Suzuki Gixxer 155 কেন আমি একই মডেলের ৪ টা বাইক চালালাম - ওয়াজ
This page was last updated on 31-Jul-2024 08:15pm , By Shuvo Bangla
আমি ওয়াজ চৌধুরী, আমি আজকে আমার Suzuki Gixxer 155 বাইক নিয়ে আমার রাইডিং অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো। কেনো এতএত বাইকের অপশন থাকতে জিক্সারই পছন্দের শীর্ষে। আমি ২০০৬ সাল থেকেই বাইক রাইড করি। আমার এই দীর্ঘ বাইকিং জীবনে পছন্দের একমাত্র বাইক জিক্সার , যদিও বর্তমান এটাকে জিক্সার মনোটোন কালার নামেই চেনে সকলেই।
২০১৫ সালের প্রথম বড় ভাইয়া বাইক কিনে দেবে আমাকে , তখন উনি দিনাজপুরে থাকেন। আমার পছন্দের কথা জানতে চাইলে আমি এফযেড কে পছন্দের কথা বলি, তখন এতএত মডেলের বাইক সম্পর্কে আমার অভিজ্ঞতা ছিলোনা। ভাইয়া বললো- "তুমি জিক্সার নাও বাইকটার লুক আমার অনেক পছন্দ। তুমিও নেট সার্চ দিয়ে দেখো।" আমি ফোন হাতে নিয়ে জিক্সার লিখে সার্চ দিয়ে এক দেখাতেই প্রেমে পরে গেলাম জিক্সারের।
এরপর ভাইয়াকে বললে প্রি অর্ডার দিয়ে বাইকটি এনে দেয়। আমার জানামতে তখন আমার জেলায় আমার জিক্সারই ছিলো প্রথম জিক্সার বাইক। এরপর শুরু হলো জিক্সারের সাথে আমার পথ চলা। বাইকটি যতই চালাই ততই এর প্রেমে পরে যাই।
আগে জিক্সার সম্পর্কে আমার দৃষ্টিতে ভালো মন্দ দিক বলে নেই -
আমার দৃষ্টিতে Suzuki Gixxer 155 বাইকের কিছু ভালো দিক -
- বাইকটির লুক এক কথায় অসাধারন ।
- আমার জন্য বেষ্ট কন্ট্রোলিং বাইক এটি ।
- মাইলেজ ৪৫-৫০ রেগুলার পাই ।
আমার দৃষ্টিতে Suzuki Gixxer 155 বাইকের কিছু খারাপ দিক -
- এই বাইকের ১৫ থেকে ১৮ মডেলের কালার কোয়ালিটি ভালো থাকলেও এরপর কালার কোয়ালিটি আমার মতে একে বারেই বাজে হয়ে গেছে। যেখানে চাইনিজ ব্যান্ডের ছোট বাইক গুলোতেও এত বাজে কালার কোয়ালিটি দেয়না।
- পিলিয়ন সিট আসলেই পিলিয়নদের জন্য একটু আনকম্ফোর্ড। তবে লুকের দিকে দৃষ্টি দিলে স্প্লিট সিট গুলোর থেকে এর সিটের লুকিং আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে।
আমার প্রথম জিক্সারটি ৯ মাসের মাথায় ১০ হাজার কিলোমিটার চালিয়ে সেল দিতে হয়। পারিবারিক একটু সমস্যার কারনে ১ দিনেই সেল দিতে হয়েছে বাইকটি, যেদিন বাইকটি সেল দেই সেদিন আমার থেকে কষ্টে আর কেউই ছিলো বলে আমার মনে হয়না। এরপর আবার স্বপ্ন জিক্সার নেবো, এর মাঝে টাকার সল্পতার কারনে নিলাম টিভিএস স্ট্রাইকার।
কিছুদিন চালানোর পর সেল দিয়ে ক্রয় করলাম আরটিআর ২ভি। আমার ক্যান জানি জিক্সার ছাড়া এর কোন কিছুই ভালো লাগছিলোনা, আবার এটা সেল দিয়ে জিক্সার নিলাম ২০১৮ সালের শুরুর দিকে। আনন্দের সহিত প্রায় ২০ হাজার কিলোমিটার চালানোর পর সেল দিয়ে পালসার ডিডি নিলাম। কিন্তু নিয়েই পরলাম এক বিপত্তিতে। টার্নিং রেডিয়েন্স এর ঝামেলার সাথে আমার হাইট ৫ ফিট ৪ ইঞ্চি হওয়ায় বাইকটি চালানো আমার জন্য কষ্টকর হয়ে পরে।
