ঢাকা- টাঙ্গাইল- সিরাজগঞ্জ- নাটোর- বগুড়া বাইক ভ্রমন- শুভ মিঞা
This page was last updated on 31-Jul-2024 02:50pm , By Raihan Opu Bangla
ঢাকা- টাঙ্গাইল- সিরাজগঞ্জ- নাটোর- বগুড়া বাইক ভ্রমন
শুক্রবার মানে অনেকের কাছে বিশ্রাম করার দিন হলেও বাইকারদের কাছে শুক্রবার মানে বাইক নিয়ে ভ্রমন করার দিন । কয়েকদিন ধরে চিন্তা করতেছি কোথাও একটা ডে লং ট্যুর করবো । যেহেতু ডে লং ট্যুর সেক্ষেত্রে শুক্রবার দিনটাই বেছে নিলাম । ঢাকা থেকে সকাল ৭ ঘটিকায় টাঙ্গাইল এলেঙ্গার দিকে রাইড শুরু করি । এলেঙ্গায় অপেক্ষে করতেছিল আলভি মাহামুদ ভাই ।
আমি আমার Lifan KPR 165R Carb বাইকটি নিয়ে এবং আলভি মাহামুদ ভাই তার নতুন Zontes ZT155-G1 বাইকটি নিয়ে আমাদের যাত্রা শুরু করি । আমাদের প্রথম গন্তব্য যমুনা ব্রিজ ।বলে রাখা ভালো আলভি ভাইয়ের ট্যুর প্লান ছিল টাঙ্গাইল - সিরাজগঞ্জ - নাটোর - বগুড়া - টাঙ্গাইল। যেহেতু ৩০০ কিলোমিটার এর মত রাস্তা আমাদের সম্পূর্ন দিন সময় আছে সেক্ষেত্রে আমরা কোন প্রকার স্পিডিং না করে একটা এভারেজ স্পিডে রাইড করতে করতে চলে যাই সিরাজগঞ্জ চায়না বাঁধ ।
যমুনা নদীর পাড়ে একটা চায়ের বিরতি দিয়ে নাটর এর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করি । বড়াইগ্রাম এর রাস্তার দুই পাশের মনোমুগ্ধকর পরিবেশ দেখতে দেখতে চলেগেলাম বনপাড়া । আলভি ভাইয়ের সাথে একত্রে বাইক রাইড করতে খুব ভাল লাগছিল । যেহেতু আমাদের ট্যুরে দুইটি বাইক ছিল তাই আমরা রিলেক্সে রাইড করতে ছিলাম এবং কিছুক্ষন পর পর চায়ের বিরতি দিচ্ছিলাম ।
Also Read: মোটরসাইকেলে কাশ্মীর ভ্রমন অভিজ্ঞতা (পর্ব ৪)
বনপাড়ায় দেখা হয়ে গেল হিমেল ভাইয়ের সাথে । একটা চায়ের বিরতি দিয়ে নাটোর এর উদ্দেশ্যে রওনা হই । কিছুক্ষন রাইড করার পরে রাস্তার পাশে একটা মসজিদে জুম্মার নামাজ পরে সরাসরি চলে যাই নাটোরের নিমতলার বিখ্যাত কাচা গল্লা খাওয়ার জন্য । পাশেই নাটরের একটি রাজবাড়ি ছিল সেখানে কিছু সময় থেকে চলে যাই উত্তরা গন ভবনের দিকে । উত্তরা গনভবন আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে ।
যদিও আমাদের ইচ্ছে ছিল বগুড়া সদরে যাওয়ার কিন্তু উত্তরা গন ভবন থেকে যখন বগুড়ার দিকে রাইড শুরু করি তখন রাস্তার এত বাজে অবস্থা ছিল যে আমাদের রুট প্লান পরিবর্তন করে বগুড়া সদরের রোডে না গিয়ে বাইপাস রোড ধরে বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলায় চলে যাই ।
এই রাস্তার কন্ডিশন আমাদের রাইড করার গতি আরো কমিয়ে দেয় প্রচুর ধুলোর মধ্যে রাইড করতে হচ্ছিল । তবে বাইকের পার্ফরমেন্স ভালো ছিল । তবে আলভি ভাইয়ের Zontes ZT155-G1 বাইকের সাসপেনশন এর ফিডব্যাক ছিল অনেক ভালো । শেরপুর উপজেলায় দেখা হয় শোভন ভাইয়ের সাথে । হালকা নাস্তা বিরিতি দিয়ে সন্ধ্যার দিকে রওনা হই টাঙ্গাইল এর উদ্দেশ্যে । একদিকে রাস্তা ভাংগা অন্য দিকে প্রচুর ধুলোর ঝড়ে অতিষ্ট ।
আমাদের এই ট্যুরে সব থেকে মজার ব্যাপার ছিল আলভি ভাইয়ের নতুন Zontes ZT155-G1 বাইকটি । রাস্তায় সব থেকে বেশি প্রশ্ন ছিল এই বাইকের নাম কি ? দাম কত ? কি ব্রান্ড ? ।
Also Read: রাংগুনিয়া বাইক লাভার্স এর ৩য় বর্ষপূর্তি - BikeBD
সিরাজগঞ্জের ফুড ভিলেজ রেষ্টুরেন্টে লুচি , কালো ভুনা , মিক্সড ভাজি খাই । খাবারের স্বাদ খুব ভালো ছিল । খাবার খাওয়া শেষ করে টাঙ্গাইল এর দিকে রওনা হই । আলভি ভাই টাঙ্গাইল চলে যায় আর আমি চন্দ্রা হয়ে ঢাকার দিকে চলে আসি ।
ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল - সিরাজগঞ্জ - নাটোর - বগুড়া ট্যুর করে ৪৮০ কিলোমিটার ডে লং রাইড করে নিরাপদে আবার ঢাকায় ফিরে আসি । ধন্যবাদ । লিখেছেনঃ শুভ মিঞা
Also Read: টিম থ্রটলার কক্সবাজার - মেরিন ড্রাইভ - শাহ পরীর দ্বীপ ভ্রমন
Zontes ZT155 G1 First Impression Review By Team BikeBD
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।