Honda CB Hornet 160R CBS ৩০০০ কিলোমিটার রাইড – রিজভি
This page was last updated on 31-Jul-2024 02:37pm , By Raihan Opu Bangla
আমি রিজভি বিশ্বাস । বর্তমানে আমি ঢাকায় বসবাস করি । অল্প কিছুদিন হয়েছে আমি একটি Honda CB Hornet 160R CBS বাইক ব্যাবহার করতেছি । আজ আমি আমার ব্যাবহার করা এই বাইকটি নিয়ে কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো ।
Honda CB Hornet 160R CBS ৩০০০ কিলোমিটার রাইড
অনেক কথা লিখবো লিখবো করে লেখা হয়না, লিখতে গিয়ে ভাবি আমি যে রিভিউ লিখবো তা কি কেউ পরবে অথবা আমার এই রিভিউ দেখে কি কারো কোন উপকার হবে ! এই কথা ভাবতে ভাবতে ৫ দিন অতিবাহিত হলো, যাই হোক আমি আমার নতুন বাইকটি নিয়ে আমার কিছু অভিজ্ঞতা লিখতেছি।
Honda CB Hornet 160R CBS বাইকটি নিয়ে এই রিভিউটি সম্পূর্ন আমার নিজের ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে লেখা Honda CB Hornet 160R CBS বাইকটি কেনার আগে আমার Bajaj Pulsar AS 150 বাইকটি ছিল । বাইকটি আমি প্রায় ৩ বছর + চালিয়েছি ।
এই বাইক নিয়ে আমি অনেক রকম সমস্যার সম্মুখীন হই, তবু্ও এই বাইককে আমি অনেক বেশি ভালোবাসি । তাহলে আমি Honda CB Hornet 160R CBS বাইক কেন কিনিলাম ! এটাই আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি ।
ব্যাক্তিগত কাজে আমি কুমিল্লা থেকে ঢাকা যাচ্ছিলাম পথের মধ্যে আমার Bajaj Pulsar AS 150 বাইকটির ইঞ্জিন সিজ করে, এবং বড় ধরনের দূর্ঘটনা থেকে ওইদিন আমি বেচে যাই। এতে করে আমি অনেকে হতাশায় পরে যাই । হাতে তখন খুব বেশি টাকা ছিলো না।
Honda CB Hornet 160R Test Ride Review By Team BikeBD
তখন চিন্তা করলাম এবার বাইক পরিবর্তন করে নতুন একটি বাইক কিনবো। অতপর আমার একটা বায়ার এর কাজের পেমেন্ট পাই তাও খুব বেশি নয়, এ জন্য বেশি নয় বললাম কারন দামি বাইক ক্রয় করার মত নয়। মাত্র ১,৮০,০০০ টাকা পাই।
ছোট ভাই এর সাথে কথা বলি যে কি বাইক ক্রয় করা যায়, ছোট ভাই বলে ভাইয়া তুমি আর আমি তো পালসার, ইয়ামাহা, সুযুকি ব্রান্ডের বাইক কিনেছি এবং চালিয়েছি এবার না হয় হোন্ডা কোম্পানির বাইক এর স্বাদ নেয়া যাক।
অতপর আমি নিজেও ভাবলাম ছোট তো ঠিকই বলেছে এবার হোন্ডা কোম্পানির বাইকই নেই, তবে কি নেওয়া যায়,বাজেট যে কম। প্রথমে চেয়েছিলাম Honda X-Blade কিনবো, কিন্তু পরে ভাবলাম যে সিংগেল ডিস্ক এর বাইক তো চালালাম এবার ডাবল ডিস্ক এর বাইক নেই।
তাই তখন স্বাধ্যের মধ্যে পেয়ে গেলাম Honda cb hornet 160 CBS । সব কিছু ঠিকঠাক কিন্তু খোজ নিয়ে শুনি শো রুমে সি বি এস বাইক নেই, মন খারাপ হয়ে গেলো, যাই হোক কল দিলাম HONDA LIFE এর শো রুমে, কল রিসিভ করে ম্যানেজার আমাকে বলে একটা মাত্র বাইক আছে।
আমি আর ছোট ভাই তখন অলরেডি বাইকে বসে আছি মহাখালিতে, যখন ম্যানেজার আমাকে বলে আপনি যদি এখন আসতে পারেন তাহলে বাইকটা আপনি নিতে পারবেন । আমি এবং আমার ছোট ভাই তখনই শো রুমের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম ।
শো রুমে গিয়ে দেখতে পেলাম আমার জন্যে অপেক্ষা করতেছে আমার প্রিয় ভিমরুল মানে হর্নেট বাইকটা। ক্যাশ জমা দিয়ে বাইক রেডি করে বাইক নিয়ে চলে আসবো,তখন ছোট ভাই বলে ভাইয়া বাইকে আমি আগে বসবো আমি বললাম ওকে,তারপর ছোট বাইক নিয়ে একটা টেস্ট রাইড দিলো, এসে বল্লো যে ব্রেকিং অনেক সুন্দর ।আল্লাহর নাম নিয়ে শুরু হলো আমার Honda CB Hornet 160R বাইকের যাত্রা, বাইক কিনে কয়েক দিন পর আমি চলে আসি কুমিল্লা, আমার আগের বাইকের থেকে এই বাইক অনেক বেশি হাল্কা মনে হচ্ছিলো এবং বেশি স্মুথ ।
এখন আমার বাইক ৩০০০ কিলোমিটার পূর্ন হলো, এই ৩০০০ হাজার কিলোমিটারে আমি বাইক হতে যা অনুভব করলাম তা হলো
- বাইকের হেড লাইট এর আলো কম, যাহা হাইওয়েতে চলার জন্য উপুযুক্ত নয়।
- বাইকের ব্রেকিং সিস্টেম অনেক ভালো,তবে রেয়ার ব্রেকে শব্দ করে ।
- হাই পাওয়ারে বাইকে পাওয়ার লস করে না ।
- ভাইব্রেশন খুব কম ।
বাইকটি থেকে আমি মাইলেজ পাচ্ছি হাই আর পি এম এ ৩৮ এবং ইকো মুড এ রাখলে ৪২। বাইকটি থেকে টপ স্পিড পেয়েছি ১১৮ পিলিয়ন সহ ১১৫।
আমি হোন্ডার মিনারেল ইঞ্জিন অয়েলটি ব্যাবহার করছি। ইচ্ছে আছে এই বাইকটি নিয়ে ৬৪ জেলা ট্যুর কম্পিলিট করবো ইনশাআল্লাহ্ । সকল কে ধন্যবাদ আমার রিভিউটা পরার জন্য। চলুন দেখে আসি হোন্ডা বাইক দাম বিস্তারিত ভাবে।
লিখেছেনঃ রিজভি বিশ্বাস
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।