Yamaha MT 15 বাইকের সাথে মালিকানা রিভিউ - শোভন
This page was last updated on 01-Aug-2024 01:50pm , By Shuvo Bangla
আমার নাম আব্দুল্লা ইবনে শোভন , বাসা কুষ্টিয়া জেলায় । আমি Yamaha MT 15 বাইকটি ব্যাবহার করি । বাইক হলো কোথাও যাওয়ার জন্য সহজ একটা মাধ্যম, মন খারাপ বাইক নিয়ে বেড়িয়ে পড়লাম ছোট একটা ট্যুর দেওয়ার জন্য , যা মন ভালো করার জন্য যথেষ্ট ।
Yamaha MT 15 বাইকের সাথে আমার মালিকানা রিভিউ - শোভন
আজকে কথা বলবো আমার বাইক রিভিও নিয়ে, বাইক প্রতিটা মানুষের একটা স্বপ্ন ও আবেগ বলা চলে, আমার ও ঠিক তাই ছোট থেকেই বাইক এর স্বপ্ন ছিলো, তো আমার জিবনে অনেক ব্যান্ড এর বাইক চালানো হয়েছে , তার ভেতর আমার প্রথম বাইক হলো ডিস্কোভার ১২৫ সিসি, যা আমি প্রায় ৩০ হাজার কিলোমিটার চালিয়েছি । এইবার আসি আমার বর্তমান বাইক সম্পর্কে । এখন আমি এই বাইকটি ব্যবহার করি , আমি সর্বপ্রথম এর লুক এর প্রমে পড়ি ।
এই বাইকটি আমার একটা স্বপ্ন ছিলো যা আল্লাহর রহমতে পূরণ হয়েছে । আমি বাইকটা কিনেছিলাম, সেকেন্ড হ্যান্ড তখন ৭০০ কিলোমিটার রানিং ছিল । বাইকটি ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছিলাম । অনেক দিন ধরেই নিজের বাজেটের ভেতর বাইক খুজছিলাম তারপর একদিন হঠাৎ আমি বাইকের এ্যাড দেখতে পাই, আর মনকে স্থির করে ফেলি বাইক টা কেনার জন্য, যেইদিন আমি বাইক টা কিনতে যাই সেই দিনের অনুভূতি বলে প্রকাশ করা যাবে না।
এতো খুশি লাগছিলো মনের ভেতর যে কখন যে তার সাথে দেখা হবে, সময় যেনো শেষ হচ্ছেনা, প্রায় ৯০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে পৌছে গেলাম বাইক দেখার জন্য, এবং দেখেই পছন্দ হয়ে গেলো, মনে ভেতর একটা অন্য রকম আনন্দ ছিলো । বাইকটা প্রথম চালোনোর অনুভূতি ছিলো একদম অন্যরকম যদিও আগে আমি বাইকটা চালিয়েছি, তবে নিজের বাইক চালানো আনন্দ অন্যরকম ।
বাইকটা আমি এখন পর্যন্ত ৩ বার সার্ভিস করিয়েছি , আমি ইয়ামাহা সার্ভিস সেন্টর থেকে সার্ভিস করাই , যদিও তাদের সার্ভিস চার্জ একটু বেশি । নিয়মিত ইঞ্জিন ওয়েল , এয়ার ফিল্টার , মবিল ফিল্টার পরিবর্তন করি । ব্রেক প্যাড , সবকিছুই সময় মত পরিবর্তন করি , কারন বাইক টা সব সময় বেস্ট পারফরম্যান্স দেয় আমাকে ।
২৫০০ কিলোমিটার আগে আমি প্রতি লিটার এ ৪৩-৪৫ মাইলেজ পেয়েছি এবং ২৫০০ কিলোমিটার পর কিছু কম বেশি পেয়েছি , কারণ বাইক এর যত্নে আমি কোনো ছাড় দেই না , তবে এর থেকে বেশি মাইলেজ হলে ভালো হয় আমার কাছে, কারণ তেল এর দাম বেশি, আর আমি সব সময় অকটেন ব্যবহার করি ।
Yamaha MT 15 বাইকের কিছু ভালো দিক -
- লং রাইড এর জন্য এই বাইকটা সব থেকে ভালো
- বেক পেইন এর কোনো সমস্যা আমি পাইনা
- বাইক এর লুক যা অন্যান্য সব বাইকের থেকে ভালো
- ওভারটেক করা আমার কাছে সব থেকে সুবিধা মনে হয়েছে
- বাইক এর হাইট ও ওজন অনুযায়ী চালানো খুব সুবিধা
- বাইকের পার্টস এভেলেবেল ও দাম অনুযায়ী ভালো
Yamaha MT 15 বাইকের কিছু খারাপ দিক -
- এতো ভালো ও দামী বাইকের সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস যা মোটেও কাম্য নয়
বাইকে আমি ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করি ইয়ামাহা লুব এর ফুল সিনথেটিক যার দাম এখন ১৯৫০ টাকা । আমি স্পিডিং পছন্দ করি না তবে একবার স্পিড চেক করার জন্য ১১০ পর্যন্ত স্পিড তুলেছিলাম , এর ওপরে আর কখনো চালাইনি আমি , তবে ওভার স্পিড থেকে দূরে থাকাই ভালো ।
যেহেতু বাইকটি একটা রেসিং সেগমেন্ট এর বাইক, তাই এর সার্ভিসিং কস্ট একটু বেশি লাগে আমার কাছে । এই ছিলো আমার পছন্দের বাইক সম্পর্কে আমার পুরো নিজস্ব মতামত । সবার উচিত ওভার স্পিড থেকে দূরে থাকা, ট্রাফিক আইন মেনে গাড়ি চালোনো, নিজের জীবনে মূল্য দেওয়া, ও সেফলি রাইড করা । ধন্যবাদ ।