Suzuki Hayate EP 110 ৫০০০ কিলোমিটার রাইড রিভিউ - সীমান্ত

This page was last updated on 31-Jul-2024 02:38pm , By Raihan Opu Bangla

আমি সীমান্ত মালাকার। বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স চতুর্থ বর্ষে অধ্যায়নরত। সাধ্যের মধ্যে আমি বেছে নিলাম Suzuki Hayate EP 110 বাইকটি। সুজুকি বাইকের প্রতি আমার ভালোবাসা অনেক আগে থেকেই।  সেই ভালবাসার টানে আমি আমার কাঙ্খিত বাইকটি বেছে নিয়েছি।

Suzuki Hayate EP 110 ৫০০০ কিমি রাইড রিভিউ

  

বাইকটি আমি এখন পর্যন্ত ৫০০০ কিলোমিটার চালিয়েছি। আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার এই Suzuki Hayate EP 110 বাইকটির ৫০০০ কিলোমিটার চালানোর অভিজ্ঞতা সম্পর্কে।

বাইকের প্রতি আমার আগ্রহ ছোটবেলা থেকেই। আমার বাইক চালানোর হাতেখড়ি হয়েছে বাবার হাতে। যখন আমার নিজের বাইক ছিলনা কিন্তু একটা বাইক দুর্ঘটনা আমার জীবনকে সম্পূর্ণ পরিবর্তন করে দেয়। খুবই মারাত্মক ধরনের একটি দুর্ঘটনা ঘটে যায় আমার জীবনে। 

দীর্ঘ সাত মাস হসপিটালের বেডে তার পরের দুই মাস বাসায় থেকে আমি সুস্থ হয়েছিলাম। সেই থেকেই পরিবার থেকে বাইকের প্রতি অনীহা। আমার ওই ঘটনার পর থেকে আমি লক্ষ করেছি আমার বাবাও বাইক চালানো এক রকম বন্ধ করে দেন (খুব কম চালাতেন)। বলে রাখা ভালো আমার বাবাও বাইক রাইড করেন।

যাই হোক দীর্ঘ সময় কেটে যায় । আমি স্কুল লাইফ শেষ করি কলেজ লাইফ শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষে এসে বাসায় বাইক কেনার কথা জানাই । পরিবার থেকে নেগেটিভ উত্তর আসলেও আমি সবাইকে বুঝিয়ে বাবার ইচ্ছায় কম সিসির একটি বাইক কেনার সিদ্ধান্ত নেই।

অনেক ভেবে-চিন্তে সিদ্ধান্ত নেই আমি Suzuki Hayate EP 110 নীল কালারের বাইকটি কিনবো । এই বাইকটি পছন্দ করার কারণ হলো বাইকটির তৎকালীন মূল্য ৯৯,৯৫০ টাকা অর্থাৎ ১ লাখ টাকা । সেই সাথে বাইকটির  লুকিং ভালো । 

আগের Suzuki Hayate মডেলটি যথেষ্ট সুনাম এর সাথে মার্কেটে চলেছে। আপডেট মডেল হিসেবে এই বাইকটি আমি আমার পছন্দের তালিকার প্রথমে রেখেছিলাম। আমি আমার বাইক কেনার ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি নজর দিয়েছিলাম মাইলেজ, লুকিং এবং ব্রান্ড এর উপর।

  

বাইকটি যেদিন কিনি সেই দিনটি ছিল অসাধারণ । আমার সাথে আমার মামা ছিল। দীর্ঘসময়ের প্রতীক্ষার পরে প্রথম যখন নিজের বাইকে উঠে কিক দিয়ে স্টার্ট করি। সেই সময়টা ছিল মনে রাখার মত। এরপর শহরের রাস্তায় এলোমেলো ঘুরাঘুরি কিছুক্ষণ। তারপর বাসায় চলে আসি। কিন্তু সারারাত কেন জানি ঘুম হয়নি অজানা কারণে। 

খুব ভালোভাবেই ব্রেকি-ইন পিরিয়ডের ২০০০ কিলোমিটার রাইড করেছি কোনো ঝামেলা ছাড়াই। আমার কাছে মনে হয়েছে ১১০ সিসি বাইকগুলোর মধ্যে Suzuki Hayate EP 110 একটা অসাধারন বাইক। প্রথম ৫০০ কিলোমিটারে প্রথমবার এবং পরবর্তীতে ১০০০ কিলোমিটারে ২য় বার ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করেছি। ১০০০ কিলোমিটার প্রথম ফ্রি সার্ভিসিং করাই সুজুকি অথরাইজ সার্ভিস সেন্টার থেকে। 

সার্ভিসিংয়ের পরে বাইকের সাউন্ড আগের থেকে অনেক  স্মুথ হয়েছে। এবং ইঞ্জিন অনেকটা ফ্রি হয়েছে। বাইক সার্ভিসিং এর ক্ষেত্রে আমি সবসময়ই সুজুকি অথরাইজ সার্ভিস সেন্টারের উপর ভরসা করি।

