Yamaha FZS FI V3 বাইক নিয়ে রাইডিং অভিজ্ঞতা - আমিন ভূঁইয়া
This page was last updated on 30-Jul-2024 04:59pm , By Shuvo Bangla
আমি মোঃআল আমিন ভূঁইয়া। আমি একটি Yamaha FZS FI V3 বাইক ব্যবহার করি । আজ আপনাদের সাথে আমি আমার বাইকটি নিয়ে আমার রাইডিং অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো ।
নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌরসভায় আমার বাসা। আসলে আমার বয়সটা কম হলেও বাইক চালানোর বয়স ১২ বছর। আমার বাইকের খড়ি ফুটে আমার বড় ভাই এর বাইক পালসার ১৫০ দিয়ে। সেই থেকেই বাইকের প্রতি ভালোবাসা।
আর এই ভালোবাসা থেকে এখন এটা একটা আবেগ এ পরিনত হয়েছে। আল্লাহর রহমতে একে একে অনেক গুলা বাইক চালানো হয়েছে যথাক্রমে পালসার ১৫০, এপাচি আরটিআর, এপাচি আরটিআর ব্লু, এফজেড এস ভার্ষন 2 এখন এফজেড এস ভার্ষন 3 চালাচ্ছি।
আমার প্রথম এই বাইকটি চালানোর সুযোগ হয়েছিলো ঢাকা বাইক শো তে। সেদিনই আমি এই বাইক এর প্রেমে পরে যাই। যে দিন আমি এফজেড এস ভার্ষন 3 বাইকটি কিনতে যাই, সেদিন যেনো আমার কাছে মনে হয়েছিলো রাত খুব বড়, সকাল হচ্ছেই না, অনেক আবেগ, উত্তেজনা নিয়ে বাইকটি কিনতে যাই।
আল্লাহর রহমতে এই বাইক নিয়ে অনেক জায়গায় ঘুরার সৌভাগ্য হয়েছে। বাইকের উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না, তবে এর মধ্যে অন্যতম উপকার হলো এটি নিয়ে জ্যাম এ আটকে থাকতে হয় না, যাতায়াতের ক্ষেত্রে অনেক সময় বাঁচে। আমার চালানো সকল বাইকের মধ্যে এই বাইকটিই আমার কাছে খুব ভালো মনে হয়েছে।
যেমন ব্রেক কন্ট্রলিং তেমনই কমফোর্ট। এই বাইকটি আমাকে কখনো হতাশ করে নি। তবে এই বাইকটি কম্ফোর্ট হতে একটু সময় লেগেছিলো কারণ এর নতুন কিছু ফিচার এর জন্য। যেমন এর পাস লাইটটি খুব অদ্ভুত একটা জায়গায় দেওয়া হইছিলো, যার ফলে আমি হর্ন আর পাস লাইট এক সাথে ব্যবহার করতে পারতাম না।
এই বাইকটি যখন আমি কিনি তখন আলহামদুলিল্লাহ ৩৮ - ৪০ মাইলেজ পেতাম, তবে এখন কিছুটা কম পাই। তবুও এখন ৩৫ - ৩৬ মাইলেজ পাওয়া যায়। আমি এই বাইকে Super V 20W50 গ্রেডের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করি, আলহামদুলিল্লাহ, পার্ফমেন্স খারাপ পাই নি।
বাইকটি আমি ইয়ামাহা শোরুম এর সার্ভিস সেন্টারে কয়েক বার সার্ভিস করিয়েছি, তারাও বেশ ভালো সহযোগিতা করেন। তবে এর মাঝে মোটামুটি ২টা সার্ভিস সেন্টারে সার্ভিস করিয়েছিলাম, তবে আশানুরূপ ফল পাইনি। এর পর আবার ইয়ামাহা সার্ভিস সেন্টারে সার্ভিস করাই ।
Yamaha বাইকের মেইনটেইন খরচ অতো বেশি না। মোটামুটি হাতের নাগালেই। বাইকটি নিয়ে আমার একটা ছোট্ট ট্যুরের ব্যপারে বলি, আমি আর আমার ভাতিজা যাচ্ছিলাম চায়ের দেশ সিলেট। আমি সবসময় খুব সাবধানতা অবলম্বন করি, তো আমি যাচ্ছিলাম হটাৎ করেই একটা বাইক আমার সামনে এসে বাউলি দিলো, আমি তো আল্লাহর কথা সাথে সাথেই স্বরণ করে আল্লাহর উপর ভরষা রেখে ব্রেক করে নিলাম।
অইদিন যদি একটু ভুল হতো অনেক বড় সমস্যা হয়ে যেত। এভাবে যারা করে তাদের উদ্দেশ্যে একটি কথা, ভাই দয়া করে উলটাপালটা বাইক চালাবেন না। আপনাদের জন্য আমাদের ভালো বাইকারের বদনাম হয়। ধন্যবাদ ।