Keeway RKS150 Sports v2 - ২২০০ কিঃ মিঃ মালিকানা রিভিউ -তৌহিদ রাসেল
This page was last updated on 08-Jul-2024 05:05pm , By Saleh Bangla
যে স্বপ্ন আমাকে আরো স্বপ্নময় করে আমি সেটাই দেখি । এমন অনেক স্বপ্নের মাঝে একটি স্বপ্ন পূরন হওয়ার গল্প শোনাবো আজ। ছোট খাটো চাকুরী আমার পেশা, আসলে কিছু করতে হবে তাই, তা না হলে চাকুরী আমার ভাল লাগে না। নাম তৌহিদ রাসেল। আমার নামটাও পছন্দ না, পারলে চেঞ্জ করতাম বাড়ী রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে। ছোট বেলা রাস্তা দিয়ে কোন বাইক দেখলে যত দূর দেখা যেত হাঁ করে তাকিয়ে থাকতাম। এটাকে যদি কেউ আমাকে বাইক প্রেমিক বলতে চান তাহলে আমি তাই। বাইকটা তখন থেকেই আমার কাছে নেশার মত। প্রথম হাতে খড়ি আমার কাজিনের কাছ থেকে, এর পরে আমার বাবার অফিসিয়াল বাইক দিয়েই যাত্রা শুরু সেটা ২০০০ সালের দিকে। যাই হোক আমার Keeway RKS150 Sports V2 (With CBS) নিয়ে আমার দুই মাসের, প্লাস ২২০০ কি: মি: চালানোর অভিজ্ঞতা বলবো ।
Keeway RKS150 Sports V2 - ২২০০ কিঃ মিঃ মালিকানা রিভিউ
বাইকটা আমি একমাস ধরে ক্রয় করি। খুব কম লোক পাওয়া যাবে এমনটি করেছে। প্রথমে বুকিং দেই। পরে নাম্বার সহ শো- রুম থেকে নেই ১৭/১১/২০১৭ ইং তারিখে। ১৫০ সি সি চালানোর অভিজ্ঞতা এই প্রথম, আগে অবশ্য ১০০ সিসি দিয়েই ১৫০ সিসির স্বাদ নিতে চাইতাম, (এখন বুঝি ব্যাপারটা কি ছিল)।
প্রথমেই লুক নিয়ে কিছু কথা : Keeway RKS150 Sports v2 বাইকটা ক্রয়ের আসল কারন ১৫০ সিসিতে সিফট হওয়া । সেখানে ইন্ডিয়ান বাইকও হতে পারতো। কিন্তু আমি যেটা চাই সেটা একমাত্র Keeway Bike ছাড়া কে দিতে পারে! বুঝতেই পারছেন এর লুকের কারনেই প্রথম পছন্দ ছিল। অসাধারণ ডিজাইন যার তুলনা হয় না।রাস্তা ঘাটে মানুষ হ্যাঁ করে তাকিয়ে থাকে। আমার কাছে হেড লাইট, ইন্ডিকেটর লাইট, আর ব্যাক লাইটটা বেশী জোশ লাগে, যা আলাদা লুক নিয়ে এসেছে।
Keeway RKS150 Sports V2 এর ব্যালেন্স এবং কন্ট্রোল: Keeway RKS150 Sports v2 নিয়ে লাষ্ট ঢাকা যেতে আমার সর্বোচ্চ গতি ছিল ১১২, যা আমার জন্য বিস্ময়। এটাই আমার প্রথম ছিল, অথচ আমার ব্যালেন্স আর কন্ট্রোল ছিল অসাধারণ। সিবিএস ব্রেকিং আমাকে বাড়তি কনফিডেন্স দিয়েছিল এটা স্বীকার করতে দ্বিধা নেই ও CBS নিয়ে কিছু কথা না বললেই না, এটা বাইকিং জগতে নতুন আবিষ্কারই বলবো। আমি যদি ভুল না করি একসাথে সামনের আর পিছনের চাকা শুধু মাত্র পায়ের ব্রেকেই কন্ট্রোল হবে, যেটা ৪০:৬০। সত্যি অসাধারণ, সামনের ব্রেক ধরার প্রয়োজন নেই। যেকোন একটা ব্রেক ধরলেই হবে।
এবার ইঞ্জিন নিয়ে কিছু কথা : সত্যি কথা বলতে ইঞ্জিন সম্পর্কে আমি এতটা ভাল বুঝি না। তবে RKS150 sport v2 CBS এর সাউন্ডটা আমার কাছে জোশ লাগে। শক্তি আছে বলতে হবে । এত শীতের মাঝেও সকালে কখনো হতাশ করেনি আমাকে। একদিনে এখন পর্যন্ত ২০০+ কি:মি: চালানোর পরেও ইঞ্জিন সাউন্ড ইস্মুত ছিল। Keeway RKS150 sport v2 এমন একটা বাইক যা আমাকে দীর্ঘ দিন সাপোর্ট দিবে এটা নিশ্চিত। ইঞ্জিন বেশ শক্তিশালী ও মজবুত।
রেডী পিকাপ নিয়ে কিছু কথা : Keeway RKS150 sports v2 এটি একটি স্পোর্টস বাইক, তাই এর গতি প্লাস রেডি পিকাপ নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। আমি ০.৬ সেকেন্ডে ৬০ কি:মি: গতি তুলেছি। সর্বচ্চ গতি তুলেছি ১১২।
মাইলেজ : সত্যি কথা বলতে আমি এখনো হিসাব করি নাই। আমার কাছে ফুয়েল হিসাব করে বাইক চালানো পছন্দ না। চাকুরী না থাকলে দেখা যাবে ব্যাপারটা। ৪২+ হতে পারে এভারেজ। হাইওয়েতে প্রতি লিটারে ৫৩ কিঃমি মাইলেজ পেয়েছে এক বড় ভাই শুনেছি ।
যে বিষয় ভাল লাগেনি : বাইকের চেইন ও স্পোকেট এর কোয়ালিটি আরো ভাল করা যেত। প্রচুর লুজ হয়। হেড লাইটের আলো আরো ভাল হতে পারতো। এল ই ডি হলে ভাল হত।
যা এই বাইকের বেশী আকর্ষনীয় : - CBS ব্রেকিং সিস্টেম -মোবাইল চার্জিং পোর্ট - ডুয়েল ডিস্ক ব্রেক - মনো শক সাসপেনশন -এল ই ডি ব্যাক লাইট -এল ই ডি টার্ন সিগনাল লাইট -টিউবলেস টায়ার।
শেষ কথা : আমি বলবো এই বাজেটে Keeway RKS150 Sports v2 অসাধারন একটা বাইক। চায়না আইফোন যদি ব্যাবহার করতে দ্বিধা না থাকে, তাহলে কেন কিওয়ে নয়। সময় এসেছে ভিন্ন কিছুর। যদিও আমার ভাললাগা একান্তই আমার, অন্য কারো ভাল নাও লাগতে পারে। ভাল থাকবেন, আর সাবধানে বাইক চালাবেন সবাই।