বাইক বিডির রিভিউ দেখে Suzuki Gixxer 155 ক্রয় করি - রিয়াজ

This page was last updated on 31-Jul-2024 03:45pm , By Shuvo Bangla

আমি রিয়াজ মামুন । আমি চট্রগ্রাম বসবাস করি । আজ আপনাদের সাথে আমার Suzuki Gixxer 155 নিয়ে ২৩,৫০০ কিলোমিটার পথচলার গল্প শেয়ার করবো ।


বাইক বিডির রিভিউ দেখে Suzuki Gixxer 155 ক্রয় করি - রিয়াজ

suzuki gixxer 155 at marin drive


প্রথমত বাইক চালানোর লোভে পড়ি এক চাচাত ভাই এর বাইক কেনা দেখে। Suzuki Gixxer 155 আমার ২য় বাইক, তার আগে আমি Bajaj Pulsar 150 ব্যবহার
করতাম। বাংলাদেশের প্রতিটি বাইক লাভারের মত আমারো প্রথম পছন্দ এবং জানা শোনার মধ্যে একটি মাত্র বাইক হিসেবে Bajaj Pulsar 150 ছিল। প্রথম বাইক ক্রয় করার পূর্বে বাইক নিয়ে সামান্য জ্ঞান আমার ছিলনা , তবে পালসার কিনার পর থেকে বাইক সম্পর্কে জানা বুঝা শিখি এবং কিভাবে বাইক নিয়ে লং রাইড দেওয়া যায় তারও কিছুটা অভিজ্ঞতা নিতে পারি।

পালসার ১৫০ নিয়ে লং রাইড করা শুরু করি আর অল্প দিনেই বুঝতে পারি ভ্রমনকে আরেকটু ভালভাবে উপভোগ করতে চাইলে বাহন টাকে কিছুটা নিজের মতো বানিয়ে নিতে হবে, তারপর থেকেই নিজের সাথে মেলাতে পারি এরকম বাইক এর সন্ধান শুরু করি।

আর খোঁজ নিতেই বাইক বিডি ইউটিউব চ্যানেলে জিক্সারের রিভিউটি দেখি, আর বাইক বিডি গ্রুপেও খোঁজ নিয়ে পুরো বাইক সম্পর্কে ধারনা নেই । বাইক বিডি এর রিভিউ দেখে জিক্সারের প্রেমে পড়ে যাই, আর এর মাঝে কম হলেও জিক্সারের বাইক বিডির করা রিভিউটি ৫০ বারের উপর দেখা হয়েছে।
 
এর পরেই জিক্সার ২য় বাইক হিসেবে ক্রয় করার চিন্তায় পুরোটা মগ্ন হয়ে যাই। বাইক বলতেই জিক্সারের প্রতি ভালবাসা তৈরি হয়। আমার এই জিক্সার কিনতে বেশ বেগ পোহাতে হয়েছে এর মাঝে এই বাইকটির সাথে "রাংগুনিয়া বাইক লাভার্স" এর এডমিন গিয়াস ভাই এর পুরা ভূমিকা রয়েছে।
আমি ক্রয় করার সময় বাংলাদেশে জিক্সারের ডাবল ডিক্স ভার্শনটি পাওয়ার সম্ভবনা একদম কম ছিল, তার মাঝে গিয়াস ভাই কম সময়ের মধ্যে এই বাইকটি আগ্রাবাদ রানকন মটর্স থেকে ম্যানেজ করে দেয়। এ জন্য গিয়াস ভাই এর কাছে আজও কৃতজ্ঞ।


