Suzuki Gixxer Monotone বাইক নিয়ে ২০০০০ কিলোমিটার মালিকানা রিভিউ - রিফাত রহমান
This page was last updated on 28-Jan-2025 04:27pm , By Shuvo Bangla
আমি রিফাত রহমান । আমি চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এ বসবাস করি। আমি বর্তমানে Suzuki Gixxer Monotone বাইকটি ব্যবহার করছি ,যেটি ২০,২৩০ কিলোমিটার চালানো হয়েছে।আজ আপনাদের সাথে বাইকটি দীর্ঘদিন চালানোর অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করব।
আমি এর আগে RTR Apache 2v বাইকটি ব্যবহার করতাম এবং সেটিই ছিল আমার প্রথম বাইক। ছোটবেলা থেকেই বাইকের প্রতি অন্যরকম ভালোবাসা ও ইমোশন কাজ করত।এরই ধারাবাহিকতায় ধীরে ধীরে বাইক সম্পর্কে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের পরিধি বাড়তে থাকে।
২০১৯ সালে আমার এক বন্ধুর Gixxer বাইকটি চালিয়ে দেখার পর এই বাইক আমার মন জয় করে নেয়। এরপরেই Gixxer Monotone নিব সিদ্ধান্ত নেই । যেই কথা সেই কাজ অনেক ত্যাগ ও ধৈর্যের বিনিময়ে ২০২২ সালের এপ্রিলে সুজুকির শোরুম আগ্রাবাদ Port City Motors থেকে বাইকটি ক্রয় করি।
যেসব কারণে বাইকটি আমার খুব ভালো লাগে তার মধ্যে অন্যতম কারণগুলো হলো -
- এর স্পোর্টি এবং এগ্রেসিভ ডিজাইন আমার কাছে বেশ আকর্ষনীয় লেগেছে।
- এই বাইকটি নিয়ে আমি চট্টগ্রাম টু কক্সবাজার, রাঙামাটি, কাপ্তাই, সাজেক,ঢাকা ভ্রমণ করেছি। 155cc এর ইঞ্জিন বাইকটিকে শহরের ট্রাফিক এবং হাইওয়েতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেয়। চট্টগ্রাম-কক্স এর মতো হাইওয়েতে বাসকে ওভারটেকিং এ বিন্দু পরিমাণ কনফিডেন্স ডাউন হয়নি এর ইঞ্জিন পাওয়ারের কারণে।
- প্রথমদিকে নতুন অবস্থায় ৪০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত আমি বাইকটি থেকে ৩৫ মাইলেজ পেতাম। পরবর্তীতে সিটিতে ৩৯ - ৪০ এবং হাইওয়েতে ৪৪ - ৪৫ মাইলেজ পাচ্ছি।
- এর ব্রেকিং আমার কাছে যথেষ্ট ভালো লেগেছে। এছাড়া এর সাসপেনশনও উন্নত,যা স্মুথ রাইডিং অভিজ্ঞতা দেয়।
- রাইডারের সিটিং পজিশন খুবই কম্ফোর্টাবেল লেগেছে আমার কাছে , যা লং রাইডের ক্ষেত্রে বেশ ভালো একটা দিক।
- রাইড করার সময় একজন রাইডারের মিটার থেকে যা যা তথ্য জানা বা দেখা দরকার সবই এই বাইকের মিটারে দেওয়া হয়েছে।
প্রতিটি বাইকেই ভালো দিকের পাশাপাশি কিছু মন্দ দিক থাকে। Gixxer Monotone বাইকটিও এর ব্যতিক্রম নয়।
দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় এই বাইকের যে দিক গুলো আমার কাছে খারাপ মনে হয়েছে তা হলো -
- এই বাইকের পিলিয়ন সিট তেমন আরামদায়ক নয়। লং রাইডে পিলিয়নের জন্য বেশ ভোগান্তির কারণ হবে।
- পেছনের মনোসক সাসপেনশনটি প্রথম অবস্থায় বেশ হার্ড থাকে। ৫ - ৬ হাজার কিলোমিটার পর ধীরে ধীরে এটি স্মুথ হয়।
- এই বাইকে ব্যবহার করা হয়েছে হ্যালোজেন হেডলাইট, যা হাইওয়েতে যথেষ্ট আলো দিতে পারে না। পরবর্তীতে আমার লাইটটি পরিবর্তন করে এল ই ডি বাল্ব ইনেস্টল করতে হয়েছে ।
পরিশেষে বলতে চাই বাইকটি একটি ব্যালেন্সড এবং অলরাউন্ডার বাইক যা মাইলেজ , স্টাইল এবং পারফরম্যান্স ভালো কম্বিনেশন অফার করে। আজ এই পর্যন্ত। যতটুকু সম্ভব সাবলীল ভাষায় রিভিউ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ভুল ভ্রান্তি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই হেলমেট পরিধান করে রাইড করবেন। Safe ride,safe life ধন্যবাদ সবাইকে ।
লিখেছেনঃ রিফাত রহমান