কেন Yamaha R15M এবং R15 V4 অন্যদের থেকে এগিয়ে?
This page was last updated on 30-Jul-2024 06:03pm , By Raihan Opu Bangla
এই ২১ শতকে এসেও আমাদের দেশের টু-হুইলার সেগমেন্টে সিসি লিমিটেশন রয়েছে, এটি কতটা যুক্তিযুক্ত সেটা নিয়ে তো প্রশ্ন রয়েছেই তবে এই ১৬৫ সিসির মধ্যেও বাংলাদেশে বেশকিছু পার্ফরমেন্স মোটরসাইকেল দেখা যায়। এর মধ্যে Yamaha R15 সিরিজ অন্য সবার থেকে কিছুটা এগিয়ে।
কিছুদিন আগে ইয়ামাহা মোটরসাইকেলের বাংলাদেশের অফিশিয়াল ডিস্ট্রিবিউটর এসিআই মোটরস লিমিটেড বাজারে নিয়ে এসেছে এই সিরিজের চতুর্থ ভার্সন Yamaha R15M এবং Yamaha R15 V4. লঞ্চ হওয়ার পর থেকেই এই বাইকটি নিয়ে আলোচনার কমতি নেই।
২০০৮ সালে প্রথম লঞ্চ হওয়ার পর থেকেই এই সিরিজের মার্কেট প্রতিযোগী ছিল শুধুমাত্র Honda CBR 150R এবং Suzuki GSXR 150. তবে সময়ের সাথে সাথে বেশকিছু চাইনিজ অরিজিন স্পোর্টস বাইক বাংলাদেশে এসেছে, তবে Yamaha R15 সিরিজকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মত কোন মোটরসাইকেল আসেনি।
তাহলে কেন এই সিরিজটি সবার থেকে এগিয়ে?
আপনি যদি কম্ফোর্টের কথা চিন্তা করেন তাহলে অবশ্যই Honda CBR 150R এগিয়ে থাকবে অথবা টপ-স্পিডের কথা আসলে Suzuki GSXR 150। তবে আপনি যদি সবকিছু নিয়ে ভাবেন যেমন, পারফর্মেন্স, মাইলেজ, ফিচার, ডিজাইন ইত্যাদি তাহলে Yamaha R15 সিরিজ অবশ্যই এগিয়ে থাকবে।
এই সিরিজের সর্বশেষ ভার্সন কিছুদিন আগে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়েছে। নতুন এই ভার্সনে আগের থেকেও অনেক বেশি ফিচার যুক্ত করা হয়েছে। দেখে নেয়া যাক নতুন এই ভার্সনে কি কি ফিচার যুক্ত করা হয়েছে।
- আরও বেশি এরোডায়নামিক শার্প ডিজাইন
- বাই-ফাংশনাল এলইডি প্রজেকশন হেডলাইট।
- রি-টিউন ইঞ্জিন।
- প্রিমিয়াম স্প্লিট-সিট।
- কুইক সিফটার এবং ট্রাকশন কনট্রোল সিস্টেম।
- নতুন ডিজাইনের ড্যাশবোর্ড।
- দুটি রাইডিং মোড, ট্রাক এবং স্ট্রীট।
ইয়ামাহা প্রথম মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড যারা তাদের ১৫০ সিসি সেগমেন্টে স্লিপার এন্ড এসিস্ট ক্লাচ এবং ভিভিএ টেকনোলোজি দিয়েছে। যদিও গত বছর Honda CBR 150R এর নতুন ভার্সনটিতে স্লিপার এন্ড এসিস্ট ক্লাচ নিয়ে এসেছে।
ইয়ামাহার এই সিরিজটি অন্য আর একটি কারনেও বেশ জনপ্রিয় যেটি হচ্ছে এর মাইলেজ। ফুয়েল ইঞ্জেকশন সিস্টেমের কারনে এই বাইক থেকে ৪৫-৪৭ মাইলেজ আপনি অনায়াসে পেয়ে যাবেন। একটি স্পোর্টস সেগমেন্টের বাইকে আপনি এই মাইলেজ আশাও করতে পারবেন না।
ইয়ামাহা তাদের নতুন ভার্সনে দুটি নতুন ফিচার যোগ করেছে, যেগুলো হচ্ছে কুইক সিফটার এবং ট্রাকশন কনট্রোল সিস্টেম। সাধারনত এই ফিচারগুলো হায়ার সিসির বাইক ছাড়া খুব একটা চোখে পড়ে না। এই ফিচারগুলো এই বাইকের সেফটি এবং মাইলেজ আরও বাড়িয়ে দেবে।
এই ফিচার গুলো ছাড়াও ইয়ামাহা এই ভার্সনে নতুন এলসিডি ড্যাশবোর্ড দিয়েছে যেটি আগের থেকে বেশি তথ্য প্রদান করবে। এছাড়া এই নতুন ড্যাশবোর্ডে এখন থাকছে ২টি রাইডিং মোড, একটি হল স্ট্রীট মোড এবং অন্যটি হল ট্র্যাক মোড।
আপনি যদি কোন মোটরসাইকেলের পারফর্মেন্স, মাইলেজ, ফিচার, ডিজাইন ইত্যাদি নিয়ে তুলনা করতে যান তাহলে অবশ্যই Yamaha R15M এবং Yamaha R15 V4 অনেকাংশে এগিয়ে থাকবে। তাই এর প্রতিযোগীসের উচিৎ এই বাইকের মতই আরও বেশি প্রয়োজনীয় ফিচারগুলো তাদের বাইকে যুক্ত করা।