CAFE RACER এর ইতিহাস এবং বর্তমান অবস্থা
This page was last updated on 14-Jan-2025 04:11pm , By Saleh Bangla
সাম্প্রতিক সময়ে বাইকের মধ্যে বাংলাদেশে CAFE RACER নামটি টিন এজার ও উঠতি বয়েসি বাইকারদের মাঝে বেশ সাড়া ফেলেছে। আসুন আমরা জেনে নেই CAFE RACER এর ইতিহাস ও বর্তমান অবস্থা।

Also Read: 1200cc Cafe Racer Bikes in Bangladesh at a glance | BikeBD
ক্যাফে রেসার হচ্ছে হালকা ওজনের এবং বাইরের দেশে প্রচলিত হাইয়ার সিসি বাইকগুলোর তুলনায় কম শক্তিসম্পন্ন ইঞ্জিন চালিত এমন ডিজাইনের বাইক যেটিতে রাইডিং কম্ফোর্ট এর চেয়ে স্পিড ও হ্যান্ডলিং এর প্রতি বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। যাতে স্বল্প দুরত্বের রাস্তাগুলোতে রেসিং স্টাইলে অতি অল্প সময়ে গন্তব্যে পৌছানো যায়।

Also Read: Kove 500F Scrambler Euro5 Price in BD

Keeway Cafe Racer 152 Price In Bangladesh
CAFE RACER ডিজাইন করার সময় ১৯৬০ সালের প্রথমদিকে গ্রান্ড প্রী (GRAND PRIX) মোটোরসাইকেল রোড রেসের বাইকগুলোর অনুকরন করার প্রচলন দেখা যায়, যেগুলোর কিছু সাধারন বৈশিষ্ট্য হলোঃ • ভিজুয়াল মিনিমালিজম নীতি (যত কম বডিপার্ট ততই ভালো) • লো মাউন্টেড হ্যান্ডেলবার ( নিচু ভাবে ইন্সটল করা হ্যান্ডেল বা ক্লিপ অন হ্যান্ডেল) • সিটে কাউলিং এর ব্যবহার • লম্বা ও ফ্ল্যাট টাইপের ফুয়েল ট্যাংক • ফুয়েল ট্যাংকে হাটু ফিট হবার জন্য নি গ্রিপ (KNEE GRIP) ডিজাইন
Also Read: Cafe Racer Cadwell price in Bangladesh
বর্তমান সময়ের ক্যাফে রেসার গুলোতেও এধরণের বৈশিষ্ট্য গুলো দেখা যায়। আলাদা ধরণের ডিজাইন হবার পাশাপাশি CAFÉ RACER এর ইঞ্জিনগুলো এমন ভাবে টিউন করা থাকে যেন অল্প সময়ে সর্বোচ্চ গতি অর্জন করা যায় এবং উচ্চ গতিতে কন্ট্রোল ভালো থাকে। ইউরোপ এবং ইউএসএ তে TRITRON CAFÉ RACER গুলো বহুল প্রচলিত যেটি একটি হোমমেড CAFÉ RACER প্রডাক্ট যা নরটন ফেদারবেড মোটোরসাইকেলের ফ্রেম ও ট্রায়াম্প বোনভিল মোটোরসাইকেলের ইঞ্জিন দিয়ে তৈরি। এছাড়াও আছে TRIBSA CAFÉ RACER যা ট্রায়াম্প এর ইঞ্জিন ও বিএসএ ফ্রেম দিয়ে তৈরি।
Also Read: 220cc Cafe Racer Bikes Price In Bangladesh | BikeBD
CAFE RACER গুলোর জন্মই হয়েছে মডিফাইড শর্ট ডিস্টেন্স রেসিং মেশিন হিসেবে। ৭০ এর দশকে ইউরোপে বাইকারদের মধ্যে মডিফিকেশন এর হিড়িক পড়ে যায়। এসময়কার টিন এজার ও তরুন বাইকাররা তাদের লো ডিসপ্লেসমেন্ট (কম সিসির) বাইকগুলোকে নতুন শেপের সিট, নিচু হ্যান্ডেলবার, হেডলাইটের চারিদিকে ছোট ফেয়ারিং ও ফ্রি ফ্লো এক্সস্ট ব্যাবহার করে CAFÉ RACER স্টাইলের বাইক তৈরি করতে থাকে যা অনুধাবন করতে পেরে BENELLI, BMW, DERBY, BULTACO ইত্যাদি বিখ্যাত বাইক নির্মাতারা তাদের বাইকগুলোর নিয়মিত মডেলগুলোর পাশাপাশি সেগুলোর ক্যাফে রেসার ভার্শন বাজারে আনে, যেই প্রচলন এখনো চালু আছে।
Also Read: আমার মোটরসাইকেল চালানোর শুরু ও Cafe Racer বানানোর গল্প
বর্তমান সময়ে এসেও CAFE RACER ধরণের বাইকগুলোর বিশ্বব্যাপী প্রচুর চাহিদা থাকায় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও CAFÉ RACER থেকে তাদের আগ্রহ হারায়নি। ২০১৭ সালে বিশ্ব বাজারে বিভিন্ন নামিদামি কোম্পানিগুলোর বেশ কিছু ক্যাফে রেসার মডেল প্রচলিত আছে যেমনঃ ট্রায়াম্প এর ১। থ্রাক্সটন ২। স্ট্রিট কাপ, বিএমডব্লিউ এর R9 T RACER, ডুকাটি এর স্ক্র্যাম্বলার ক্যাফে রেসার, ইয়ামাহা এর XSR900 ABARTH, হার্লি ডেভিডসন এর XL1200CX ROADSTER ইত্যাদি। তবে CAFÉ RACER আইডিয়াটি থেকে পরবর্তিতে কাছাকাছি ডিজাইনের অনেকগুলো ভ্যারিয়েন্ট এর জন্ম দেয় যেমন- স্ক্র্যাম্বলার, ট্র্যাকার, ব্র্যাট, ববার ও চপার। এগুলোর সিট ও সিটিং স্টাইল, হ্যান্ডেল ও চাকার ধরণে মূল CAFÉ RACER থেকে আলাদা।
Also Read: Norton Commando 961 Cafe Racer Price in Bangladesh
বাংলাদেশে ক্যাফে রেসার ধারনাটি এখনো সম্পূর্ণ মডিফাইড স্টেজেই রয়ে গেছে। রাস্তায় যেসব CAFÉ RACER ও ব্র্যাট স্টাইলের বাইকগুলো দেখা যায় সেগুলো বেশিরভাগই YAMAHA RX-100, SUZUKI AX 100 , HONDA CG 125 ও এই ধরণের ১০০ ও ১২৫ সিসির বাইক মডিফাই করে তৈরি করা। যেহেতু বাংলাদেশে বাইকের সিসি লিমিট মাত্র ১৬০ সিসি তাই হাইয়ার সিসির অরিজিনাল ক্যাফে রেসার এখনো বাঙ্গালীর কল্পনাতেই রয়ে গেছে। এ মুহূর্তে বাংলাদেশে ২ টি চাইনিজ ম্যানুফ্যাকচার্ড ক্যাফে রেসার স্টাইলের বাইক এসেছে ১। VICTOR R-100 café racer (রাসেল ইন্ডাস্ট্রিস)- বাজারে এভেইলেবল, ২। KEEWAY CAFÉ RACER 152 (স্পিডোস লিমিটেড)- লঞ্চ হয়েছে, জুলাই মাস থেকে এভেইলেবল হবে।
