Royal Enfield Hunter 350 ৩০০০ কিমি রাইডিং অভিজ্ঞতা - বায়েজীদ বোস্তামী

This page was last updated on 23-Jul-2025 12:08pm , By Raihan Opu Bangla

আসসালামু আলাইকুম, আমি বায়োজিদ বোস্তামী। পেশায় বেসরকারী চাকুরিজীবি ও পাশাপাশি একজন স্টুডেন্ট। গত ৩ মাস যাবৎ আমি Royal Enfield Hunter 350 বাইকটি রাইড করছি এবং অলমোস্ট ৩০০০ কি.মি রাইড করেছি। আজ আমি আমার এই ৩০০০ কি.মি রাইড এর অভিজ্ঞতা শেয়ার করব।

Royal Enfield Hunter 350 মালিকানা রিভিউ

Royal Enfield Hunter 350 মালিকানা রিভিউ

Royal Enfield Hunter 350 চয়েস করার কারন হচ্ছে আমি এমন একটি বাইক খুজছিলাম যেটি সিটিতে অনেক ভাল পারফর্ম করবে। আমাকে প্রতিদিন ইউনিভার্সিটি যেতে হয় আবার অফিসে আসতে হয়, সেই হিসাবে ডেইলি সিটি কমিউটিং এর জন্য বাইকটা আমার কাছে পারফেক্ট মনে হয়েছে। এই বাইকটির টার্নিং রেডিয়াস কম ফলে সিটিতে জ্যামের মধ্যে বেশ ভালভাবে মুভ করা যায় ও বেশ কম্ফোর্টেবল ভাবে রাইড করা যায়। 

অনেকেরই প্রশ্ন এই বাইকটির মাইলেজ নিয়ে। নতুন অবস্থায় বাইকটি যখন আমি চালাই তখন মাইলেজ কম পেয়েছি, মাত্র ২০-২৫ কি.মি এরকম। পরবর্তীতে বাইকটি একটু বেশি চলা হলে ৩০-৩৫ কি.মি মাইলেজ আমি পাচ্ছি। আমি এই মাইলেজে খুবই হ্যাপি এবং স্যাটিসফাইড। 

Also Read: Motorcycle Price In Bangladesh

এবার আসি পারফর্মেন্স এর বিষয়ে। প্রত্যেক বাইকেরই আসলে ভাল দিক ও খারাপ দিক থাকে। ৩০০০ কি.মি রাইড করার পরে ভাল দিক হিসাবে মনে হয়েছে সিটি রাইডের জন্য সব দিক থেকে বেস্ট হবে Royal Enfield Hunter 350 বাইক। এটার সাইজ অন্যান্য Royal Enfield থেকে ছোট হওয়ায় জ্যামের মধ্যেও ভালভাবে চালানো যায়।

ব্রেকিং হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ডুয়াল চ্যানেল এবিএস, অন্যান্য বাইকের তুলনায় বলা যায় এর ব্রেকিং পারফর্মেন্স অনেক ভাল। যদি নতুন রাইডার ও হয়ে থাকেন তাও খুবই কনফিডেন্সের সাথে বাইকটি রাইড করতে পারবেন। 

Royal Enfield Hunter 350 মালিকানা

সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে বলে থাকে এর ভাইব্রেশন কি রকম, সিটিতে Hunter 350  রাইড করলে একদম ই ভাইব্রেশন ফিল হয় না। তবে হাই স্পিডে যেমন ৯০+ স্পিড হলে বাইকটি কিছুটা ভাইব্রেশন করে। বাইকটিতে FI ইঞ্জিন ইউজ করা হয়েছে ফলে বাইকটির পারফরমেন্স, মাইলেজ এবং স্মুথনেস সবকিছুই আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভাল পাওয়া যাচ্ছে।

Also Read: Royal Enfield Bike Price In Bangladesh

সিটি রাইডের পাশাপাশি আমি লং রাইডেও যেতে পছন্দ করি। বাইকটি নিয়ে আমি কুমিল্লা গিয়েছিলাম, হাইওয়ে তে বাইকটির পারফর্মেন্স আমি যথেষ্ট ভাল পেয়েছি। কুমিল্লা যাওয়ার সময় বাইকের পাওয়ার আমার কাছে যথেষ্ট মনে হয়েছে, ওভারটেকিং এ যথেষ্ট ভাল কনফিডেন্স ও সাপোর্ট পাওয়া যায়। 

বাইকটিতে হ্যালোজেন হেডলাইট ব্যবহার করা হয়েছে। হেডলাইটের আলো খুব একটা ভাল না আবার একেবারেও খারাপ না। যতটুকু দরকার ততটুকু দেওয়া হয়েছে আরকি। তবে একটি বিষয় নিয়ে আমি অসন্তুষ্ট সেটা হচ্ছে বাইকের সাউন্ড।

royal-enfield-hunter-350-user

আগেকার Royal Enfield এ যেরকম গম্ভীর সাউন্ড পাওয়া যেত ডুগ ডুগ ঐরকম এখনকার বাইকে আর পাওয়া যায় না। তবে যদি ইঞ্জিনের টেকনলজি এবং পারফর্মেন্স কম্পেয়ার করি সেই হিসেবে সাউন্ড ঠিকঠাক আছে বলে আমি মনে করি। 

Also Read: Royal Enfield Showroom In Bangladesh

এই ছিল Royal Enfield নিয়ে আমার ৩০০০ কি.মি এর রাইডিং এক্সপিরিয়েন্স। যারা সিটি এবং হাইওয়েতে বেটার পারফর্মেন্স চাচ্ছেন তাদের জন্য এটা ভাল চয়েস হতে পারে। আশা করছি আমার রিভিউটি আপনাদের সহায়তা করবে।  


লিখেছেনঃ বায়েজীদ বোস্তামী


আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।