Honda Livo 110 বাইক নিয়ে রাইডিং অভিজ্ঞতা - রাকিব ইসলাম
This page was last updated on 19-Nov-2023 12:10pm , By Shuvo Bangla
আমি রাকিব ইসলাম নিলয় । আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমার Honda Livo 110 বাইকের মালিকানা রিভিউ । আমি নরসিংদি সদরের ভেলানগর এলাকায় বসবাস করি।
Honda Livo 110 বাইক নিয়ে রাইডিং অভিজ্ঞতা - রাকিব ইসলাম
বর্তমানে আমি যে বাইকটি ব্যবহার করছি বাইকটি আমার বাবার। বাবার বাইক দিয়ে আমি রাইড করি। বাবা বাইক আমাকে বেশি চালাতে দেয় না। বাবাকে না জানিয়ে বাবার বাইক নিয়ে নরসিংদী জেলার ভিতরে রাইড করেছি। আর মাঝে মাঝে নরসিংদী জেলার বাইরে রাইড করেছি । বাবা আর আমি মিলে বাইকটি রাইড করেছি।
আমার জীবনে প্রথম বাইকটি চালিয়েছিলাম আমি যখন ক্লাস 7 পড়ি সাল 2016। টিভিএস অ্যাপাচি বাইক ছিল আমার ফুফাতো ভাই তানজিল এর। বাইক চালানো শিখেছিলাম অ্যাপাচি দিয়ে। এরপর থেকে আমি বন্ধু-বান্ধবের বাইক চালাচ্ছি। তখন বাবার আগের বাইক ধরতে দিত না। বাবা একজন ব্যবসায়ী।
বাবার আগের বাইক ছিল হোন্ডা ইউনিকন 150cc। আমি বাবার বাইক হাতে পাই আমি যখন ক্লাস 9 পড়ি 2018 সাল। তখন বাবার বাইক এর ডুপ্লিকেট চাবি গোপনে নিয়ে চালাতাম। বাইকের তো দুইটি চাবি থাকে। একটা ছিল বাবার কাছে আরেকটি ছিল বাবার আলমারির ভিতরে। বাবার আলমারি থেকে চাবি সরিয়ে এনে মাঝে মাঝে বিকেল বেলা চালাতাম। মাঝে মাঝে বাইক চালাতাম তা বাবা জেনে যায়। এরপর অন্য জায়গায় চাবি সরিয়ে রাখে। সেই জায়গা থেকেও আমি চাবি বের করে ফেলতাম। এভাবেই আমি আমার বাবার বাইক দিয়ে রাইড করতাম।
আমি এস এস সি পাস করার পর ইন্টারে ভর্তি হওয়ার পর বাবার একটি চাবি আমার কাছে থাকে। আমার লাইসেন্স নেই বলে আমি দেশের বিভিন্ন স্থানে বড় রাইড করতে পারি না। আমার ইচ্ছে এইচ এস সি পরিক্ষার পর Honda CBR কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করবো ।
আমার বাবার বাইক চালিয়ে আমি যা বুঝলাম। বাইকটি দিয়ে সহজে কোন গন্তব্যে যাওয়া যায়। পাশাপাশি সময় বাঁচে। আমার বাইকটি প্রথম দেখাতেই খুব পছন্দ হয়েছে। বাইকটি হোন্ডা লিভো 110 সিসি। এটি একটি স্টাইলিশ বাইক। বাইকটির রং - কালো , বাইকটির ওয়েট খুব হালকা ।
বাইকটি চালাতে চালাতে যে কোন সময় বাইক প্রেমী হয়ে গেছি আমি নিজেও জানিনা। আমি বাইক চালিয়ে মনে করি বাইকটি আরামদায়ক। বাইকটির সার্ভিসিং সবকিছুই বাবা জানে কি ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করে। বাইকটি অনেক ভালো মাইলেজ দেয় এবং বাইকটি দিয়ে সহজেই তিনজন বসা যায়। বাইকটি ১ লিটার অকটেন দিয়ে ৫৫+ মাইলেজ দেয়। এই বাইক দিয়ে সর্বোচ্চ স্পিড হল ৮৬ হাইওয়েতে।
Honda Livo 110 বাইক এর কিছু ভালো দিক -
- ব্রেকিং সিস্টেম
- সিটিং পজিসন
- এক টানা অনেকক্ষণ রাইড করলেও ক্লান্তি আসে না
- অন রোড অফ রোড দুটোই সমান পারফরম্যান্স দেয়
Honda Livo 110 বাইকের কিছু খারাপ দিক -
- শুরুর দিকে ইন্জিন হিট হতো
- পিছনের চাকাটা আরেকটু মোটা দিলে ভালো হতো
এই বাইক আমি নিজেও দীর্ঘদিন ব্যবহার করেছি নিঃসন্দেহে এগুলো ভালো বাইক। বাবার বাইক বলে জেলার থেকে দুরে কোন জায়গায় যেতে পারিনি। যতটুকুই চালিয়েছি তারমধ্যে আমি বুঝি ব্রেকিং সিস্টেম ও মাইলেজ, বডি ডিজাইন খুবই ভালো। ধন্যবাদ ।
লিখেছেনঃ রাকিব ইসলাম নিলয়
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।