Honda CB Trigger নিয়ে আমার ওনারশিপ রিভিউ
This page was last updated on 04-Jul-2024 08:22pm , By Shuvo Bangla
বাংলাদেশের মানুষ আজও মোটরবাইক বলতে হোন্ডা বুঝে। বেশীরভাগ মানুষের ধারনা এই দ্বিচক্রযানটিকে ”হোন্ডা” বলা হয়। যাই হোক না কেন হোন্ডা তার বিল্ড কোয়ালিটি এবং ডিউরাবিলিটি দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আনেক সুনাম করেছে। হোন্ডা মূলতঃ জাপানী কোম্পানী হলেও আমাদের দেশে বর্তমানে যেসব হোন্ডার মোটরবাইক পাওয়া যায় তা ভারতেই তৈরী (আমি যতটুকু জানি)।
যাই হোক মূল কথায় আসি, আজ আমি নিয়ে আমার Honda CB Trigger কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করব।
Honda CB Trigger নিয়ে আমার ওনারশিপ রিভিউ
ইঞ্জিনঃ
হোন্ডা কোম্পানির ইঞ্জিন কোয়ালিটি নিয়ে কথা বলতে গেলে তাদের ইতিহাস ঘেটে দেখতে হয়। হোন্ডা তাদের তৈরী ইঞ্জিনের কোয়ালিটির সাথে সবসময় আপোষহীন ছিল। হোন্ডা সিবি ট্রিগার এ ব্যবহার কারা হয়েছে Air Cooled, 4 Stroke, SI Engine 150সিসি ইঞ্জিন, যা হোন্ডার অনবদ্য সৃষ্টি। এছাড়াও এই ইঞ্জিনে আছে 14.1 PS পাওয়ার এবং ম্যাক্সিমাম Torque (Nm@rpm) 12.5 Nm যা এই বাইকে যথেষ্ট পাওয়ারফুল করেছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করে বুঝেছি যে অসাধারন বাটার Smooth Pickup as well as the speed. It is a single Cylinder two valve engine. ওভারঅল িইঞ্জিন কোয়ালিটি অনেক বেটার। Honda CB Unicorn এর আপডেটেড ইঞ্জিন আছে হোন্ডা সিবি ট্রিগারে। ওভারঅল ইঞ্জিন কোয়ালিটিতে আমি এটিকে ১০এ ১০ দেবার পক্ষপাতী।
ব্রেকীং: Honda CB Trigger যে তিনটি ভার্সন পাওয়া যায় তার মধ্যে সিবিএস মডেলটা বাংলাদেশে পাওয়া যায় না। তবে ডবল ডিস্ক এবং সিঙ্গেল ডিস্ক টা পাওয়া যায়। ব্রেকিং এর ক্ষেত্রে আমার কাছে অনেক কমফোর্টেবল মনে হয়েছে। বডি ব্যালেন্স অনেক ভালো মনে হয়েছে।
Also Read: Honda CB Trigger 150 ৭,০০০ কিলোমিটার রাইড - ডাঃ দীপংকর সরকার
লুকস এন্ড Comfort: আগেই বলে রাখি, আপনি যদি স্পোর্টস বাইকের আনন্দ বা রাইড যদি পেতে চান তাহলে আপনি ১০০ হাত দূরে থাকুন। কারন এটি একটি কমিউটার বাইক। লুকস এর কারনেই এই বাইকটি কিছুটা পিছিয়ে থাকবে। তবে এ মাসকুলার ফুয়েল ট্যাংক, নিউ সেপড হেডলাইট এবং এলইডি টেইল লাইট বাইটিকে একটু আলাদা দিক দিয়েছে। দেখার ক্ষেত্রে বাইকের হ্যান্ডেল বারটি খুবই সাধারন বানিয়েছে। বাইকটিতে যদি পালসার 150 বা আরটিআর এর মত হ্যান্ডেল বারটি হত তাহলে দেখতে দারুন লাগত।
মাইলেজ এবং টপ স্পিড: 150সিসি সেগম্যান্টে অসাধার মাইলেজ রয়েছে বাইকটিতে। আমি এখন প্রতি লিটার তেলে ৪৫+ কিমি চালাতে পারছি। আর আমি ব্যক্তিগতভাবে এখনো তেমন একটা সস্পিড তুলিনি। আমি সর্বোচ্চ ৮৮কিমি/ঘন্টা তুলেছিলাম।
শেষ কথা: বাংলাদেশে বাইকারদের মধ্যে ১৫০সিসি বাইক নিয়ে অনেক বেশী আগ্রহ দেখা যায়। এর অন্যতম কারন সিসি লিমিটের অনুমোদন। আমি হোন্ডা ট্রিগারকে ১৫০সিসি তে সেরা বাইক বলবনা। কিন্তু সেরাদের তালিকায় এটি অন্যতম একটি বাইক।
[বি:দ্র: এটি আমার লেখা প্রথম রিভিউ। ভুল ভ্রান্তি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতি দেখার অনুরোধ রইল।]
মোঃ মাহমুদুল হক শিশির
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com - এই ইমেইল এড্রেসে।