বাইক সার্ভিসিং করার সময় যে ১৫ টি কাজ অবশ্যই করানো উচিৎ

This page was last updated on 11-Oct-2023 12:33pm , By Ashik Mahmud Bangla

মনের মতো বাইক সার্ভিসিং করার জায়গাটা খুজে পাওয়া অনেক বড় একটা সমস্যা, আপনার সাথেও হয়তো এমন অনেকবার হয়েছে, বাইক সার্ভিসিং করিয়েছেন কিন্তু কাজ পছন্দ হয় নি। কিন্তু একটা জিনিস আমাদের জেনে রাখা উচিৎ আমরা যদি বাইক সার্ভিসিং এর সম্পর্কে ধারণা রাখি তাহলে আমাদেরকে ঠকানো অনেক কঠিন হবে। 

আজ আমরা এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।


 


বাইক সার্ভিসিং এর সময় যে ১৫ টি কাজ অবশ্যই করানো উচিৎঃ


১- ভালো সার্ভিস সেন্টার খুজে বের করাঃ

বাইক সার্ভিসিং এ ভালো ফল পেতে হলে সবার আগে আপনাকে ভালো একটা সার্ভিস সেন্টার খুজে বের করতে হবে, যেখানে দক্ষ টেকনিসিয়ান থাকে। আপনার বাইকে কেমন সার্ভিসিং হবে সেটা পুরোটা মেকানিকের দক্ষতার উপর নির্ভর করে। মেকানিক যদি ভালো হয় তাহলে বাইক সার্ভিসিং করানোর পর আপনি বাইক চালিয়ে বেশ ভালো মজা পাবেন।

 


২- বাইকের সব ক্যাবল চেকঃ

আমরা জানি বাইকে অনেক রকম ক্যাবল থাকে, তবে এর মধ্যে বাইকের থ্রটল ক্যাবল এবং ক্লাচ ক্যাবলটা আমাদের অদিকাংশ মানুষের কাছে চেনা। আপনি যখন বাইক সার্ভিসিং করাতে দিবেন তখন বাইকের ক্যাবলগুলো ভালোভাবে চেক করিয়ে নিন। যদি কোন সমস্যা না থাকে তাহলে ক্যাবলগুলো ভালোভাবে ওয়াশ করিয়ে নিন। আর যদি কোন ক্যাবল ছেড়া থাকে তাহলে সেটা বদলে ফেলুন।


৩- কার্বুরেটর / ফুয়েল ইনজেকটর চেকঃ

আমাদের দেশে তেলের অবস্থা খুব বেশি ভালো না সেটা আমরা সবাই জানি, আর খারাপ তেল বাইকের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। খারাপ তেলে অনেক ধরনের সমস্যা থাকে যা আপনার বাইকের কার্বুরেটর / ফুয়েল ইনজেকটরে বেশ বড় মাপের ক্ষতি করে। 

Also Read: মটরসাইকেল ভাল করে চালানোর জন্য কিছু রুটিন সার্ভিসিং টিপস

বাইক সার্ভিসিং করার সময় আপনার বাইকের এই জিনিসটি অবশ্যই চেক দিবেন এবং পরিষ্কার করিয়ে নিবেন। কার্বুরেটরের টিউনিং এ সমস্যা মনে হলে সেটা এডজাস্ট করিয়ে নিবেন।


 


৪- ট্যাপিড চেকঃ

ট্যাপিড যদি এডজাস্ট না থাকে বাইকের ইঞ্জিন থেকে বাজে শব্দ আসবে, শুধু বাজে শব্দ না বাইকের ইঞ্জিনে বেশ কিছু সমস্যা ফিল করবেন। তাই সার্ভিসিং এর সময় ভালো কাউকে দিয়ে বাইকের ট্যাপিড অবশ্যই এডজাস্ট করিয়ে নিতে হবে।


৫- ব্যাটারি চেকঃ

বাইকের ব্যাটারি বাইকের জন্য অত্যন্ত গুরুতবপূর্ণ, বাইকের ব্যাটারি যদি ঠিক না থাকে বাইকের অনেক ফাংশনই ঠিকভাবে কাজ করবে না।বাইকের ব্যাটারি ঠিক আছে কিনা চার্জ সঠিক আছে কিনা সেই জিনিসগুলো ভালোভাবে চেক করিয়ে নিন।



৬- চেসিসে ভালোভাবে চেক দেয়াঃ

অনেক সময় দেখা যায় বাইকের চেসিস নিজেদের অজান্তেই ভেংগে যায়, কিন্তু আমরা নিয়মিত চেক না করার জন্য সেটা বুঝতেও পারি না। বাইক সার্ভিসিং করার সময় বাইক যেহেতু খোলা হয় তাই এই সময় বাইকের চেসিস চেক করাটা খুব সহজ,বাইকের চেসিস কোথাও ভেংগে গেছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখুন।


৭- নাটগুলো ভালোভাবে চেক দেয়াঃ

বাইক চালালে বাইকের নাট লুস হবে এটা নরমাল একটা ব্যাপার, কিন্তু আপনি যখন বাইক সার্ভিসিং করাবেন তখন এটি ভালোভাবে চেক করিয়ে নিবেন। বাইকের কোন নাট লুস থাকলে অথবা হারিয়ে গেলে সেটা অবশ্যই পরিবর্তন করে নিবেন। বাইকের নাট খুব ছোট একটা জিনিস কিন্তু এটি বাইকের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই বাইকের নাটগুলোর দিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখুন।

