ার এক্স ও রিং চেইন লাগিয়েছি ৷
আমি ফাকা রাস্তা ছাড়া স্পিড তুলিনা তবে ১১০ পর্যন্ত তুলেছি পিলিওন নিয়ে তবে নিজের লিমিট এ স্পিড রাখি । ডাবল ডিক্স ব্রেকিং সিস্টেম এর ব্রেকিং খুব ভালো ।
Lifan KPR 165R Carburetor বাইকটির কিছু ভাল দিক -
- কম টাকায় ভাল একটা বাইক
- থ্রটল রেস্পন্স
- বিল্ড কোয়ালিটি
- লিকুইড কুল ইঞ্জিন
- ডাবল ডিক্স ব্রেকিং সিস্টেম
Lifan KPR 165R Carburetor বাইকটির কিছু খারাপ দিক -
- দিনাজপুর এ থাকি কিন্তু সার্ভিস সেন্টার নেই
- গাড়ি জ্যাম এ পরলে ইঞ্জিন অনেক হিট হয়ে যায় ট্যাংক অনেক গরম হয়ে যায়
- টার্নিং রেডিয়াস অনেক বেশি যার কারনে ঘুরাতে অনেক জায়গা লাগে
- কিছু কিছু পার্টস পাওয়া যায় না ঢাকা থেকে আনতে হয়।
- লম্বা মানুষরা চালাতে একটু প্রব্লেম হতে পারে যদিও আমি ৬ ফিট। তবে স্পোর্টস বাইক হিসেবে সিট হাইট বাড়াতে পারতো ।
বাইকটি নিয়ে বেশিদুর যাওয়া হয় নাই তবে আশে পাশে ঘুড়েছি । হাইওয়েতে বাইকটির পারফরম্যান্স অসাধারণ ।
বলতে পারেন বাইক টা কাদের জন্য ?
যারা প্রচুর ট্যুর করে তাদের জন্য বেস্ট এই বাইক। তবে সিটি রাইড এ কেপিয়ার খুব একটা বেস্ট না কারন হিট হয়ে যায় কিন্তু হাইওয়ে তে একদমি হিট হয় নাহ। যদি আপনার ২ লক্ষ টাকা বাজেট থাকে আর স্পোর্টস বাইক এর ফিল নিতে চান Then Go For KPR, it’s best deal ।
আজকের জন্য আল্লাহ হাফেজ সবাই ভাল থাকবেন আর হেলমেট পরে বাইক চালাবেন । ধন্যবাদ ।