Suzuki Gixxer বাইক নিয়ে মালিকানা রিভিউ - সাব্বির হোসেন
This page was last updated on 08-Nov-2023 08:55am , By Shuvo Bangla
আমি সাব্বির হোসেন । আজ আমি আপনাদের সাথে আমার Suzuki Gixxer বাইকের মালিকানা রিভিউ শেয়ার করবো ।
Suzuki Gixxer বাইক নিয়ে মালিকানা রিভিউ
আমার জীবনের প্রথম বাইক ছিলো ওয়াল্টন ফিউশন ১২৫ সিসি। যা কি না আমি শুধু মাত্র শিখার জন্য নিয়ে ছিলাম, এটা হচ্ছে ২০১৬ সালের শেষে দিকের কথা। বাইকটা হচ্ছে আমার শখ এর জিনিস, আমার ইচ্ছে ছিলো একটা বাইক থাকবে আমার, যা দিয়ে সময় পেলেই দেশের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে বেড়াবো।
আমার কাছে বাইক মনে হয় সব থেকে উওম বাহন যা দিয়ে নিজের ইচ্ছে মত যে কোনো জায়গায় নিয়ে চলে যাওয়া যায়। এর জন্যই বাইকটা শখের প্রধান কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। কয়েক মাস চালানোর পর যখন কি না নিজের মধ্যে কনফিডেন্স পেলাম যে মোটামোটি সব বাইকই চালাতে পারর তখনই ওইটা সেল করে দিয়েছি।
তখন থেকেই ইচ্ছে ছিলো Suzuki gixxar বাইকটা নিব। এর কারণ হচ্ছে আমার বাজেট এর মধ্যে আমার কাছে এই বাইকটাই সেরা মনে হয়েছে সব দিক থেকে তুলনা করলে আমার কাছে এটা সঠিক মনে হয়েছে। তারপর টাকার সমস্যার জন্য আগের বাইকটা সেল দিয়ে ৫/৬ মাস পর এই বাইকটা কিনেছিলাম।
বাইকটির দাম ছিলো ২,২০,০০০ টাকা । বাইকটি ক্রয় করেছিলাম সুজুকির অফিসিয়াল শোরুম থেকে লোকেশন মোঃপুর বসিলা ব্রিজ এর কাছে। মজার ঘটনা হচ্ছে আমি বাইক কিনব কিনব ওই সময়টায় আমার বড় ভাই এর বিয়ে, চিন্তায় ছিলাম বিয়ের আগে না পরে নিব, এর মধ্যেই এক বড় ভাইকে বলছিলাম কিছু টাকা দিতে উনি টাকাটা দেয়, এবং সাথে সাথে বাইক নিয়ে এসে পড়ি, আর ওই দিনটা ছিলো বিয়ের আগের দিন।
বাইকটা নেয়ার পর প্রথম চালানো অনুভূতি বলে বুঝানো যাবে না, যে তার স্বপ্নের কিছু বাস্তবে পেয়ে যায় তখন সেটা মুখে বলে বুঝানো যায় না, যার অনুভূতি সেই এক মাত্র বুঝে। আমার বাইটি ছিলো সিঙ্গেল ডিস্ক এবং লাল ও কালো রংয়ের ছিলো।
আমার বাইক রাইড করলে খুব কমফোর্ট মনে হয় ।
বাইটা কতবার সার্ভিস করিয়েছি তার হিসেব নাই কিন্তুু কিনার পর থেকে একজন থেকেই সার্ভিস করিয়েছি, আর সেটা হচ্ছে বংশাল বাইাকাস হসপিটাল নামে একটা দোকান থেকে। প্রথমে ৩০ এর মত মাইলেজ পেতাম পরে ৪০+ মাইলেজ পাচ্ছি । মাঝে মাঝে ৪৮ - ৫০ ও মাইলেজ পেয়েছি।
বাইকের সব সময় যত্ন ও মেইনটেন্যান্স করে চলাই ,পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করি ,কোনো কিছু নষ্ট হয়ে গেলে সাথে সাথে ঠিক করে ফেলতাম, সময় মত ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করি । আমি শুরু থেকেই শেল এডভান্স 20W40 গ্রেডের ইঞ্জিন অয়েল ব্যাবহার করি।
তেমন কোনো মডিফাই করিনি । শুধু লং রাইডে যাওয়ার আগে ফগ লাইট ব্যবহার করি । আমার তোলা সর্বোচ্চ স্পীড ১২২।
Suzuki Gixxer বাইকটির কিছু ভালো দিক -
- মাইলেজ ভালো।
- জিনিস এর দাম মোটামটি সাধ্যের মধ্যে।
- পার্টস সব কিছুই পাওয়া যায়।
- কম্ফোর্ট একটা বাইক ।
- দামের মধ্যে সেরা।
Suzuki Gixxer বাইকটির কিছু খারাপ দিক -
- হেড লাইট এর আলো কম।
- হেন্ডেলটা ভালো লাগেনি ।
- বৃষ্টির দিনে পিছনের ব্রেক সু থেকে আওয়াজ আসে।
- হর্ন ভালো দেয়নি।
- প্লাস্টিক গুলো আর একটু ভালো দেওয়া উচিত ছিলো।
সাজেক গিয়েছিলাম, খুব কমফোর্ট, ভালো পার্ফমেন্সও পেয়েছি সিংগেল ডিক্স হওয়ার পাহাড়ি রাস্তায় কোনো সমস্যা হয়নি, ব্রেক লক হয়নি, কনারিং করে মজা পেয়েছি। আমার মতে এক কথায় দাম অনুযায়ী সব দিক থেকে বিবেচনা করে Suzuki র বাইক গুলো সেরা। ধন্যবাদ ।