Bajaj Pulsar 150 বাইকের ১৪০০০ কিলোমিটার মালিকানা রিভিউ - নাসিম

This page was last updated on 01-Aug-2024 11:55am , By Shuvo Bangla

আমি মোঃ নাসিম হোসেন। আমি একজন এয়ারকন্ডিশন টেকনিশিয়ান। আমি নলভোগ, নয়ানগর, তুরাগ বসবাস করি । Bajaj Pulsar 150 সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস, নিয়ে মালিকানা রিভিউ শেয়ার করবো । 

Bajaj Pulsar 150 বাইকের ১৪০০০ কিলোমিটার মালিকানা রিভিউ

এই বাইকটি নিয়ে ১৪০০০+ রাইডিং অনুভূতি শেয়ার করছি আপনাদের সাথে। প্রথমত এই বাইকটি সব বয়সী মানুষের সাথে মানানসই । দেখতেও সুন্দর , পার্ফরমেন্স ও খুব ভালো । দ্বিতীয়ত এটি রিজেনাবল প্রাইজের মধ্যে লং লাস্টিং একটি বাইক । তৃতীয়ত এর ইঞ্জিন পারফরম্যান্স বরাবরেই ভাল দিয়ে আসছে।

বাইকটি কিনেছিলাম বাজাজ এর অফিসিয়াল শোরুম মিরপুর ৬০ ফিট এর বাজাজ ফেয়ার থেকে । ২৪/০৪/২০২২ ইং তারিখে বাইকটি কিনেছিলাম, নগদ ২,১৭,০০০/= টাকা দিয়ে বাইকটি ক্রয় করি।

আমি সহ আমার অফিসের একজন কলিগ গিয়েছিলাম। অবশ্য যাওয়ার আগেই যোগাযোগ করে গিয়েছি। শো রুমে গিয়ে দেখি একটাই বাইক আছে পালসার ১৫০ সি সি সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস। বাইকটিতে কিক স্টার্ট নেই। সেল্ফ স্ট্যাট অনেক ভালো । সাউন্ড কোয়ালিটি অনেক স্মুথ। শোরুমে টাকা জমা দেওয়ার পর বাইকটি যখন রেডি করতেছিল তখন আর দেরি সইতে ছিল না। মন কেমন জানি আনচান করতেছিল কবে রেডি হবে কবে বাইকটা নিয়ে যাব।

গত ২০১৩ সাল থেকে একটু একটু করে বাইক চালানো শিখি। ২০১৫ সালে আমার মামার বাজাজ ডিসকভার ১২৫সি সি এবং এক চাচার পালসার সিঙ্গেল ডিক্স ১৫০ সি সি এই বাইক দুটি চালাই , তারপর থেকে আমার কেন জানি বাজাজের প্রতি আকর্ষনটা বেশি ছিল, তখন থেকে মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম যদি কখনো বাইক নেই তাহলে বাজাজের বাইক নিব। আর আমার পছন্দের বাইক ছিল পালসার বাইক। তাই খুব কষ্টের টাকা থেকে একটু একটু করে জমিয়ে, পরিশেষে আমি ২০২২ সালের আপডেট ভার্সন পালসার সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস বাইকটি ক্রয় করি।

বাজাজ পালসার বাইকের স্টাইলিস ডিজাইন ফিচার এসব দিকগুলো আমাকে আগে থেকেই অনুপ্রেরণা দিয়ে এসেছে। আর সব থেকে বড় বিষয় যেটা সেটা হচ্ছে বাজাজের বাইকে মেনটেনেন্স খরচ তুলনামূলক অন্যান্য বাইকের থেকে কম। বাজাজের পার্টস সব জায়গায় পাওয়া যায়। 

Bajaj Pulsar 150 বাইক

Bajaj Pulsar 150 বাইকের কিছু ভালো দিক -

  • অন্যান্য বাইকের তুলনায় পার্টস এর দাম কম।
  • মাইলেজ ভালো পাওয়া যায়। 
  • ডিটিএসআই ইঞ্জিন ডাবল প্লাগ, তাই পাওয়ার একটু বেশি।
  • রিসেল ভ্যালু বেশি পাওয়া যায়।
  • বাইকের কন্ট্রোলিং ভালো।

Bajaj Pulsar 150 বাইকের কিছু খারাপ দিক -

  • লং ট্যুরে  ইঞ্জিন হিট হয় ।
  • একটানা অধিক সময় চললে ইঞ্জিন থেকে কেমন যেন একটা সাউন্ড আসে ।
  • হালকা কাদা বৃষ্টির মধ্যে বাইকের সব জায়গায় কাদা লাগে ।

মডিফিকেশন -

আসলে আমি এই বাইকটিতে তেমন কোন মডিফিকেশন করিনি, বাইকের স্টক যেটা আছে সেটাই ভালো লাগে।  শুধুমাত্র একটি সারিগার্ড এবং একটি ইমারজেন্সি ইন্টিকেটর সুইজ  এবং একটা সাইলেন্সার গার্ড লাগিয়েছি। 