৬ মাস পর ওটি সেল দিয়ে আবার পছন্দের বাইক জিক্সার নিয়ে নিলাম ২০১৯ সালে। আবার মনের মত করে চালালাম ৪৩ হাজার কিমি। হাইওয়ে রোডের কাজ চলার কারনে প্রায় ৭ মাস বাইকটি নিয়মিত নির্মাণাধীন রাস্তার উপর চালানোর বাইকটির একটি মাস্টার সার্ভিস দেয়ার প্রয়োজন পরলে চিন্তা করি, বাইকটি সেল দিয়ে অন্য একটি বাইক ক্রয় করি। এবং বাইকটি একটি পুরাতন শোরুমে সেল দেই।
এরপর আমি যথাক্রমে এফযেড ভি২,ভি৩, জিক্সার এফআই, এক্সব্লেড, হর্নেট ইত্যাদি বাইক টেষ্ট রাইড দেই। কিন্তু আমার কাছে জিক্সারই ফাষ্ট মডেলটা ছাড়া অন্য বাইক কিছুইতেই ভাল লাগছিলোনা। তাই শেষ সিদ্ধান্ত জিক্সার মনোটোন টাই নিলাম ১৫/১০/২০২২ এ এখন পর্যন্ত ১১,৫০০ কিলোমিটার রাইড করলাম বাইকটি দিয়ে।
আলহামদুলিল্লাহ, আমি বেশ খুশিই আছি জিক্সারের সাথে। বাইকগুলি দিয়ে আমি মুলত আমার কলেজ যাওয়া আসা, আমার ব্যাবসার কাজে যাওয়া, ও ট্যুরের জন্য ব্যাবহার করেছি। আর একজন বাইক প্রেমি বাইক ছাড়া এককাপ চা খেতেও যায়না, এটা আমরা সকলেই জানি।।
কিছুদিন চালানোর পর সেল দিয়ে ক্রয় করলাম আরটিআর ২ভি। আমার ক্যান জানি জিক্সার ছাড়া এর কোন কিছুই ভালো লাগছিলোনা, আবার এটা সেল দিয়ে জিক্সার নিলাম ২০১৮ সালের শুরুর দিকে। আনন্দের সহিত প্রায় ২০ হাজার কিলোমিটার চালানোর পর সেল দিয়ে পালসার ডিডি নিলাম। কিন্তু নিয়েই পরলাম এক বিপত্তিতে। টার্নিং রেডিয়েন্স এর ঝামেলার সাথে আমার হাইট ৫ ফিট ৪ ইঞ্চি হওয়ায় বাইকটি চালানো আমার জন্য কষ্টকর হয়ে পরে।
৬ মাস পর ওটি সেল দিয়ে আবার পছন্দের বাইক জিক্সার নিয়ে নিলাম ২০১৯ সালে। আবার মনের মত করে চালালাম ৪৩ হাজার কিমি। হাইওয়ে রোডের কাজ চলার কারনে প্রায় ৭ মাস বাইকটি নিয়মিত নির্মাণাধীন রাস্তার উপর চালানোর বাইকটির একটি মাস্টার সার্ভিস দেয়ার প্রয়োজন পরলে চিন্তা করি, বাইকটি সেল দিয়ে অন্য একটি বাইক ক্রয় করি। এবং বাইকটি একটি পুরাতন শোরুমে সেল দেই।
এরপর আমি যথাক্রমে এফযেড ভি২,ভি৩, জিক্সার এফআই, এক্সব্লেড, হর্নেট ইত্যাদি বাইক টেষ্ট রাইড দেই। কিন্তু আমার কাছে জিক্সারই ফাষ্ট মডেলটা ছাড়া অন্য বাইক কিছুইতেই ভাল লাগছিলোনা। তাই শেষ সিদ্ধান্ত জিক্সার মনোটোন টাই নিলাম ১৫/১০/২০২২ এ এখন পর্যন্ত ১১,৫০০ কিলোমিটার রাইড করলাম বাইকটি দিয়ে।
আলহামদুলিল্লাহ, আমি বেশ খুশিই আছি জিক্সারের সাথে। বাইকগুলি দিয়ে আমি মুলত আমার কলেজ যাওয়া আসা, আমার ব্যাবসার কাজে যাওয়া, ও ট্যুরের জন্য ব্যাবহার করেছি। আর একজন বাইক প্রেমি বাইক ছাড়া এককাপ চা খেতেও যায়না, এটা আমরা সকলেই জানি।।
এই ছিলো জিক্সার নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা, সকলেই ভালো থাকবেন। বাইক বিডির সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ ।
লিখেছেনঃ ওয়াজ চৌধুরী
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।