Honda Livo 110 ৩৬০০ কিলোমিটার মালিকানা রিভিউ - হাসান

This page was last updated on 01-Aug-2024 03:13pm , By Shuvo Bangla

আমি মাহমুদ হাসান । ছোট বেলা থেকেই আমি একজন বাইক লাভার । আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমার Honda Livo 110 বাইকের প্রতি আমার সেই লেভেলের আসক্ত ছিলো । পরিচিত কারো বাইক দেখলেই কাছে গিয়ে বাইক রাইডিং এর প্রতিটা জিনিষ সম্পর্কে ধারণা নিতাম। এক পর্যায়ে ক্লোজ ফ্রেন্ডের TVS Metro বাইক দিয়ে নিজেই বাইক রাইডিং শিখেছি।

Honda Livo 110 ৩৬০০ কিলোমিটার মালিকানা রিভিউ

Honda Livo 110 ৩৬০০ কিলোমিটার মালিকানা রিভিউ - হাসান

পরবর্তীতে আমার আপন ছোট কাকা CT-100 বাইক কিনলেন । নিজে রাইডিং জানার পরেও বাইকের প্রতি আমার আগ্রহ দেখে কোথাও গেলে আমাকে দিয়ে বাইক রাইড করাতেন । এটাই হয়ত চাচা-ভাতিজার ভালোবাসা ।

 আমার নিজস্ব একটা বাইক থাকবে সেই স্বপ্ন নিয়েই বড় হতে থাকি আমি । সংসারে বাইক কিনে দেওয়ার মত এভেলিটি থাকার পরেও বলার মত দুঃসাহস আমার হয় নি । এভাবেই যত দিন যেতে থাকে স্বপ্ন গুলো যেন আমার থেকে দূরে যেতে থাকে । এক পর্যায়ে ২০২৩ সালে এসে ডিসিশন নিয়ে নিলাম যে, এ বছরই বাইক কিনব । 

প্রথমে সেকেন্ড হ্যান্ড বাইক কেনার জন্য বাজেট করলাম ৯০ হাজার টাকা । অনলাইন জগতে আমার পরিচিত অনেক ভাই ব্রাদার আছে তাঁরা সবাই সেকেন্ড হ্যান্ড বাইক নিতে নিষেধ করলেন । তাদের কথা মত সেকেন্ড হ্যান্ড বাইক কেনার চিন্তা বাদ দিয়ে দিলাম । ৩০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে বাজেট বাড়িয়ে এক লাখ বিশ হাজার টাকা করলাম । আমার পরিচিত মুখ জাকারিয়া মিনহাজ ভাই আমার বাজেট অনুযায়ী কয়েকটি মডেল সাজেস্ট করলেন । 

ইউটিউব ও গুগলে রিভিউ দেখা শুরু করে দিলাম । আমি ও আমার আহলিয়া Honda Livo এর লুক দেখে ফিদা হয়ে গেলাম । সিদ্ধান্ত ও ফাইনাল করলাম যে, Honda Livo নিবো ইনশা আল্লাহ্ । অবশেষে , অনেক ঝুট ঝামেলার পরে ২৭/০৫/২০২৩ তারিখে বাইক কেনার জন্য আমি ও আমার মাদরাসার প্রধান শিক্ষক বেড়িয়ে পড়লাম ।

Honda Livo 110 ৩৬০০ কিলোমিটার মালিকানা রিভিউ

নওগাঁ জেলার মহাদেব পুর উপজেলায় এল এম মোটরস শোরুমে এসে নিজের পছন্দের বাইক একলাখ আঠারো হাজার পাঁচশত টাকা দিয়ে কিনলাম,আলহামদুলিল্লাহ । এভাবেই নিজের একটা বাইক কিনে নিজের শখ ও স্বপ্ন কে পূরণ করলাম । বাইক কিনে বাড়িতে আসার পর ওইদিন যেন আমার পরিবারের জন্য অনেক খুশি ও আনন্দের দিন, সবার মনে যেন আনন্দের ঝড় বইছে ।

৪ মাস ব্যবহারের পর আজকে আমার ভালোবাসার বাইকের ছোট্ট একটা রিভিউ দেওয়ার চেষ্টা করব । আমার বাইকের কালার Matte Axis Gray বাইক টা আমার কাছে অনেক স্মুথ মনে হয়েছে । ৪ মাসে ৩৬০০+ কিলোমিটার রাইড করেছি । এই সামান্য পথ চলার মাঝে কখনো বাইক নিয়ে দুর্ঘটনার স্বীকার হইনি আলহামদুলিল্লাহ । 

এই ৩৬০০+ কিলোমিটার চলার পথে আমি পুরোটাই ব্রেক-ইন পিরিয়ড মেনে চালিয়েছি । যদিও ব্রেক-ইন পিরিয়ড সম্পর্কে আমি জানতাম ই না । BikeBD তে জয়েন হওয়ার পর শুভ্র সেন দাদার ভিডিও দেখে জানতে পেরেছি ।