 


bmc air filter


৮- এয়ার ফিল্টার চেকঃ

বাইকের এয়ার ফিল্টার বাইকের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ,এয়ার ফিল্টার যদি ঠিক না থাকে আপনার বাইকে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিবে। এর মধ্যে বাইকের ইঞ্জিন হিট হওয়া অন্যতম একটি কারন।বাইকের এয়ার ফিল্টার যদি ময়লা হয়ে যায় অথবা নষ্ট হয়ে যায় আপনি বাইক চালিয়ে মজা পাবেন না। 


বাইক সার্ভিসিং করানোর সময় বাইকের এয়ায় ফিল্টার নষ্ট হয়ে গেলে সেটা পরিবর্তন করে নিন। এয়ার ফিল্টার নিয়ে কখনো অবহেলা করবেন না। এয়ার ফিল্টার খারাপ হলে আপনার বাইকের মাইলেজ ও কমে যেতে পারে।


৯- উভয় চাকা চেক করানোঃ

বাইকের চাকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা আলাদাভাবে বলার কিছু নেই। বাইক সার্ভিসিং করানোর সময় বাইকের চাকার বিয়ারিংগুলো ভালোভাবে চেক করিয়ে নিন। বিয়ারিং ঠিক না থাকলে বাইকের চাকা যাম হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

এছাড়াও চাকার বিয়ারিং এ সমস্যা থাকলে বাইকের চাকা কাপবে, এর ফলে আপনি বাইক নিয়ন্ত্রণ করে কনফিডেন্স পাবেন না। 


১০- চেইন এডজাস্টমেন্টঃ

বাইকের চেই যদি সঠিক মাপে না থাকে তাহলে বাইকের গতি কমে যাবে। এছাড়াও বাইকের চেইন কখনো বেশি টাইট অথবা বেশি লুস রাখা উচিৎ না। বাইক যখন সার্ভিসিং করাবেন বাইকের চেইনের এডজাস্টমেন্ট ঠিকভাবে করিয়ে নিবেন।


১১- ক্লাচ এডজাস্টমেন্টঃ

বাইকের ক্লাচ সঠিক মাপে আছে কিনা সেটা অবশ্যই চেক করাবেন সার্ভিসিং এর সময়। ক্লাচ কখনো বেশি টাইট অথবা বেশি লুস রাখবেন না। ক্লাচের উপর ক্লাচ প্লেটের স্থায়িত্বকাল অনেকটা নির্ভর করে। বাইকের ক্লাচ নিয়ে সচেতন থাকুন দেখবেন আপনার বাইকের ইঞ্জিন অনেকদিন ভালো থাকবে। 


১২- ট্যাংক ওয়াশঃ

আমাদের দেশে তেলের অবস্থা খুব ভালো না, তাই বাইকের ট্যাংকে খুব দ্রুত ময়লা জমে যায়। বাইক সার্ভিসিং এর সময় অবশ্যই বাইকের ট্যাংক পরিষ্কার করাবেন। ট্যাংকে জমে থাকা ময়লা বাইকের জন্য ক্ষতিকর। তবে ট্যাংক ওয়াশ ঘন ঘন করার দরকার হয় না। যদি বেশি ময়লা জমে থাকে তাহলে ওয়াশ করাবেন।


১৩- অন্য কোন সমস্যা হলে সেটা চেক করানোঃ

বাইক সার্ভিসিং করানোর আগে বাইকের সমস্যাগুলো ভালোভাবে বুঝার চেষ্টা করুন। বাইকের সমস্যাগুলো বুঝতে পারলে আপনি সার্ভিস সেন্টারে গিয়ে তাদের বুঝিয়ে বলতে পারবেন। তাহলে আপনি বাইক সার্ভিসিং করার সময় খুব সহজে আপনার সমস্যার সমাধানগুলো করতে পারবেন।


১৪- ফ্রি ফ্লো চেকাপঃ

বাইকের ক্লাচ লিভার , থ্রটল এই জিনিসগুলোর ফ্রি ফ্লো আছে কিনা সেই জিনিসগুলো সার্ভিসিং করার সময় অবশ্যই চেক করিয়ে নিবেন। কারন একটা বাইক স্মুথলি চলতে এই জিনিসগুলো ঠিক থাকা খুব জরুরী।


১৫-অভ্যন্তরীন অংশগুলো পরিষ্কার করানোঃ

বাইকের অভ্যন্তরে বেশ কিছু অংশ থাকে যা সহজে পরিষ্কার করা যায় না, বাইক যখন সার্ভিসিং করার জন্য খুলবেন তখন অবশ্যই এই অংশগুলো পরিষ্কার করে নিবেন। আপনি যখন ভালো কোথাও বাইক সার্ভিসিং করাবেন তখন এই কাজগুলো তারাই করবে, কিন্তু যদি তারা না করে তাহলে আপনি বলে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে কাজগুলো করিয়ে নিবেন।  

Best Bikes

Honda CB Hornet 160R

Honda CB Hornet 160R

Price: 169800.00

Honda CB Hornet 160R ABS

Honda CB Hornet 160R ABS

Price: 255000.00

Honda CB Hornet 160R CBS

Honda CB Hornet 160R CBS

Price: 212000.00

View all Best Bikes

Latest Bikes

Revoo S01

Revoo S01

Price: 0.00

TAILG Jidi

TAILG Jidi

Price: 0.00

Vida Z

Vida Z

Price: 0.00

View all Sports Bikes

Upcoming Bikes

Revoo S01

Revoo S01

Price: 0.00

Vida Z

Vida Z

Price: 0.00

Hero Xtreme 250R

Hero Xtreme 250R

Price: 0.00

View all Upcoming Bikes