TVS Apache RTR 160 4V বাইক নিয়ে মালিকানা রিভিউ - পল্লব
This page was last updated on 30-Jul-2024 12:23pm , By Shuvo Bangla
আমি পল্লব দাশ । স্বায়ী ঠিকানা সুনামগঞ্জ, ছাতক । আমি একটি TVS Apache RTR 160 4V বাইক ব্যবহার করি । আজ আপনাদের সাথে আমার ব্যাবহার করা বাইকটি নিয়ে আমার মালিকানা রিভিউ শেয়ার করবো ।
TVS Apache RTR 160 4V বাইক নিয়ে মালিকানা রিভিউ - পল্লব
জীবনের প্রথম ২০০৮ সালে ইয়ামাহা Rx 100 দিয়ে বাইক চালানো শুরু করি । তবে সেটা আমার নিজস্ব বাইক ছিলোনা। তারপর ২০১২ সালে প্রথম বাইক কিনা হয় Hero Honda CD Dawn এখনো সেটা রয়েছে তার পাশাপাশি বর্তমানে আমার Tvs Apache 4v 2021 Duel Disk বাইকটা রয়েছে, স্বপ্ন সবাই দেখে বাইক নিয়ে ঠিক তেমনি আমার ও স্বপ্নের বাইক হিসেবে Apache RTR বাইকটা অনেক দিন দরে বুকে স্বপ্ন লালন করে আসছিলাম বছরে বছরে আপডেট ভার্সন দিতো আর দেখতে তাকতাম কবে যে বাইকটা কিনবো ।
অবশেষে ২০২১ সালের ১৭ আগস্ট বাইকটা সিলেট সোবানীঘাট টিভিএস এর শোরুম থেকে ১,৯৬,৯০০ টাকা দিয়ে স্বপ্ন পুরন হয়। ছোট বেলা থেকে বাইকের প্রতি আমার একটা ভালোবাসা কাজ করতে থাকে বাইক চালানো শেখার আগে থেকেই বাইকে ঘুরতে যাওয়ার জন্য অনেক ভালো লাগতো, বাইক নিয়ে ভালোবাসা প্রায় ৭০% যুবকদের মধ্যে কাজ করে থাকে তবে অনেকের স্বাদ থাকলে ও সাধ্য থাকেনা।
আরটিআর এর সব মডেলের বাইকের লুকস আমার সবগুলোই ভালো লাগে যেটা আমার চোখে এই বাইকটা দেখে আমার মনে একটা প্রশান্তি কাজ করে তারপর আবার ড্রিম বাইক। যেদিন বাইকটা আনতে যাবো সেদিন মনে হচ্ছিল জীবনের সব সুখ টুকো এই বাইকের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে এমন একটা ফিল কাজ করছিলো এটা প্রায় সবারই হয়ে থাকে ।
তারপর যখন প্রথম বাইকটা শোরুম থেকে বেড় করে রাইড করলাম আমার কাছে মনে হচ্ছিল জীবনের প্রথম বাইক চালানোর অনুভূতির মতো কারন এর ১০ বছর আগ থেকেই আমি বাইক চালাই অনেক ধরনের সেকেন্ড হ্যান্ড বাইক আমি ক্রয় বিক্রয় করেছি শুধু আমার ভালোবাসার এই বাইক টাই শোরুম থেকে কেনা।
বাইক চালানোর পেছনে মুল কারন ভালোলাগা ভালোবাসা সবকিছু মিলিয়ে অনেক প্রয়োজনীয় কাজে ও ব্যবাহার করে আসছি। বাইকের ফিচার গুলো সম্পর্কে বললে প্রথমে বাইকের হেডলাইট এর লুকিং অসাধারন, সিটিং পজিশন অসাধারন কোন ক্লান্তি নেই কমফোর্ট ও আরামদায়ক ভাবে রাইড করা যায় যা অনেক বাইকের সিটিং পজিশন থেকে ৯০% ভালো।
ব্রেকিং নিয়ে আরটিআর এর অনেক অভিযোগ রয়েছে কিন্তু আমার কোন অভিযোগ নেই কারন এখন পর্যন্ত আমি কোন প্রবলেম ফেইস করিনি তাই বলবো আরটআার শুধু পাকাপোক্ত বাইকারদের জন্য একটা স্বয়ংসম্পূর্ণ বাইক নতুন বাইকারদের জন্য এটা একদমই ফিট না আমি মনে করি কারণ এটা স্পোর্টস বাইক থেকে কোন অংশে কম নয় তাই এটা কন্ট্রোল করার জন্য হলে ও একজন দক্ষ বাইকার প্রয়োজন বলে আমি মনে করি ।
অযথা বাইকের ব্রেক কে দোষ দিয়ে লাভ কি নিজেই যদি পারফেক্ট ব্রেক করতে না পারি । আমার বাইক আমার ভালোবাসা , এখন পর্যন্ত ৭০০০ কিলোমিটার রানিং কোন প্রকার প্রবলেম ফেইস করিনি বলতে গেলে বাইক নিয়ে কোন অভিযোগ আমার নেই।
বাইকের মাইলেজ হাইওয়েতে ৪৫+ পাই সিটিতে ৩৭-৩৮ কিন্তু আমি সন্তুষ্ট মাইলেজ নিয়ে। ব্যাক্তিগত কিছু কথা আমি যখনি বাইকটাতে উঠি আমি কম্ফোর্ট অনুভব করি, আমি আমার বাইক নিরাপদে রাইড করি, আমার বয়সি ছেলেরা হয়তো একটু উগ্র রাইডে অভ্যস্ত তবে আমি সব সময় ইন্টারন্যাশনাল রাইডিং টেকনিক ফলো করার চেষ্টা করি।
আমি TVS কোম্পানির কথা অনুযায়ী True 4 Synthetic Oil ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করে আসছি ভালো পারফরম্যান্স ও পাচ্ছি যার দাম ১০২০ টাকা ১২০০ এমএল । আমার বাইক দিয়ে আমি টপ স্পিড ১১০ এর উপর আর চেষ্টা করিনি তাই টপ স্পিড ১১০।
বাইকের খারাপ দিক চিন্তা করলে আমি মনে করি ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হয় গরম হওয়ার পর ইঞ্জিন সাউন্ড চেইঞ্জ হয় তা ছাড়া আমি আর কোন প্রবলেম ফেইস করিনি ধন্যবাদ।
অবশেষে বলি যাদের ৪-৫ বছরের বাইক চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে শুধু তারাই এই বাইকটা সাজেস্ট করুন আর একদমই নতুন বাইকারদের জন্য এটা একদমই উচিত হবে বলে আমি মনে করি না নতুন ১-২ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলেও এই বাইকটা না কেনাই ভালো। বাইকটা এক প্রকার পাগলা ঘোড়াও বলা যেতে পারে একবার ছুটলে ওর লাগাম টানা অনেক কষ্ট কর। ধন্যবাদ ।
লিখেছেনঃ পল্লব দাশ
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।