আর আমি সবসময় ৪ গিয়ারে ৪-৫ হাজার আরপিএম এ ৫৫-৬৫ গতিতে চালাতে পছন্দ করি । নেহায়েত প্রয়োজন না হলে ৮০+ গতিতে বাইক রাইড করি না । এখন পর্যন্ত মিনারেল ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করে আসছি । আর প্রতি ১০০০ কিলোমিটার পর পর ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করি। বাইক কেনার পর থেকেই সব সময় বিশ্বস্ত পাম্প থেকে অকটেন নেই । যদিও সেই পাম্প আমার লোকেশন থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত । এরপরও বাইকের ভালোবাসায় এটা কিছুই না।

Honda Livo 110 ৩৬০০ কিলোমিটার রিভিউ

বাইকটাকে আমি নিজের মত করে কাষ্টমাইজ করে নিয়েছি। যেমন হেডলাইট চেঞ্জ করে M8 LED Headlight লাগিয়েছি , ডিফল্ট হর্ন এর সাথে পালসারের একটা এক্সট্রা হর্ন লাগিয়েছি ইত্যাদি । এই ৩৬০০+ কিলোমিটার রাইডিং এর মধ্যে আমি মাসে দুই বার বাড়ি গিয়েছি , যেটা আমার কর্মস্থল থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে এবং একদিনে লং ট্যুর দিয়েছি যা ৩০০+ কিলোমিটার ছিলো ও প্রতি দিন ছেলেকে নিয়ে মাদরাসায় যাওয়া-আসা ও দৈনন্দিন কাজ তো আছেই ।

এভাবে বাইক রাইড করে আমি মাইলেজ পাচ্ছি ৬২+ । আর আমি টপ স্পিড নিয়ে কিছু বলতে পারবো না কারণ এটা চেক করা হয়নি আমার । আমি আগেই বলেছি , ৫৫-৬৫ তে বাইক রাইড করতে পছন্দ করি কারন আমি রাইডিং উপভোগ করি । 

আমি কখনো ৮০+ স্পিডে বাইক রাইড করি নাই । তবে আমার কাছে রেডি পিক-আপ কম মনে হয়েছে তাই যে কোন গাড়িকে ওভারটেক করার সময় অবশ্যই সতর্ক থাকা উচিৎ । আমি বাইকের নিরাপত্তার জন্য এখনো কোন সিকিউরিটি লক ইউজ করি নাই তবে ভালো মানের একটা GPS ট্র্যাকার লাগানোর ইচ্ছে আছে ।

Honda Livo 110 ৩৬০০ মালিকানা রিভিউ

Honda Livo বাইকের কিছু ভালো দিক - 

  • আকর্ষণীয় লুক
  • বেটার মাইলেজ ( ৬০-৬২ কিমি / লিটার )
  • অসাধারন পারফর্মেন্স
  • চমৎকার কন্ট্রোলিং
  • অসাধারণ ব্রেকিং সিস্টেম

Honda Livo বাইকের কিছু খারাপ দিক -

  • পিছনের টায়ার চিকন মনে হয়েছে
  • হেডলাইটের আলো কম মনে হয়েছে
  • মিটারটা ভালো লাগে নি আমার
  • রেডি পিকাপ কম মনে হয়েছে
  • হর্ণ এর সাউন্ড অনেক কম মনে হয়েছে

Honda Livo 110 ৩৬০০ রিভিউ

যদিও এগুলো মেজর কোন খারাপ লাগার মত না এরপরও কিছু জিনিষ আমি চেঞ্জ করে নিয়েছি । মূলত যারা দৈনন্দিন কাজ ও অফিস যাতায়াত এর জন্য বাইক নিতে চান আমি মনে করি এই বাইকটি হবে তাদের জন্য ওয়ান অফ দ্য বেষ্ট চয়েস ।

বাইক নিয়ে এটাই আমার প্রথম রিভিউ । অনেকের কাছে আমার রিভির এর সাথে অনেক কিছু নাও মিলতে পারে সেগুলো নিয়ে তর্ক না করে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন । আল্লাহর নাম নিয়ে বাইক চালাবেন , ভালো মানের সার্টিফাইড হেলমেট ব্যবহার করবেন । রেসিং নয় রাইডিং উপভোগ করুন , ধন্যবাদ । 


লিখেছেনঃ মাহমুদ হাসান

আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।

Best Bikes

Honda CB Hornet 160R

Honda CB Hornet 160R

Price: 169800.00

Honda CB Hornet 160R ABS

Honda CB Hornet 160R ABS

Price: 255000.00

Honda CB Hornet 160R CBS

Honda CB Hornet 160R CBS

Price: 212000.00

View all Best Bikes

Latest Bikes

Revoo S01

Revoo S01

Price: 0.00

TAILG Jidi

TAILG Jidi

Price: 0.00

Vida Z

Vida Z

Price: 0.00

View all Sports Bikes

Upcoming Bikes

Revoo S01

Revoo S01

Price: 0.00

Vida Z

Vida Z

Price: 0.00

Hero Xtreme 250R

Hero Xtreme 250R

Price: 0.00

View all Upcoming Bikes