জিক্সারের প্রতি ভালো লাগার পিছনে অসংখ্য কারন ছিল। তারমধ্যে কিছু কারন যদি উল্লেখ করি তা হলো -
  • জিক্সারের পিছনের ১৪০ সেকশনের মোটা চাকা যা পুর্বে পালসারে ১০০ সেকসনের ছিল, যা আমাকে পাহাড়ি রাস্তায় কর্নারিং করতে বেশ ভিতু করে তুলত।
  • জিক্সারের টার্নিং রেডিয়াস যেটা সিটি রাইড করতে খুব বেশি উপকারী, যদিও টার্নিং রেডিয়াস নিয়ে পালসারের প্রতি আমার কোন অভিযোগ ছিলনা কিন্তু জিক্সারে এটি পেয়ে নিজেকে খুব লাভবান মনে হতো।
  • জিক্সারের ডিজিটাল মিটার এক মিটারে এত্তো বেশি তথ্য দেওয়া, বাইক চালানোর সময় এর চেয়ে বেশি আর কি লাগে? যদিও আমি এখনো পালসারের RPM এর কাটা যুক্ত মিটারের উটানামা টা মিস করি। এক্সিলারেটর এর সাথে মিটারের উঠা নামা টা খুব বেশি হাতের কাছে বাস্তবিক মনে হতো।
  • জিক্সার যথেষ্ট সাশ্রয়ী, কমচিন্তা এবং সময় বাচানোর মতো একটি গাড়ি উদাহরণ স্বরূপঃ ইন্জিনে একটি মাত্র প্লাগ এবং একটি ইগনিশন কয়েল ব্যবহার করা হয়েছে, সার্ভিস এর সময় ২ টা প্লাগ পরিবর্তনের খরচ নিয়ে ভাবতে হয়না। আর ইন্জিন ওয়েল ও মাত্র ৮৫০এম এল দিতে হয়।
  • এই বাইকটি দেখতে এই সেগমেন্টে অন্যান্য বাইকের তুলনায় অনেক বেশি সুন্দর । ফুয়েল ট্যাংক এর প্রতিটি বাকানো ডিজাইন, ছোট হেডলাইট এর সাথে মানানসই মোটা সাসপেনশন, সবকিছু মিলিয়ে বাইকটি কাছে অথবা দূর থেকে দেখতে যথেষ্ট প্রিমিয়াম লাগে।
  • এই বাইকের ইন্সটান্ট পিকাপ, চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের মতো এক লেন এর বিপজ্জনক রাস্তায় আমি খুব সহজেই নিজের খুশি মতো কম চিন্তা করে বাস-ট্রাক কে ওভারটেক করে নিতে পারি। মোট কথা এই বাইকটি নিয়ে বাংলাদেশের যে কোনো রাস্তায় চালাতে মনের মধ্যে বিন্দু পরিমান পিছুটান অনুভব করিনা।

খারাপ দিক বলতে অল্প কয়েকটা কারন ছাড়া তেমন খারাপ দিক নেই -

  • খারাপ এর মধ্যে এটার সামনের সাসপেনশন খারাপ রাস্তায় খুব প্যারা দেয়। বিশেষ করে আমার মতো পুরো বাংলাদেশ ঘুরে বেড়াতে গেলে অনেক খারাপ রাস্তায়ই বাইক চালাতে হয় আর খারাপ রাস্তায় গেলে এই বাইকে বেশি সময় সিটে বসে থাকার মতো ইচ্ছাশক্তি থাকেনা ।
  • এটার সামনের সাসপেনশন দেখতে সুন্দর হলেও খুব একটা সাপোর্টিব না।
  • পিলিয়ন সিট খুব বেশি শক্ত, যার কারনে পিলিয়ন এর জন্য লম্বা ভ্রমনে খুব বেশি বেদনাদায়ক।
আর মাইলেজ এর ব্যাপারে খুব একটা চিন্তা করতাম না তাই এই ব্যপারে বেশ কিছু লিখতে পারছিনা, তবে ধারনা করা যায় হাইওয়েতে আমি ৩২-৩৫ আর সিটিতে আনুমানিক ৩৮-৪০ মাইলেজ পাই।
আজ এ পর্যন্তই , আমি চেষ্টা করেছি আমার প্রিয় বাইকটি নিয়ে রাইডিং অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে । রিভিউটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।

লিখেছেনঃ রিয়াজ মামুন

আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।

Best Bikes

Honda CB Hornet 160R

Honda CB Hornet 160R

Price: 169800.00

Honda CB Hornet 160R ABS

Honda CB Hornet 160R ABS

Price: 255000.00

Honda CB Hornet 160R CBS

Honda CB Hornet 160R CBS

Price: 212000.00

View all Best Bikes

Latest Bikes

Revoo S01

Revoo S01

Price: 0.00

TAILG Jidi

TAILG Jidi

Price: 0.00

Vida Z

Vida Z

Price: 0.00

View all Sports Bikes

Upcoming Bikes

Revoo S01

Revoo S01

Price: 0.00

Vida Z

Vida Z

Price: 0.00

Hero Xtreme 250R

Hero Xtreme 250R

Price: 0.00

View all Upcoming Bikes