ইলেকট্রিক বাইক কি ? ইলেকট্রিক বাইক এর সুবিধা অসুবিধা সমূহ
This page was last updated on 01-Aug-2024 03:23pm , By Ashik Mahmud Bangla
বাইরের দেশগুলোতে বর্তমান সময়ে ইলেকট্রিক বাইক অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে , আর এই জনপ্রিয়তার জন্য বেশ কিছু কারণও রয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে এখনো ইলেকট্রিক বাইক তেমন একটা জনপ্রিয়তা পায় নি। টাকা খরচ করে ইলেকট্রিক বাইক কেনা কতটা যুক্তিসংগত হবে আজ আমি এই নিয়ে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আপনি যদি ইলেকট্রিক বাইকের সুবিধা এবং অসুবিধা জানেন তাহলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন এই বাইক আপনার জন্য কিনা। সবার প্রথমে আমাদের জানতে হবে ইলেকট্রিক বাইক কি ?
ইলেকট্রিক বাইক কি ?
রিচার্জেবল ব্যাটারির সাথে ইলেকট্রিক মোটরের সমন্বয় করে ইলেকট্রিক বাইক বানানো হয়ে থাকে। জ্বালানী তেলের পরিবর্তে এগুলো বিদ্যুতের সাহায্যে চালানো হয়ে থাকে। আমাদের দেশে যে ইলেকট্রিক বাইকগুলো পাওয়া যায় এর অধিকাংশ বাইক একবার চার্জ করার পর মুলত ৭০ থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে।
ইলেকট্রিক বাইক এর সুবিধাঃ
১- সাধারণ একটি বাইক থেকে ইলেকট্রিক বাইক অনেক কম হিট হয়। এর ফলে ইলেকট্রিক বাইক সাধারণ বাইকের থেকে অনেক বেশি পরিবেশ বান্ধব। আপনি একটি বাইকের গতির সাথে একটা ফ্যানের গতি মিলিয়ে দেখুন , দেখবেন একটা বাইকের চাইতে একটা ইলেকট্রিক ফ্যান অনেক কম হিট হয় , কিন্তু তারমানে এই না যে ফ্যানের গতি কম।
Also Read: রিভল্ট আরভি৪০০ ইলেকট্রিক বাইক ফিচার ডিটেইল
২- ৬০০ সিসির একটি সুপার বাইকের ওজন যা হবে ঠিক সেই ক্ষমতা সম্পন্ন একটা ইলেকট্রিক বাইকের ওজন ওই সুপার বাইকের থেকে অনেক কম হবে। আর বাইকের ওজন যদি কম থাকে সেক্ষেত্রে সেই বাইক ব্যবহার করে অনেকেই বেশ কম্ফোর্ট ফিল করে থাকে।
উদাহরণ হিসেবে Emflux One এর নামটা সবার আগে আসে , এই ইলেকট্রিক বাইকটি 0-100 km স্পীড মাত্র ৩ সেকেন্ডে তুলতে সক্ষম এবং বাইকটির টপ স্পীড 200 Kmph। বাইকটির ওজন 169 Kg । এই পাওয়ারের একটা সাধারণ বাইকের ওজন কেমন হতো আপনি নিজেই সেটা চিন্তা করে দেখুন।
৩ - আমাদের দেশের ইলেকট্রিক বাইকগুলো যদি লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি থেকে লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারিতে যেতে পারে সেক্ষেত্রে একটা ইলেকট্রিক বাইক থেকে অনেক ভালো মাইলেজ এবং গতি পাওয়া সম্ভব।
Also Read: Komaki Super Price in BD
৪- ছোট একটা ইলেকট্রিক বাইকের মধ্যে খুব সহজেই চাইলে নতুন নতুন সব প্রযুক্তি যুক্ত করা সম্ভব। আর এসব প্রযুক্তি একজন রাইডারের সেফটি অনেকটা বাড়িয়ে দিতে সক্ষম।
৫- সাধারণ বাইক মাঝে মাঝে চরম বিরক্তি সৃষ্টি করে যেমন- যখন তখন ষ্টার্ট বন্ধ হওয়া , তেল মবিল চেক করা , চেইন মেরামত , চালু অবস্থায় ক্লাস ধরে রাখা , বার বার গিয়ার পরিবর্তন করা ইত্যাদি। কিন্তু এই দিক থেকে ইলেকট্রিক বাইক এইসব ঝামেলামুক্ত ।
৬- ইলেকট্রিক বাইক খুবই সামান্য শব্দ করে চলে , যা বাংলাদেশের ব্যস্ত রাস্তায় অন্যদের বিরক্তির কারণ হয় না , এসব কারণে একটি ইলেকট্রিক বাইক সাধারণ বাইকের তুলনায় অনেক বেশী পরিবেশ বান্ধব।
৭- সাধারণ বাইকের তুলনায় ইলেকট্রিক বাইকের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এর জ্বালানি সাশ্রয়ের ক্ষমতা। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যখন জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পায় , তখন তার তুলনায় বিদ্যুতের দাম অল্প বেড়ে থাকে। একটা সময় সাধারণ বাইকের প্রতি কিমি জ্বালানি খরচ ছিলো ২.৫ টাকা অন্যদিকে ইলেকট্রিক বাইকের প্রতি কিমি জ্বালানি খরচ ছিলো ০.১৫ টাকা।
Also Read: Komaki Xone Price in BD
ইলেকট্রিক বাইক এর পুনরায় বিক্রয় ভ্যালু না থাকলেও এর উপকারীতা বলে শেষ করা যাবে না। তাই উন্নত বিশ্বে এর ব্যবহার অনেক বেশী হচ্ছে। প্রতিটা জিনিসেরই সুবিধা এবং অসুবিধা থাকে , ঠিক তেমনি ইলেকট্রিক বাইকের ক্ষেত্রেও আছে। এখন আমি ইলেকট্রিক বাইকের অসুবিধা নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো।
ইলেকট্রিক বাইক এর অসুবিধা
১- আমাদের দেশে ইলেক্ট্রিকের বাইকের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে এখনো বেশ জটিলতা রয়েছে। আর এটা অনেক বড় একটা সমস্যা।
২- আমাদের দেশে দূর্ঘটনা অনেক বেশি হয় , আর ইলেকট্রিক বাইকের ব্যাটারি লিক করার একটা সম্ভাবনা থাকে।
৩- ইলেকট্রিক বাইক নিয়ে আপনি আমাদের দেশে লং রান করতে পারবেন না , কারন আমাদের দেশে এখনো ইলেকট্রিক বাইক চার্জিং ষ্টেশন নেই।
৪- আমাদের দেশে ইলেকট্রিক বাইকের আফটার সেল সার্ভিস এখনো তেমন একটা উন্নত না। আশাকরি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে।
জ্বালানি তেলের দাম ২০২২ সালে এসে অনেক বেড়েছে , এখন ভালো মানের ইলেকট্রিক যানবাহন জ্বালানি তেলের বিকল্প হিসেবে কাজে আসতে পারে।
FAQ:
১- আকিজ ইলেকট্রিক বাইক দাম কত?
উত্তরঃ আকিজ ইলেকট্রিক বাইক এর দাম জানতে এই লিংকে প্রবেশ করুন।
২- শাওমি ইলেকট্রিক বাইক বাংলাদেশ এ কি আছে ?
উত্তরঃ এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই লিংকে প্রবেশ করুন।