Hero Splendor Plus বাইক নিয়ে মালিকানা রিভিউ - জামিরুল ইসলাম
This page was last updated on 31-Jul-2024 01:40pm , By Shuvo Bangla
প্রথমেই আমার পরিচয় দিয়ে শুরু করছি আমার নাম জামিরুল ইসলাম, ঝিনাইদহ জেলা কোটচাঁদপুর থানার খালিশপুর আমার বাসা, আজ শেয়ার করবো আমার Hero Splendor Plus বাইকের মালিকানা রিভিউ । আমি একটা জব করি ,পাশাপাশি বিএ পড়ছি ।
Hero Splendor Plus বাইক নিয়ে মালিকানা রিভিউ
আমার বাইক কেনা হলো একটা সপ্নের মতো , অনেক দিন ধরে একটু একটু করে টাকা জমিয়ে বাইকটি কিনেছিলাম যেইদিন বাইক কিনি ওইদিন কেনার কোন পরিকল্পনা ছিল না মামা সাথে বাইক দেখতে গেছিলাম ১ লাখ টাকা বাজেট ছিলো মা মটরস যেয়ে Hero Splendor Plus বাইকটা পছন্দ হয়েছিল কালার ছিল লাল , পরে ইসলামিক ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বাইক কিনে ফেলেছিলাম এতো খুশি লাগছিলো তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না সে দারুণ এক অনুভূতি ছিল !
প্রথম আমার বাইক চালিয়েছিল আমার মামা তারপর আমি , ওইদিন আমার ছোট ভাই সবার মুখে হাসি খুশি ছিল , আমি খুব খুশি নিজের টাকায় বাইক কিনেছি ! বাইকিং আমার জন্য স্বপ্ন ছিল আলহামদুলিল্লাহ সেটা পূরণ হয়েছে । ঘুরতে আমার খুব ভালো লাগে মন মতো ঘোরার জন্য বাইক বেস্ট । বিশেষ করে আমার চাকরির জন্য বাইক টা খুব প্রয়োজন ছিল কারন যে কোন জরুরি প্রয়োজনে বাইক চালাতে পরি ।
যখন বাইক ছিল না তখন থেকে বিভিন্ন বাইক গ্রুপ এ থাকতাম এক কথায় বলতে পারি আলাদা রকম ভালোবাসা ছিল বাইকিং এর প্রতি ! আমি এমন বাইক খুজছিলাম যে বাইকটি ভালো হবে, এবং তেলে সাশ্রয়ী হবে বড় ভাইদের কাছে শুনেছিলাম আমার বাজেট অনুযায়ী বেস্ট বাইক হবে হিরো স্পেলেন্ডার প্লাস বাইকটি । লাল বাইক আমার বেশি পছন্দ , বাজেট ও ছিল এক লক্ষ এর মতো এই জন্য এই বাইকটি নিয়ে ছিলাম এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে ।
বাইকটি কিনেছিলাম ঝিনাইদহ জেলা কোটচাঁদপুর থানা মা মটরস থেকে । বাইক কিনতে যাওয়ার দিন আমার ছুটি ছিল আমি যেহেতু জব করি , মামা ফোন দিয়ে বললো জামিরুল বাইক কিনতে চেয়েছিলি চল কোটচাঁদপুর ঘুরে আসি আমি ও রেডি হয়ে প্রথমে মামাদের বাড়ি গেলাম নানা মামা আর আমি একসাথে গেছিলাম নানা খুব খুশি হয়েছিলো আমার বাইক দেখবে তাই সাথে গিয়েছিল !
প্রথম বার বাইক চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল অসাধারন , সে দারুণ এক অনুভূতি ছিল ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না প্রথম যখন বাইকটি চালিয়ে বাসায় এসেছিলাম মা এতো খুশি হয়েছিলো বলার মত না । বাইক চালানোর পেছনে অনেক গুলো কারণ রয়েছে , প্রতিটি মানুষের জীবনেই কোন না কোন ইচ্ছে বা চাহিদা থাকে ঠিক আমারও চাহিদা ছিল একটা বাইকের প্রতি ।
আমার ইচ্ছা ছিল স্বল্প মূল্যে ভালো মাইলেজ এর একটা বাইক খুঁজে বের করা আমার বাজেট অনুযায়ী আমি খুঁজে পেয়েছি আমার সেই বাইকটি । এক বছর হলো আমার সেই স্বপ্নের বাইকটি হাতে পেয়েছি তখন থেকেই আমি মন মত চালাচ্ছি আমার একটুও বিরক্তি বোধ হয় না বাইক রাইডিং করতে । আমার পরিবারে এই বাইকটি খুব প্রয়োজন ছিল আমি আমার জব করতে পারছি মাঝে মাঝে ঘুরতে যেতে পারছি এবং দৈনন্দিন জীবনে আমার বিভিন্ন কাজ আমি করতে পারছি এই বাইকটার কারণে ।
জরুরী প্রয়োজনে বের হতে পারছি সব মিলিয়ে খুব খুব ভালো আছি বাইকটি পেয়ে এই বাইকটি আমি এবং আমার ছোট ভাই দুজনেই ব্যবহার করি তবে আমি বেশি ব্যবহার করি এই বাইকটি আমার বড় ভাইয়ের পরামর্শ কিনেছি । বাইক বিডিকে অনেক ধন্যবাদ আমার এই মতামত গুলো লিখছি আমার ভালো লাগছে আশা করি মতামত গুলো পাঠক ভাইরা পরে আনন্দ পাবে ।
আমি কোন সার্ভিস সেন্টারে বাইক সার্ভিস করাই নাই ছোট ছোট সমস্যা ছোটখাটো সমস্যা হলে খালিশপুর বাজার থেকে মেকানিক দোকান থেকে সমস্যা হলে ঠিক করে নেই তবে সব মিলায়ে বড় কোন সমস্যা এখন পর্যন্ত হয়নি । মাইলেজের কথা বলতে গেলে এখন পর্যন্ত ৫০-৫২ এমন পাই । তবে হাইওয়েতে গেলে ৫৫ পর্যন্ত মাইলেজ পেয়েছি ।
Hero Splendor Plus এর কিছু ভালো দিক -
- বাইকের মাইলেজ অনেক ভালো
- এই বাইকের ইঞ্জিন এ এখন এখনো পর্যন্ত কোনো সমস্যা পাইনি
- ১২ ভোল্ট ২.৫ এম্পিয়ারের একটি ব্যাটারি
- দেখতে ছোট মনে হলেও বাইকটিতে তিনজন রাইড করা যায়
- সামনে পিছনে ড্রাম ব্রেক খুবই কার্যকরী
Hero Splendor Plus এর কিছু খারাপ দিক -
- লং রাইডে ব্যাক পেইন হয়
- এক্সেলেটর কমিয়ে দিলে হেডলাইটের আলো কমে যায় যা আমার কাছে বিরক্তিকর মনে হয়
- স্পিড ৭০ এর উপরে তুললে অতিরিক্ত শব্দ হয়
- চাকাগুলো আরেকটু মোটা হলে কমফোর্টেবল হতো
- ব্রেকিং সিস্টেম আইবিএস থাকলেও ডিস্ক ব্রেক নাই
পরিশেষে আমি এটাই বলতে পারি বাইকটি কিনে আমি অনেক স্বাচ্ছন্দ বোধ করি কেউ ভালো মাইলেজ সমৃদ্ধ স্বল্প মূল্যে বাইক কিনতে চাইলে এই বাইকটি নিতে পারেন ধন্যবাদ সবাইকে ।
লিখেছেনঃ জামিরুল ইসলাম