Kawasaki kw-80 নিয়ে ১১ বছরের রাইডিং অভিজ্ঞতা - সঞ্জিব
This page was last updated on 31-Jul-2024 01:41pm , By Raihan Opu Bangla
আমি সঞ্জিব । আমার জীবনের প্রথম বাইক ছিলো Kawasaki kw-80 যেটা ১৬ই জুলাই ২০০৯ সালে মৌলভীবাজার বেঙ্গল মটরস থেকে ক্রয় করি। আমি মোট ৩টা বাইক চালাই, ৩ টাই আমার । আমার সবচেয়ে ছোট বাইক Kawasaki kw-80। রিভিউটির পাশাপাশি আপনি Kawasaki Bike Price in Bangladesh সর্ম্পকে বিস্তারিত জানুন আমাদের ওয়েবসাইটে
Kawasaki Kw-80 নিয়ে ১১ বছরের রাইডিং অভিজ্ঞতা
যে কারণে বাইকটি ক্রয় করি -
বাইকটি ৮০ সিসি ছোট বাইক। বাইকটি আমার জীবনের প্রথম বাইক হওয়ার কারনে আমরা এর আগে বাইক ভালোভাবে চালাতে পারতাম না। তাই বাবা সিদ্ধান্ত নেন যে ছোট বাইক কিনে দিবেন ।
বাইকটার ইঞ্জিন ভালো বেশ স্মুথ সাউন্ড এবং পিছনে ক্যারিয়ার সহ পিলিয়ন সিটে অনেক জায়গা রয়েছে। মা আর ছোট বোন লাল কালার নিতে বলেছিলেন তাই লাল কালার এর বাইকটি নিয়েছি ।
আমার হিসাবে সবচেয়ে মজার জার্নি হলো বাইক জার্নি। কোন ঝামেলা নাই। জ্যামে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় নষ্ট হয়না, গন্তব্যে পৌঁছাতে অনেক সময় বাচে। বাইক আমার কাছে আমার ভালোবাসা।
আমি বর্তমানে Kawasaki kw-80 বাইকটি বাবা ক্রয় করেন এবং ১১ বছর যাবত ব্যবহার করছি। বাইকটি যখন ক্রয় করি তখন সেটির দাম ছিলো ৮৪,০০০ টাকা মাত্র, এবং বাইকটি মৌলভীবাজার বেঙ্গল মটরস থেকে ক্রয় করি।
বাইক ক্রয় করতে যাওয়ার দিনের ঘটনাবলী -
আমরা অনেক সেকেন্ড হ্যান্ড বাইক দেখতাম কেনার জন্য। এর মধ্যে একটাও ভালো লাগতো না। একদিন বাবা রাগ করে পুরাতন বাইক কেনার চিন্তা বাদ দিলেন। এরপরের দিন আমরা ঘুম থেকে উঠার পর বাবাকে টেনশনে থাকতে দেখেছিলাম।
বাবার টেনশন তেমন কিছু না শুধু ডিসিশন নিতে পারছেন না। বাবা রেডি হলেন আমাকেও রেডি করে নিয়ে ২ মাইল হেটে বাস ধরে মৌলভীবাজার গেলাম আমাদের সাথে একজন ভাই ছিলো।
বাইক সম্পর্কে ভাইয়ের অনেক ভালো অভিজ্ঞতা ছিলো। এরপর শো-রুমে গিয়ে বাইক দেখতে দেখতে Kawasaki kw-80 বাইকটা পছন্দ হলো । কারন বের হবার সময় মা আর ছোট ভাই বোন বলেছিলেন বাইক টা যেন লাল হয়। তাই সেটা পছন্দ করে কিনলাম।তখন আমার পরিবারের অবস্থা ভালো না থাকায় বাইকটি কিস্তিতে কিনলাম। সাথে হেলমেট ও রেইন কোট ফ্রি পেয়েছিলাম
বাইকটি প্রথম বার চালানোর অনুভূতি-
পছন্দের বাইক এবং সেটার মাঝে অনেক ভালোবাসা লুকিয়ে ছিলো আমি পারতাম না বাইক চালাতে। খুব ছোট ছিলাম। আমি বাইক টা তে উঠে বসতাম বাবা চালাতেন।
বাইকটি কেনার ৮ দিন পর আমি বাবাকে বললাম বাইক চালাবো উনি মানলেন না। আমি গড়গড় করে চালানোর সিস্টেম বলতে শুরু করলাম।তখন উনি বাইক টা দিলেন। পিছনে বসলেন আর আমি চালাতে শুরু করলাম এভাবেই শুরু হলো এখন আমার ১১ বছর রানিং।
বাইকের ফিচার -
Kawasaki kw-80 বাইকটিতে রয়েছে
- 80cc Engine
- Starting Kick + Electric Starter
- Top Speed 77Kmph (internally tested)
- Transmission 4 Gears
- City mileage 50 kmpl
- Highway mileage 60 kmpl
বাইকটি প্রতি ১ বছরে ২ বার সার্ভিস করিয়েছি এবং ফুল সার্ভিসিং করাই এবং কমন পার্টস যেগুলো মেজর সমস্যা সেগুলো পরিবর্তন করি, নিয়মিত ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করি।
আমি বাইকের চেইন ও চেইন কভার নিয়মিত ক্লিন করি, চেইনে লুব দেই। মাসে প্রায় ২ বার বাইক ওয়াস করি এরপর পলিশ দেই। আমার বাইকে আমি ১০০০ কিলোমিটার পর পর Total mobil ইঞ্জিন ওয়েল ব্যবহার করি । ৬০০ গ্রাম ইঞ্জিন ওয়েল ব্যবহার করি। বাইকটি থেকে খুব ভালো পার্ফরমেন্স পাচ্ছি।
আমি বাইকে ব্রেক সু, ড্রাম রাবার, চেইন স্প্রোকেট কিট, পিস্টন, মিটার ক্যাবল, পিকাপ ক্যাবল পরিবর্তন করেছি। পার্টস শোরুম এ এভেইলেবল পাই। পার্টস এর মূল্য বাজেট এর মধ্যেই থাকে ।
আমি বাইকটি কোন প্রকার মডিফাই করিনি। টপ স্পিড পেয়েছি ৭৬ । ঢাকা সিলেট হাইওয়েতে। পার্ফরমেন্স ভালোই পাচ্ছি।
Kawasaki kw-80 বাইকের কিছু ভালো দিক -
- দেখতে সুন্দর
- স্মুথ সাউন্ড
- সিট লম্বা
- শক্তিশালী ইঞ্জিন
- কন্ট্রোলিং
Kawasaki kw-80 বাইকের কিছু খারাপ দিক -
- গিয়ার হার্ড
- লং রাইডে কোমর ব্যাথা করে
- ব্রেকিং ভালো না।
- মিটার ক্যাবল তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়।
বাইক নিয়ে আমি একদিনে ২০০+ কিলোমিটার রাইড করেছি । আমি আমার বাইকটি রাইড করে বেশ ভালো পার্ফরমেন্স পাচ্ছি । ধন্যবাদ ।
লিখেছেনঃ সঞ্জিব
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে