Suzuki Gixxer 155 বাইক নিয়ে মালিকানা রিভিউ - ফারহান
This page was last updated on 21-Nov-2023 12:38pm , By Shuvo Bangla
আমার নাম মোহাম্মদ ফারহান। আমি একটি Suzuki Gixxer বাইক ব্যাবহার করি । আমার জন্ম চট্টগ্রামে। বর্তমানে চাকরিগত কারনে ঢাকা লালবাগে অবস্থান করছি। বাইক জিনিশটার উপর একটা আগ্রহ সেই ছোট বেলা থেকেই কাজ করে।
Suzuki Gixxer 155 বাইক নিয়ে মালিকানা রিভিউ - মোহাম্মদ ফারহান।
যদিওব পরিবারের কারো কাছে বাইক ছিলোনা। এক খালতো ভাই এর কাছে ছিলো সে চালাতো আর নানু বাড়িতে গেলে তার দিকে তাকিয়ে থাকতাম আর তার গাড়িতে হাত বোলাতাম। গাড়ির পেছনে বহুবার চড়া হলেও কিন্তু চালানো হয়ে উঠতো না। লজ্জাই বলতে ও পারতাম না যদি না বলে এই ভয়ে।
কলেজে পড়া অবস্থায় বন্ধু বাবু রহমান তার এক বোনের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যায় । সেখানে তার দুলা ভাইয়ের কাছে বাইক ছিলো Hero Splendor। সেদিন সেটি নিয়ে আমরা ঘুরতে বেড় হই পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত দেখতে। সে সাহস করে আমায় চালকের আসন টি ছেড়ে দিয়ে বললো নে এবার তুই চালা। সেই প্রথম আমার বাইক চালানো বন্ধুর হাত ধরে। পরে টুকটাক এদিক ওদিক থেকে চালাতাম কিন্তু কখনো পুরোপুরি চালানো শিখে উঠতে পারিনি।
কোনো একদিন বন্ধু বাবু রহমান তার নিজের বাইক কিনে এনে আমাকে চমকে দিলো। তার বাইকটি ছিলো Walton Xplore । অসাধারন ছিল বাইকটির লুকস। সে সময়ে বন্ধুর বাইক ভাবতেই অনেক ভালো লাগতো। তারপর থেকে তার হাত ধরে তার বাইকটি দিয়ে আমার বাইক চালানোর পথ চলা। যখন থেকে বাইক চালাতে পারি তখন থেকে একটা স্বপ্ন বুনে রেখেছিলাম একদিন আমারও একটা বাইক হবে।
আলহামদুলিল্লাহ বিগত এক মাস আগে আল্লাহ তৌফিক অনুযায়ী আমি আমার স্বপ্নের বাইকটি কিনতে পারি । যদিও পুরাতন কিনেছি তাই সুজুকির শোরুম থেকে নতুন বাইকে কেনার ফিল নিতে পারিনি তবে আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো একটা বাইক পেয়েছি। সেই বাইকটি কিনতেও বন্ধু বাবু রহমানের বিরাট ভূমিকা ছিল। সে নিজে ডিল করে তার ব্যস্ততম সময় উপেক্ষা করে সে আমার জন্য এই বাইকটি ম্যানেজ করে নেয়।
১,৩০,০০০ দিয়ে বাইকটি আমি ক্রয় করি কুমিল্লা থেকে। বিআরটিএ এর হাজার ঝামেলা পেরিয়ে শেষমেষ গাড়িটি আমার নামে লেখা হয়। চাকরির সুবাদে ঢাকায় থাকার কারণে গাড়িটি আমার খুব প্রয়োজনে আসে। যাতায়ত থেকে শুরু করে কোম্পানির বিভিন্ন কাজ দ্রুততম সময়ে বাইকের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে পারি।
নিজের গাড়ি যখন প্রথম স্টার্ট দেই সে এক অন্যরকম অনুভূতি ছিলো এখনো আছে। আলহামদুলিল্লাহ বাইকের অসাধারণ পারফরম্যান্স উপভোগ করছি। এখনো পর্যন্ত বাইকটি পুরোপুরি ফ্রেশ কন্ডিশন। এক লিটার ফুয়েলে দিয়ে ৪০ থেকে ৪২ কিলোমিটার মাইলেজ পাচ্ছি। ঢাকা-চট্টগ্রাম দুইবার হাইওয়ে রাইড করলাম। বাইকের টপ স্পিড 120 পেয়েছি ।
আলহামদুলিল্লাহ আল্লার কাছে অনেক কৃতজ্ঞ তিনি আমার স্বপ্ন পূরণ করেছেন। বাইকটির প্রতি একটা চরম দুর্বলতা ছিল , বাইকটি আমার এতেই আমি অনেক খুশি। বাইকটির পারফরম্যান্স , মাইলেজ , বাইকের লুকস আমি স্যাটিস্ফাইড। বলা যায় সুজুকি মডেলের এই বাইকটি অনেকটা স্টান্ডার্ড এবং মডার্নিটি ধরে রেখেছে। ধন্যবাদ ।
লিখেছেনঃ মোহাম্মদ ফারহান