Bajaj Pulsar 150 বাইক নিয়ে মালিকানা রিভিউ - নাইম আহমেদ
This page was last updated on 18-Nov-2023 05:07pm , By Shuvo Bangla
আমি নাইম আহমেদ । আমি একটি Bajaj Pulsar 150 বাইক ব্যবহার করি । বাইকটি নিয়ে আজ আমি আপনাদের সাথে ৪০ হাজার + কিলোমিটার রাইডিং অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো ।
আমি মৌলভীবাজার জেলা বড়লেখা থানায় বসবাস করি । আমার জীবনের প্রথম বাইক বাজাজ পালসার ১৫০ সিসি এটি আমি ২০১৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর বাজাজ এর শোরুম থেকে নতুন ক্রয় করি ।
প্রথমত এই বাইকটি সব বয়সী মানুষের সাথে মানানসই । দেখতেও সুন্দর , পার্ফরমেন্স ও খুব ভালো । দ্বিতীয়ত এটি রিজেনাবল প্রাইজের মধ্যে লং লাস্টিং একটি বাইক । তৃতীয়ত এর ইঞ্জিন পারফরম্যান্স বরাবরেই ভাল দিয়ে আসছে।
বাইকটির লুকস সুন্দর , টেকসই এবং পার্টসের সহজলভ্যতার জন্য বাইকটি ক্রয় করি । আমি যখন বাইকটি ক্রয় করি তখন এর বাজার মূল্য ছিল ১,৭৪,০০০ টাকা । বাইকটি আমি বাজাজ এর শোরুম উত্তরা মটরস,মৌলভীবাজার,বড়লেখা শাখা থেকে কিনেছিলাম।
বাইকটি প্রথমবার চালানোর অনুভুতির বর্ননাতিত। বাইকের ফিচারগুলোর মধ্যে এর ফ্রন্ট ডিক্স ব্রেক, সেল্ফ স্টার্ট, স্মুথ ইঞ্জিন পার্ফরমেন্স আমার ভালো লেগেছে । আমার বাইকটি ৬-৭ বার সার্ভিস করিয়েছি । নিয়মিত ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন , চেইন লুব দেওয়া, চাকার হাওয়া চেক করাই।
৩০০০ কিলোমিটার পূর্বে মাইলেজ পেয়েছি ৪৫ এর পরে বাইকের মাইলেজ ৩৫ এর মত পাই। বাইকের প্রতিনিয়ত সাউন্ড চেক, হাওয়া চেক, ইঞ্জিন অয়েল এর পরিমান চেক , ব্রেক চেক করে পরিষ্কার করি।
আমার বাইকে ব্যবহার করা ইঞ্জিন অয়েল হচ্ছে DTS-i যার দাম ৬৫০ টাকা ইঞ্জিন অয়েলটি সিন্থেটিক। বাইকে মডিফিকেশন এর মধ্যে ইঞ্জিন গার্ড লাগিয়েছি। বাইকটি দিয়ে তোলা সর্বোচ্চ স্পীড ১১৯ ।
Bajaj Pulsar 150 Cc single disk বাইকটির ৫টি ভালো দিক -
- লুকিং
- মাইলেজ
- লং লাস্টিং
- কন্ট্রলিং
- রিসেল ভ্যালু
Bajaj Pulsar 150 Cc single disk বাইকটির ৫টি খারাপ দিক -
- চেইন ল্যুজ
- টাইমিং চেইনের প্রব্লেম
- লং রাইডে ইঞ্জিন সাউন্ড পরিবর্তন হয়
বাইকটি দিয়ে আমার লম্বা দুরত্বের ভ্রমন সিলেট-খাগরাছড়ি প্রায় ৪০০ কিলোমিটার এবং কক্সবাজার-সিলেট ৬২৮ ট্যুর এ বাইকটির পার্ফরমেন্স মাশাল্লাহ অনেক ভাল পেয়েছি। আমি আমার বাইকটি নিয়ে যথেষ্ট সন্তুষ্ট, আশা রাখি বাজাজ আমার ভরসা আর আস্থা রাখবে। ধন্যবাদ ।
লিখেছেনঃ নাইম আহমেদ