মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে রাইডের সময় যে ভুলগুলো করবেন না
This page was last updated on 28-Jul-2024 08:35am , By Ashik Mahmud Bangla
মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে চালু হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন শত শত বাইকার মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বেড়াতে যান, আর মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বাইক বাইক দূর্ঘটনা ঘটেও প্রচুর। তবে যদি বলা হয় মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে শুধুমাত্র বাইক দূর্ঘটনা ঘটে তাহলে এটা সম্পূর্ণ ভুল, কারন এখানে বাইক গাড়ি সব কিছুর দূর্ঘটনা ঘটে থাকে।

আমাদের কাজ বাইকারদের সচেতন করা, তাই আজ আমরা মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে রাইডের সময় যে ভুলগুলো করা উচিৎ না সেগুলো সম্পর্কে জানবো। আপনি যদি এগুলা মেনে চলেন তাহলে আপনার দূর্ঘটনার সম্মুখীন কম হতে হবে।


মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে রাইডের সময় যে ভুলগুলো করবেন না:
১- রেসিং করবেন নাঃ
মাওয়া এক্সপ্রেসের রাস্তা অনেক ভালো হওয়ার ফলে মাওয়া এক্সপ্রেসে অধিকাংশ যানবাহনের গতি অনেক বেশি থাকে। আবার অনেকেই আছেন যারা মাওয়া এক্সপ্রেসে যান শুধুমাত্র রেস করার জন্য। কিন্তু এই কাজটি করা কখনো উচিৎ না। আমাদের দেশে রাস্তা যতো ভালো হউক আমাদের মধ্যে এখনো চেঞ্জ আসে নি মানসিকতার। কখন কে সামনে চলে আসবে আপনি নিজেও টের পাবেন না। তাই যে কোন রাস্তায় বাইক রেস করা থেকে বিরত থাকুন।


২- বাইক নিয়ে গাড়ির সাথে টক্কর দিবেন নাঃ
আমরা অনেকেই স্পোর্টস বাইক নিয়ে গাড়ির সাথে রেস শুরু করে দেয়, এই রাস্তায় এটি কমন একটা ঘটনা। কিন্তু এই কাজ করা কখনো উচিৎ না। একটা কথা আমাদের মনে রাখা উচিৎ আপনি যতো দামী বাইক ব্যবহার করেন সেটা সর্বোচ্চ ১৬৫ সিসির হতে পারে।
কিন্তু আমাদের দেশে যেসব গাড়ি চলে সেসব গাড়ির সিসি আমাদের বাইকের চেয়ে অনেক বেশি আর তাই সেগুলোর গতিও বেশি হবে এটা নরমান ব্যাপার। মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে হউক অথবা অন্য কোন রাস্তা বাইক নিয়ে কখনো গাড়ির সাথে রেস করা উচিৎ না।

৩- লুকিং গ্লাস খুলে এক্সপ্রেসওয়েতে যাবেন নাঃ
মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অনেককে দেখা যায় লুকিং গ্লাস খুলে অথবা লুকিং গ্লাস ভাজ করে বাইকের টপ স্পীড চেক করেন। এই কাজটির কারনে অনেক সময় বড় বড় বাইক দূর্ঘটনা ঘটে যায়। লুকিং গ্লাস ছাড়া কখনো বাইক রাইড করবেন না।
আর মাওয়া এক্সপ্রেস এর মতো জায়গায় এই ভুল তো কখনোই করা উচিৎ না। এই রোডে প্রতিটা যানবাহনের গতি থাকে অনেক বেশি। তাই আপনার ছোট্ট একটু ভুলের জন্য আপনার জীবনে ঘটে যেতে পারে বড় দূর্ঘটনা।

৪- হুট করে লেন পরিবর্তন করবেন নাঃ
রাস্তায় বের হলে এমন অনেক চালক পাবেন যারা কোন রকম সিগনাল না দিয়ে লেন পরিবর্তন করে ফেলে, কিন্তু এই কাজটি করা আপনার জন্য যতটা ঝুকিপূর্ণ ঠিক তেমনি আপনার আশেপাশে থাকা যানবাহনের জন্যও অনেক বেশি ঝুকিপূর্ণ।
৫- মাথা সম্পূর্ণ নামিয়ে লুকিং গ্লাস না দেখে বাইক চালাবেন নাঃ
এই রাস্তায় অধিকাংশ বাইকারের কমন একটা সিটিং পজিশন খেয়াল করা যায়, আর সেটা হলো মাথা নামিয়ে বাইক টান দেয়া। কিন্তু এই করতে গিয়ে অধিকাংশ সময় বাইকাররা বড় বড় দূর্ঘটনার সম্মুখীন থাকে।
বাইকে এমন ভাবে বসুন যাতে আপনি আপনার সামনে কি আছে সেটা ভালোভাবে দেখতে পারেন এবং কিছুক্ষণ পর পর অবশ্যই লুকিং গ্লাসে খেয়াল করুন।

৬- ধীর গতিতে ডানপাশের লেন দিয়ে বাইক চালাবেন নাঃ
মাওয়াতে অনেক বাইকার ভাইয়েরা আছেন যারা আস্তে আস্তে ডানপাশ দিয়ে বাইক চালান, কিন্তু এটি করা আমাদের দেশের মতো রাস্তায় করা উচিৎ না। আমাদের দেশের অধিকাংশ বড় বড় পরিবহণ এই রাস্তায় ডান পাশ দিয়ে ওভারটেক করে।
আর এই রোডে আপনি যদি ডানপাশ দিয়ে চলতে থাকেন তাহলে পেছন থেকে এসে আপনাকে ধাক্কা দেয়ার পুরোপুরি সম্ভাবনা থাকে। আস্তে বাইক চালালে বাম দিক দিয়ে বাইক চালানোর চেষ্টা করুন।
৭- হেলমেট ছাড়া বাইক রাইড করবেন নাঃ
মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের পাশে যাদের বাসা তারা অনেকেই হেলমেট ছাড়া বাইক নিয়ে মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ঘুরতে বের হন। কিন্তু এই কাজটা করা কখনো উচিৎ না। কারন একজন বাইকারের জীবনে বিপদ কখনো বলে আসে না। নিজের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে হেলমেট ছাড়া কখনো বাইক রাইড করবেন না।
৮- ৩ জন নিয়ে বাইক রাইড করবেন নাঃ
৩ জন নিয়ে বাইক রাইড করা আমাদের দেশে কমন ঘটনা, কিন্তু কোন বাইক ৩ জন নিয়ে রাইড করার জন্য বানানো হয় না। ৩ জন নিয়ে বাইক রাইড করলে বাইক দূর্ঘটনা বেশি ঘটার চাঞ্চ থাকে। তাই এই কাজটি করা থেকে বিরত থাকুন।
৯- অযথা বাউলি দিবেন নাঃ
মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে জ্যাম থাকে না, তাই ফাকা রাস্তা পেয়ে অনেকেই অযথা বাউলি দিয়ে থাকেন। আর এই বাউলি দিতে গিয়ে অনেকেই দূর্ঘটনার সম্মুখীন হয়ে থাকেন।
মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে আমাদের দেশের সবচেয়ে সুন্দর রাস্তা, কিন্তু এই রাস্তায় এক্সিডেন্টও অনেক বেশি হয়, তাই এখানে বাইক হউক অথবা গাড়ি চালানোর সময় খুব সাবধান থাকুন। রেসিং করা থেকে বিরত থাকুন।
 
    
 
           
                     
 
                                                       
                                                     
                                                       
                                                     
                                                       
                                                     
                                                       
                                                     
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                