New Suzuki Gixxer ১৭০০০ কিলোমিটার মালিকানা রিভিউ - রকি
This page was last updated on 01-Aug-2024 11:38am , By Shuvo Bangla
আমার নাম মোঃ রিয়াজুল ইসলাম রকি , আপনাদের সাথে শেয়ার করবো New Suzuki Gixxer বাইকের ১৭০০০ কিলোমিটার মালিকানা রিভিউ । আমি একজন ছাত্র আমার বাবা একজন ব্যবসায়ী। আমার বাসা দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ থানায়।
ছোট বেলা থেকে গ্রামে অনেকের মোটরসাইকেল দেখতাম ছোটবেলা থেকে মোটরসাইকেল প্রেমে পড়া তাছাড়াও মোটরসাইকেলের একটি ব্যক্তি স্বাধীনতা আছে ইচ্ছা করলে যখন ইচ্ছা যেখানে ইচ্ছা স্বাধীনভাবে মোটরসাইকেল চালানো যায় এজন্য মোটরসাইকেল কে বেশি ভালোবাসি।
আমি আমার বাইকটি অনেকগুলো বাইক দেখার পর পছন্দ করে আমার বাজেটের উপর নির্ভর করে সুজুকি জিক্সার এস এফ এবিএস স্পেশালিডিশন পছন্দ করি। এছাড়া বাইকটির লুক হেডলাইট ব্রেকিং সিস্টেম সীট পজিশন আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে আর আমার বাজেটের মধ্যে কিটসহ এই বাইকটি আমার কাছে ভালো লেগেছে। আমি আমার বাইকটি মূলত বেছে নিয়েছি কোম্পানি ব্রান্ড ভ্যালু হিসাব করে।
আমি যখন বাইকটি কিনি তখন এই বাইকটি চাহিদা অনেক ছিল এমনকি সুজুকি কোম্পানি বাংলাদেশের মার্কেটে এসএফ বাইকের চাহিদা পূরণ করতে পারতেছিল না। ঠিক ওই সময় আমার বাইক কেনা। আমি যখন বাইকটি নিয়েছিলাম তখন বাইকটির দাম ছিল ২ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকা এবং ক্রয় করি সুজুকির অফিসিয়াল শোরুম বাইক কর্নার বগুড়া সদর থেকে। এই ছবিটার জন্য ৭ বছর অপেক্ষা করেছি ।
বাইকটি আমি যেদিন কিনতে যাই তার আগের দিন আব্বু আমাকে বাইক কেনার সমস্ত টাকা বুঝিয়ে দেয়। যথারীতি টাকাগুলো আমার রুমে রেখে দেই রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর ঘুমাতে যাই কিন্তু কোন ভাবে ঘুম আসছিল না এরপর ইন্টারনেট ঘাটাঘাটি করি বাইকের পিকচার দেখি বিভিন্ন কোম্পানির আরো বাইক দেখি বিভিন্ন কালারের এবং ইউটিউবে বাইকবিডির রিভিউগুলো থেকে সুজুকি এস এফ স্পেশাল এডিসনের রিভিউ বার বার দেখি।
আমার কোন ভাবে ঘুম আসছিল না অনেক চেষ্টার পর যখন ঘুমাইতে ব্যর্থ হই তখন টিভি দেখিয়ে রাত পার করে দেই।সকালবেলা খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে বিআরটিসি বাসে করে বগুড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হই।এরপর বিভিন্ন নতুন পুরাতন শোরুম দেখারপর বাইক কর্নারে আমার পছন্দের বাইকটি পেয়ে যাই।
কিছুদিন আগে গ্রুপের কিছু বড় ভাইদের উপহার হিসাবে টি-শার্ট পেয়েছিলাম। বাইক বিডিতে সম্ভবত ১৬ সাল থেকে আছি তার কিছুদিন পর হলুদ স্টিকার পেয়েছিলাম। আব্বুর বাইক অনেক আগে থেকে আছে কিন্তু ব্যক্তিগত কোন গাড়ি ছিল না আমার। বাইক বিডির সেই হলুদ স্টিকারগুলো বাবার বাইকে লাগিয়েছিলাম। এরপর এসএসসি এইচএসসি পেরিয়ে ডিগ্রিতে এডমিশন নিলাম আব্বুর গাড়ি নিয়ে মাঝে মাঝে কলেজে যাইতাম কিন্তু ঝামেলা বাধে একটি বাইক দুজনই টানাটানি করে।
বাইকের স্বপ্নের আগে থেকেই ছিল কবে নিজস্ব একটি বাইক হবে। এরপর ২২ সালের শেষের দিকে বাইকবিডির মডারেটর দের কাছে আবদার করি আমার একটা টি শার্ট লাগবে তারাও আমাকে নিরাশ করে নাই। এরপরের ডিসেম্বরে বাসায় বললাম আমার একটা বাইক লাগবে যদি অনেক আগে থেকেই বাসায় বলতাম বাইকের কথা কিন্তু এইবার অনেকটা জোর করে বলি আমার বাইক লাগবে।
তারপর আমার ব্যক্তিগত সামান্য কিছু টাকা বাবা এবং মায়ের জমানো টাকা সবার ছোটখাটো সহযোগিতায় আমি আমার বাইকটি কিনে ফেলি। বাইক কেনার আগে থেকে একটা স্বপ্ন ছিল যে যদি বাইকবিডিতে আমি নিজস্ব কোন ছবি পোস্ট করি তাহলে আমার নিজস্ব গাড়ি এবং বাইক বিডি টি-শার্ট পরিহিত অবস্থায় পিকচার দিব। অতএব অনেক কষ্ট ধৈর্য এবং সকলের সহযোগিতায় এক নিজস্ব বাইকের মালিক আমি।
যদিও এই পোস্টে বাইক কেনার নেপথ্যে অনেক ছোটখাটো বিষয় ছিল অনেক কষ্ট এবং পরিশ্রম ছিল যারা এ পোস্টে তুলে ধরা অনেক ছোট হবে। যদিও বাংলাদেশের বাইকিং গ্রুপগুলোর উপর আমার দুর্বলতা রয়েছে কিন্তু সবার উপরে বাইক বিডিকে রাখি, কারণ বাইকের বিষয়ে জানা বাইক নিয়ে স্বপ্ন দেখা এবং বাইক কেনা সবকিছুই হয়েছে বাইকবিডি কিছু ভাইদের পোস্ট দেখে। আমার রিভিউটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।
লিখেছেনঃ মোঃ রিয়াজুল ইসলাম রকি