ভালো ইঞ্জিন অয়েল চেনার সহজ কিছু উপায় - জানুন বিস্তারিত

This page was last updated on 16-Jul-2024 02:02am , By Raihan Opu Bangla

যে কোন ভালো জিনিসের কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে, ঠিক তেমনি ভালো ইঞ্জিন অয়েল এর কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। আপনি যখন আপনার বাইকে ভালো মানের কোন ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করবেন তখন আপনার বাইকে বেশ কিছু পরিবর্তন আপনি খেয়াল করবেন। আর যদি আপনি এই পরিবর্তন সম্পর্কে জানেন তাহলে আপনি নিজেই ভালো খারাপ ইঞ্জিন অয়েল চিনতে পারবেন।ভালো ইঞ্জিন অয়েল 

ভালো ইঞ্জিন অয়েল এর বৈশিষ্ট্যঃ


১- স্মুথ গিয়ার শিফটিংঃ

আপনি যখন আপনার বাইকে কোন ভালো মানের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করবেন তখন আপনার বাইকের গিয়ার শিফটিং অনেক স্মুথ হবে। অনেক সময় দেখা যায় অনেকের বাইকের গিয়ার শিফটিং হার্ড হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে ভালো ইঞ্জিন অয়েল আপনার বাইকের গিয়ার শিফটিং স্মুথ করতে সাহায্য করে। তবে তার জন্য আপনার সব সময় বাইকের ক্লাচ সঠিকভাবে এডজাস্ট রাখতে হবে। অনেক সময় বাইকের ক্লাচ এডজাস্ট না থাকলে আপনার বাইকের গিয়ার শিফটিং হার্ড হয়ে যায়।

স্মুথ ইঞ্জিন

২- স্মুথ ইঞ্জিন পারফরম্যান্সঃ

আপনি যখন আপনার বাইকে ভালো ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করবেন তখন আপনার বাইকের ইঞ্জিন থেকে আপনি বেশ স্মুথ পারফরম্যান্স পাবেন। আপনি নিজে থেকে বুঝতে পারবেন আপনার বাইকের ইঞ্জিনে ভালো কিছু রয়েছে।

স্মুথ সাউন্ড

৩- স্মুথ সাউন্ডঃ

অনেক সময় ইঞ্জিন অয়েলের কারনে বাইকের সাউন্ড কিছুটা নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু আপনি যদি ভালোমানেই ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করেন তাহলে আপনার বাইকের ইঞ্জিন থেকে আপনি স্মুথ সাউন্ড পাবেন। আর ইঞ্জিনে যদি ইঞ্জিন অয়েল জনিত কোন সাউন্ড সমস্যা থাকে তাহলে সেটিও দূর হয়ে যাবে।

Also Read: Castrol Activ 4T 20W50 Price In BD

৪- হিটিং ইস্যু কমে যাওয়াঃ

আপনার বাইকে যদি অতিরিক্ত হিটিং সমস্যা থাকে আর আপনি যদি তখন ভালো মানেই ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করেন, আপনার বাইকের হিটিং সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে। তবে তার জন্য আপনাকে অবশ্যই আপনার বাইকের রিকমন্ডেড গ্রেড ফলো করতে হবে।

রেডি পিকাপ

৫- রেডি পিকাপ কিছুটা ভাল পাওয়াঃ

বাজারে ভালো ভালো কিছু কোম্পানির ইঞ্জিন অয়েল আছে যে অয়েলগুলো আপনার বাইকের রেডি পিকাপ কিছুটা বৃদ্ধি করবে। তবে এটা সব ভালো ইঞ্জিন অয়েলে কিন্তু হয় না।  আপনার বাইকের ইঞ্জিন যদি স্মুথ থাকে তাহলে আপনি আপনার বাইক থেকে রেডি পিকাপ মাইলেজ টপ স্পীড সব কিছুই আগে থেকে বেটার পাবেন।

ইঞ্জিন অয়েলের পারফরম্যান্স

৬- ইঞ্জিন অয়েলের পারফরম্যান্স কমবে নাঃ

ইঞ্জিন অয়েল যদি খারাপ হয় তাহলে আপনি যখন হাইস্পীডে  হাইওয়েতে দীর্ঘ সময় বাইক চালাবেন তখন ইঞ্জিন অয়েল তার পারফরম্যান্স ছেড়ে দিবে। এর ফলে আপনার বাইকের সাউন্ড চেঞ্জ হয়ে যাবে কিছুটা এবং আপনার বাইকের গিয়ার শিফটিং হার্ড মনে হবে। কিন্তু আপনার বাইকের ইঞ্জিন অয়েল যদি ভালো হয় তখন আপনার বাইকে এই সমস্যা দেখা দিবে না।

ভালো ইঞ্জিন অয়েল বাইকের ইঞ্জিনে ছোট ছোট অনেক চেঞ্জ আনে, আর এই চেঞ্জগুলো খেয়াল করলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন আপনার বাইকের ইঞ্জিন অয়েলটি ভালো।ভালো ইঞ্জিন অয়েল কোথায় পাবো?

ভালো ইঞ্জিন অয়েল কোথায় পাবো?

এই প্রশ্নটা আমাদের সবার মনে কম বেশি থাকে, আর এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেয়াটা কিছুটা কষ্টকর। তবে বর্তমান সময়ে ভালো ইঞ্জিন অয়েল কোম্পানিগুলোর নিজেদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ অথবা ওয়েবসাইট থাকে। আপনি যদি আপনার আশেপাশে ভালো ইঞ্জিন অয়েল খুজে না পান তাহলে সেই পেজ বা ওয়েবসাইটে যোগাযোগ করুন। আর আপনি যার থেকে ইঞ্জিন অয়েল কিনে থাকেন আগে এটা অবশ্যই যাচাই করে নিবেন তিনি ওই ইঞ্জিন অয়েল কোম্পানির অফিসিয়াল অফিসিয়াল ডিস্ট্রিবিউটর কিনা? কারন অফিসিয়াল ডিস্ট্রিবিউটর থেকে ইঞ্জিন অয়েল কিনলে ইঞ্জিন অয়েল খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে।

ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহারের পর ইঞ্জিন অয়েলের বোতলটি ছ্রিদ্র করে দিবেন, যাতে ওই বোতল পরবর্তিতে আর ব্যবহার করা না যায়।

Mobil

ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন কত কিলো পর পর করা উচিৎঃ


ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন নিয়ে আপনি ভিন্ন মত পাবেন। তবে আমার বাইক যেহেতু আমার কাছে অনেক বেশি প্রিয় ঠিক তেমনি আপনাদের বাইকও আপনাদের কাছে অনেক প্রিয়। আমাদের দেশের রাস্তা, তাপমাত্রা, ট্রাফিক জ্যাম ইত্যাদি দিক বিবেচনা করে আমি আমার বাইকের ইঞ্জিন অয়েল (মিনারেল) ৮০০-১০০০ কিলো এর মধ্যে পরিবর্তন করে ফেলি, আর যদি ইঞ্জিন অয়েল সিস্থেটিক হয় তাহলে ২০০০-২৫০০ কিলো ব্যবহার করে থাকি। তবে ৫০০ কিলো পর আমি ইঞ্জিন অয়েল একবার চেক করে নেই, তার উপর বাকি সিদ্ধান্ত নেই।