মেইনটেনেন্স -

এই বাইকটিতে কোম্পানির দেওয়া ইঞ্জিন অয়েল গ্রেড  20W50 বাজাজের ডিটিএসআই মিনারেল এই ইঞ্জিন অয়েলটি আমি ব্যবহার করি। আর এখনো সেই ইঞ্জিন অয়েলটা ব্যবহার করছি। আগে দাম নিতো ৫৫০ টাকা আর এখন দাম নেয় ৭০০ টাকা।

৫০০০ কিলোমিটার এর ভিতরে কোম্পানির দেওয়া রিকুমেন্ট অনুযায়ী সার্ভিসিং সেন্টার থেকে সার্ভিসিং করাই। ৬০০০ কিলোমিটার এরপরে প্রতি ৫০০ কিলোমিটার পরপর আমি নিজেই বাইকটি ওয়াশ করি, চেন অতিরিক্ত লুজ আছে কিনা সেটা পরীক্ষা করি, চেইনে লুবওয়েল দেই, এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার করি, স্পার্ক প্লাগ কোন প্রকারের ক্ষতি হয়েছে কিনা সেটা দেখি ।

দুই পিস অতিরিক্ত স্পার্ক প্লাগ নিয়ে রেখেছি, যেহেতু এই বাইকে কিক স্টার্ট নেই, তাই প্রায় কিছুদিন পর পর ব্যাটারির কানেকশন দুইটা দেখি। প্রতি ২০০০ কিলোমিটার পর পর নির্দিষ্ট সার্ভিসিং সেন্টার থেকে সার্ভিসিং করিয়ে নেই। এবং চকার হাওয়ার প্রেসার দেখি।

আমার বাইকে ১০০০০ কিলোমিটার পর বল রেসার পরিবর্তন করি।  কারণ আমি যেখানে থাকি সেখানে আশেপাশের রাস্তা প্রচন্ড খারাপ , তাই হয়তো একটু আগেই বল রেসারটা নষ্ট হয়ে গেছে ।

ট্যুর - 

আমার এই বাইকটি নিয়ে খুব বেশি একটা লং ট্যুরে যাওয়া হয় নাই, ঢাকা উত্তরা থেকে টাঙ্গাইল ২০১ গম্বুজ মসজিদ দেখতে গিয়েছিলাম। যাওয়া-আসা মিলে আনুমান ২৭০ কিলোমিটার হবে। গত ঈদে আমার উত্তরা থেকে দিনাজপুর যাওয়া আশা করি তাতে ১১০০+ কিলোমিটার জার্নি হয়।

এ থেকে যা বুঝা যায় বাইকের সিটিং পজিশন ভালো লেগেছে। ইঞ্জিন হিটিং ইস্যু ছাড়া আর কোন প্রকারের কোন সমস্যা পাই নাই। আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো মাইলেজ এবং আরামদায়ক জার্নি করতে পেরেছি।

Bajaj Pulsar 150

টপ স্পিড - 

আমি সাধারণত স্পিডিং করিনা, আমি চেষ্টা করি হাইওয়ে রোডেও ৭০ - ৮০ কিলোমিটার পার ঘণ্টায় এভারেজ রাখার জন্য। একদিন টাঙ্গাইল রোডে অনেকটা রাস্তা ফাঁকা পাওয়াই শুধুমাত্র দেখার উদ্দেশ্যে ১১৫ কিলোমিটার স্পিড  উঠেয়েছি।  তবে আমার কাছে মনে হয়েছে আরো ১০ - ১৫ কিলোমিটার গতি উঠাতে পারতাম । কিন্তু আমি একা হওয়ার কারণে আর বেশি স্পিড তুলিনি।

মাইলেজ - 

২৫০০ কিলোমিটার এর আগে আমি মাইলেজ পেয়েছি ৪০ কমবেশি। এবং  ৩০০০ এর পরে এখন ঢাকা শহরের মাঝে মাইলেজ ৪৪+ পাচ্ছি আর হাইওয়েতে গেলে ৫০+ বাইকটির মাইলেজ নিয়ে আমি খুবই সন্তুষ্ট।

পরিশেষে আমি নতুন রাইডার ভাইদের জন্য বলবো যাদের উচ্চতা ৫ ফিট ৪ ইঞ্চি প্লাস তারা এই বাইকটি সিটিং পজিশন খুব ভালো পাবেন। আমার উচ্চতা ৫ফিট ৪ ইঞ্চ ।

এ বাইক টি নিতে পারেন মাইলেজ ভালো পাওয়ার জন্য। ফ্যামিলি নিয়ে একসাথে ঘুরার জন্য। ধন্যবাদ । 


লিখেছেনঃ  মোঃ নাসিম হোসেন

আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে। 

Best Bikes

Honda CB Hornet 160R

Honda CB Hornet 160R

Price: 169800.00

Honda CB Hornet 160R ABS

Honda CB Hornet 160R ABS

Price: 255000.00

Honda CB Hornet 160R CBS

Honda CB Hornet 160R CBS

Price: 212000.00

View all Best Bikes

Latest Bikes

Revoo S01

Revoo S01

Price: 0.00

TAILG Jidi

TAILG Jidi

Price: 0.00

Vida Z

Vida Z

Price: 0.00

View all Sports Bikes

Upcoming Bikes

Revoo S01

Revoo S01

Price: 0.00

Vida Z

Vida Z

Price: 0.00

Hero Xtreme 250R

Hero Xtreme 250R

Price: 0.00

View all Upcoming Bikes