১৫০ এবং ১৬০ সিসি সেগমেন্টের সেরা কম্ফোর্টেবল বাইক - ১০ টি

This page was last updated on 31-Jul-2024 06:03am , By Raihan Opu Bangla

সেরা কম্ফোর্টেবল বাইক এর তালিকায় আমরা সেই বাইকগুলোকে রেখেছি যেই বাইকগুলোর রাইডার এবং পিলিয়ন সিট বেশ প্রশস্থ এবং কম্ফোর্টেবল। এই আর্টিকেলে সেই বাইকগুলোকে তুলে ধরা হলো যেই বাইকগুলোর সাসপেনশন বাংলাদেশের রাস্তায় ভালো সাপোর্ট দেয়। চলুন তাহলে সেই বাইকগুলো নিয়ে জেনে নেয়া যাক।১৫০-এবং-১৬০-সিসি-সেগমেন্টের-সেরা-কম্ফোর্টেবল-বাইক---১০-টি

১৫০ এবং ১৬০ সিসি সেগমেন্টের সেরা কম্ফোর্টেবল বাইক

Yamaha-FZS-V3

1-Yamaha FZS V3

কন্ট্রোল এবং কম্ফোর্টের দিক বিবেচনা করে Yamaha FZS সিরিজটি বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয়। Yamaha FZS V3 বাইকটির সিট আগের চাইতে বেশ প্রশস্ত , এর ফলে রাইডার এবং পিলিয়ন সিট সাথে এর সাসপেনশনের কারণে বাইকটি রাইড করে বেশ কম্ফোর্টেবল। বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে 150 cc ইঞ্জিন , বাইকটির সামনে ব্যবহার করা হয়েছে 100/80-17M সেকশন টায়ার এবং পেছনে 140/60-R17M সেকশন টায়ার ।Yamaha-Fazer-FI-V2

2-Yamaha Fazer FI V2

যারা ট্যুর করতে পছন্দ করেন তাদের কাছে Yamaha Fazer V2 বাইকটিতে বেশ জনপ্রিয়। এর প্রধান কারন হচ্ছে বাইকটির কন্ট্রোল এবং কম্ফোর্ট,বাইকটির সামনে ব্যবহার করা হয়েছে 100/80-17M সেকশন টায়ার এবং পেছনে 140/60-R17M সেকশন টায়ার ।Haojue-DR-160

3- Haojue DR 160

Haojue DR 160 বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ১৬০ সিসির ইঞ্জিন। বাইকটিতে CBS ব্রেকিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে, বাইকটির সামনে ব্যবহার করা হয়েছে 100/80 R17 সেকশন টায়ার এবং পেছনে ব্যবহার করা হয়েছে 130/70 R17 সেকশন টায়ার , উভয় টায়ার টিউবলেস।Honda-X-Blade-160

4- Honda X-Blade 160

Honda X-Blade 160 এর ফ্রন্ট লুকস এর জন্য খুব অল্প সময়ে বাংলাদেশের অনেক বাইকারের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বাইকটির রাইডার এবং পিলিয়ন সিট অনেক কম্ফোর্টেবল । বাইটির ওজন 140 কেজি , বাইকটির সামনে ব্যবহার করা হয়েছে 80/100-17 সেকশন টায়ার এবং পেছনে 130/70-17 সেকশন টায়ার।Hero-Hunk

5- Hero Hunk

বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে 149 সিসির Four stroke, single cylinder, air cooled ইঞ্জিন। ইঞ্জিন থেকে ম্যাক্সিমাম 14.2 bhp @ 8500 rpm পাওয়ার এবং 12.8 Nm @ 6500 rpm টর্ক উৎপন্ন হয়। বাইকটির ওজন ১৪৫ কেজি, বাইকটির সামনে ব্যবহার করা হয়েছে Telescopic hydraulic সাসপেনশন ।TVS-Apache-RTR-160-4V

6-TVS Apache RTR 160 4V

TVS Apache RTR 160 4V তরুনদেন কাছে বেশ জনপ্রিয় , এই বাইকটির সিট যেমন লম্বা ঠিক তেমন বেশ প্রশস্থ । আর বাইকের সিট সফট হওয়ার কারণে এই বাইকটির রাইডার এবং পিলিয়ন সিট অনেক আরামদায়ক। বাইকটির সামনে ব্যবহার করা হয়েছে Telescopic fork সাসপেনশন , এবং পেছনে ব্যবহার করা হয়েছে Monoshock সাসপেনশন।Bajaj-Avenger

7- Bajaj Avenger

বাজাজ বাংলাদেশের বাজারে অনেক জনপ্রিয়, যারা বাইক থেকে কম্ফোর্ট আশাকরে তাদের অনেক কাছে Bajaj Avenger জনপ্রিয়। নতুন Bajaj Avenger বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে 160 সিসি ইঞ্জিন । এই বাইকটিতে সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস ব্যবহার করা হয়েছে, বাইকটির ওজন156 কেজি।Bajaj-Pulsar-150-Single-Disc

8- Bajaj Pulsar 150 Single Disc

Bajaj Pulsar 150 অনেক বছর ধরে বাংলাদেশের বাজারে বেশ শক্ত অবস্থান ধরে আছে, বাইকটি অধিকাংশ বাইকারের কাছে বেশ প্রিয়। এর প্রশস্থ সিট এবং কম্ফোর্টেবল রাইডিং পজিশন এর জন্য যে কোন বয়সী বাইকার বাইকটি অনেক পছন্দ করে। বাইকটির সামনে ব্যবহার করা হয়েছে Telescopic সাসপেনশন এবং পেছনে ব্যবহার করা হয়েছে 5 Way Adjustable সাসপেনশন।ulsar-NS-160-ABS

9- Pulsar NS 160 ABS

বাজাজ পালসার NS বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ১৬০ সিসির ইঞ্জিন, ইঞ্জিন থেকে ম্যাক্সিমাম 15.02 PS @ 8500 RPM পাওয়ার এবং 14.12 Nm @ 6500 RPM টর্ক উৎপন্ন হয়। বাইকটির ওজন 148 কেজি , বাইটির সামনে ব্যবহার করা হয়েছে 260 mm Disc ABS ব্রেক এবং পেছনে ব্যবহার করা হয়েছে 230 mm Disc ব্রেক।

10- Suzuki Gixxer

নতুন Suzuki Gixxer বাইকটি তার লুকসের কারণে অনেকের মনে একটা আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। বাইকটির রাইডার এবং পিলিয়ন সিট বেশ কম্ফোর্টেবল হওয়ার কারণে বাইকটি আমাদের আজকের লিস্টে জায়গা করে নিয়েছে। বাইকটি এবিএস এবং নন এবিএস দুটি ভার্সনে বাংলাদেশের বাজারে লঞ্চ করা হয়েছিল।

সব দিক বিবেচনা করে এই ১০ টি বাইক আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো। সব সময় নিয়ন্ত্রিত গতিতে বাইক রাইড করুন এবং ভালোমানের হেলমেট ব্যবহার করুন।