Honda X-Blade 160 বাইক নিয়ে ৩৮০০০ কিলোমিটার মালিকানা রিভিউ - জয়

This page was last updated on 04-Nov-2024 08:32am , By Shuvo Bangla

আমি মোঃ শাহারিয়ার কবির জয়। আমার বাসা নীলফামারী। আমি আজকে আমার পছন্দের Honda X-Blade 160 বাইকটির রিভিউ লিখতে বসেছি। বাইকটি আমার বাবা কিনে দেন। এই বাইকটির সাথে আমার ৩৮৬০০ কিলোমিটার এর পথচলার গল্প শেয়ার করবো ।

Honda X-Blade 160 বাইকটি নিয়েই আজ আমি কিছু অভিজ্ঞতা  শেয়ার করব।  আমার আব্বু আগে থেকেই HONDA লাভার। তার আগে Honda cd 80 বাইকটি ছিল। এর পর তিনি HONDA DREAM NEO 110  বাইটি কিনেন । মূলত আমি আমার বন্ধুদের কাছে বাইক চালানো শিখেছি। এর পর বাবার বাইক দিয়ে বাইক চালানোর প্রাক্টিস ও ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা দেই এবং সফল ভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স লাভ করি। এরপর বাবার কাছে বাইকের আবদার করলে বাবা আমাকে বাইকটি কিনে দেয়।

আমার বাইকটি ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে ইসলাম মটরস নীলফামারী থেকে কেনা হয়। আমার বাবার মতো আমিও একজন হোন্ডা লাভার। এই বাইকটি পছন্দ করার কারন হলো এর লুকস । রোবোটিক শেইপের এলইডি হেড লাইট বাইকটিকে আরও আকর্ষনীয় করে তোলে। বাইকটি কেনার পর আমি সর্বপ্রথম হেলমেট কিনতে যাই কারন সেইফটি ফার্স্ট।

বাইকটির মাইলেজ অবাক করার মতো। প্রতি লিটারে ৫০+ মাইলেজ পাওয়া যায়। এই সেগমেন্টে এত বেশি মাইলেজ অন্য কোন বাইকে আছে কি না আমার জানা নেই। বাইকটির মেইনটেনেন্স খরচ নেই বললেই চলে । নিয়মিত ইঞ্জিন অয়েল , এয়ার ফিল্টার ,সামনের ব্রেক প্যাড, চেইন সেট এসবই শধু পাল্টানো হয়েছে। হোন্ডার সবগুলো ফ্রি সার্ভিস নিয়েছি , তাদের কাজ সন্তোষ জনক। 

বাইকে সবসময় অকটেন ব্যবহার করি। আর ইঞ্জিন অয়েল Honda 10w30 ব্যবহার করি। মাঝে মাঝে SHELL LONG RIDE ও ব্যবহার করা হয়। আমি টপ স্পিড লাভার নই। আমি সাধারনত ৫০/৬০ কিলোমিটার গতিতে বাইক চালাই। তবে একদিন ১০১ কিলোমিটার গতি তুলেছিলাম। এর বেশি গতি তোলার সহস করিনি।

Honda X-Blade 160 বাইকটির কিছু ভালো দিক - 

  • বাইকটির কন্ট্রোলিং পারফরমেন্স অনেক ভালো । সিটি রাইডিং এ অনেক ভালো সাপোর্ট পাই ।
  • এর এলইডি হেডলাইটের AHO টেকনলোজি এবং ইমারজেন্সি হ্যাজার্ড লাইট কুয়াশা ও বৃষ্টিতে রাইড করার জন্য অনেক ভালো সাপোর্ট দেয়।
  • মাইলেজ অনেক ভালো পাওয়া যায়। যা অর্থ ও সময় সাশ্রয়ী।
  • বাইকের সিট অনেক প্রশস্ত হওয়ায় রাইডিং করে অনেক আরাম পাওয়া যায়। পিলিওন ও অনেক আরাম পায়।
  • বাইকের মেইনটেনেন্স খরচ অনেক কম। যা অর্থ ও সময় উভয়ই সাশ্রয় করে।

Honda X-Blade 160 বাইকটির কিছু খারাপ দিক - 

বাইকটির খারাপ দিক বলতে তেমন কোনোকিছু আমার খারাপ লাগেনি। সামনের টায়ার চিকন হওয়ার কারনে ব্রেকিং কনফিডেন্স কম পাই। তবে এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যায় পরিনি আলহামদুলিল্লাহ। এছাড়া অনেকে সাসপেনশন জনিত সমস্যায় পড়লেও আমার বাইকে এসব সমস্যা দেখা দেয়নি।

বাইক নিয়ে লম্বা ভ্রমন - 

বাইক নিয়ে তেমন কোনো লম্বা ভ্রমন করা হয় নি। মাঝে মাঝে বন্ধুদের সহ নিজ জেলার আশেপাশে ঘুরতে যাওয়া হয়। এর সিটিং পজিশন ও হ্যান্ডেল বার পজিশনের কারনে লম্বা ভ্রমনে হাত বা কোমোর ব্যাথা জনিত সমস্যা ফিল করিনি।

বাইক নিয়ে আমার চুড়ান্ত মতামত -

কোন কিছুই সমস্যার উর্ধ্বে নয় । সবকিছুরই ভালো দিক ও খারাপ দিক রয়েছে। তবে এই বাইকের খারাপ দিকের চেয়ে ভালো দিকের পরিমান বেশি। কম বাজেটে ১৬০ সিসি বাইক হিসেবে এটি আমার কাছে বেস্ট চয়েজ। বাইকের মেইনটেনেন্স খরচ অনেক কম। মাইলেজ ও অনেক ভালো পাওয়া যায়। মোট কথা পয়সা উসুল। কেউ ১৬০ সিসির বাইক কিনতে চাইলে আমি এই বাইকটি সাজেস্ট করব।


লিখেছেনঃ  মোঃ শাহারিয়ার কবির জয়

আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।