Suzuki Hayate EP 110 বাইকটি নিয়ে বেশ কিছু লং ট্যুরে গিয়েছি এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য কুয়াকাটা ট্যুর। কম সিসির বাইক হলেও লং ট্যুরে বেশ ভাল সাপোর্ট পেয়েছি বাইকটি থেকে। Suzuki Hayate EP 110 বাইকটিতে ব্রেক ইন পিরিয়ড এর সময় ৫০+ মাইলেজ পেয়ছি। পরবর্তী সময়ে এভারেজ ৫৮-৬০ মাইলেজ পাচ্ছি । পিলিয়ন নিয়ে রাইড এর ক্ষেত্রেও খুব বেশি সমস্যায় পড়তে হয়নি কখনো। পিলিয়নসহ ৯০+ স্পিড অনায়াসেই তোলা যায়। বাইকটিতে আমি এখন পর্যন্ত ১০০ টপ স্পিড তুলতে পেরেছি। 

 

বাইকে খুব স্বাভাবিকভাবেই ৯০ স্পিড তোলা যায়। ৯০ থেকে ১০০ তুলতে একটু সময় নেয়। বাইকের স্পিড তোলার ক্ষেত্রে আমি যে সমস্যাটি অনুভব করেছি সেটি হচ্ছে ৭০ এর উপরে গেলে বাইকটি একটু ভাইব্রেট করে আর ৯০ এর কাছাকাছি গেলে ভাইব্রেশন আরো বেড়ে যায়। ইঞ্জিন অয়েল  হিসেবে প্রথমে সুজুকি কোম্পানির Suzuki 10w40 গ্রেডের অয়েল ব্যবহার করেছি। 

এরপরে Motul 10w40 , Shell 10w40 এবং বর্তমানে ENEOS 20w40 ব্যবহার করছি। ENEOS 20w40 আমার কাছে বেস্ট মনে হয়েছে। মডিফিকেশন এর প্রতি আমার তেমন আগ্রহ নেই। শুধু কিছু স্টিকার মডিফাই করেছি।

Suzuki Hayate EP 110 বাইকের কিছু ভালো দিক-

  • রেডি পিকআপ
  • মাইলেজ
  • কম্ফোর্টেবল সিটিং পজিশন এবং পিলিয়ন সিট
  • সহজ মেইনটেনেন্স
  • লুকিং
  • ফুয়েল ট্যাংক ক্যাপাসিটি
  • স্মুথ ইঞ্জিন সাউন্ড
  • ব্যালেন্স
  • টিউবলেস টায়ার
  • ইলেকট্রিক এবং কিক উভয় স্টার্টার
  • ওয়েট এবং হাইট

Suzuki Hayate EP 110 বাইকের কিছু খারাপ দিক-

  • হেডলাইটের আলো কম
  • ডিস্ক ব্রেক নেই
  • চিকন চাকা
  • ইঞ্জিন হিটিং ইস্যু
  • ইঞ্জিন কিল সুইচ নেই
  • ভাইব্রেশন
  • লেগগার্ড নেই

আমার দৃষ্টিতে Suzuki Hayate EP 110 বাইকের রেটিং-

  • ইঞ্জিন পারফরমেন্স -৮/১০
  • মাইলেজ ৯/১০
  • লুক ৮/১০
  • কম্ফোর্ট ৯/১০
  • থ্রটল রেসপন্স ৯/১০
  • ব্রেকিং ৮/১০
  • হেডলাইট ৭/১০

 

পরিশেষে বলবো বাইকটি এই সেগমেন্টে আমার কাছে বেস্ট বাইক মনে হয়েছে। সবাইকে বলব বাইক চালানোর সময় অবশ্যই হেলমেট ব্যবহার করবেন। আর Suzuki Hayate EP 110 বাইকে যেহেতু ড্রাম ব্রেক দেয়া আছে তাই ব্রেকিং-এর বিষয়ে আরো সাবধান হবেন। ধন্যবাদ।

সুজুকির সব বাইকের দাম এবং সুজুকির শো-রুম সর্ম্পকে বিস্তারিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ঘুরে আসুন। নতুন নতুন মোটরসাইকেল এর বিষয়ে খবর জানতে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ সবাইকে।

লিখেছেনঃ সীমান্ত মালাকার

আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।

Best Bikes

Honda CB Hornet 160R

Honda CB Hornet 160R

Price: 169800.00

Honda CB Hornet 160R ABS

Honda CB Hornet 160R ABS

Price: 255000.00

Honda CB Hornet 160R CBS

Honda CB Hornet 160R CBS

Price: 212000.00

View all Best Bikes

Latest Bikes

Revoo S01

Revoo S01

Price: 0.00

TAILG Jidi

TAILG Jidi

Price: 0.00

Vida Z

Vida Z

Price: 0.00

View all Sports Bikes

Upcoming Bikes

Revoo S01

Revoo S01

Price: 0.00

Vida Z

Vida Z

Price: 0.00

Hero Xtreme 250R

Hero Xtreme 250R

Price: 0.00

View all Upcoming Bikes