বেনেল্লি টিএনটি ১৫০ ১,০০০কিমি মালিকানা রিভিউ - মাহমুদুল হাসান শাওন
This page was last updated on 10-Jul-2024 01:51pm , By Saleh Bangla
অামি শাওন এবং পেশায় এক চাকুরীজীবি। অনেকদিন ধরে অামি অামার বেনেল্লি টিএনটি ১৫০ ২০১৮ ভার্সন এর রিভিউ লিখতে চাচ্ছিলাম। তাই এবার ১ হাজার কিলোমিটার চালানোর পর আপনাদের কাছে একটি শর্ট রিভিউ তুলে ধরলাম। বেনেল্লি টিএনটি ১৫০ ২০১৮ ভার্সন কেনার অাগে Honda MTX 50cc, Honda xl185cc, Hero Honda Hunk 150cc, Yamaha R15 v1, Pulsar 150cc, Yamaha Fzs v1 & Freedom Voyger 125cc ব্যবহার করতাম।
২০১৮ সালের ২৬ জুন অামি এই বাইকটি ক্রয় করি। এটি প্রথম লটের বাইক ছিল। তখন খুব কম মানুষই এই বাইকটি চিনত। এই বাইকটি কেনার অাগে অামি ইন্টারনেট থেকে এর স্পেসিফিকেশন দেখি এবং টেস্ট ড্রাইভ দেই। ফলে অামার কেনার প্রতি ইচ্ছাটা বেড়ে যায়। বাইকটির দাম রাখা হয়ে ছিল ১ লক্ষ ৭৯ হাজার ৯০০ টাকা এবং সাথে রেজিস্ট্রশন ফ্রি।
বেনেল্লি টিএনটি ১৫০ এর ইঞ্জিনঃ
এই বাইকটির ইন্জিন হচ্ছে সিঙ্গেল সিলিন্ডার, এয়ার কুল্ড ভার্টিক্যাল এরেঞ্জমেন্ট, এসওএইচসি, ২ ভাল্ব বিশিষ্ট ইঞ্জিন । বাইকটির ইন্জিন থেকে ১৪ বিএইচপি এবং ১৩ টর্ক পাওয়ার উৎপন্ন করে। ইন্জিনে কোন প্রকার ভাইব্রেশন হয় না। বাইকটির ওজন ১৪৪ কেজি এবং তেল ধারণক্ষমতা ১৩.৫ লিটার। এটি সামনে ১০০/৮০/১৭ এবং পেছনে ১৩০/৭০/১৭ সাইজের টায়ার ব্যবহার করা হয়েছে।
বেনেল্লি টিএনটি ১৫০ ২০১৮ ভার্সন - বাইকটির ফিচার সমূহঃ
১. নতুন ডিজাইন এর হেডলাইট
২. ডুয়েল ফ্রেম
৩. পাস লাইট সুইচ
৪. গিয়ার ইন্ডিকেটর মিটার
৫. ট্রিপ এ, বি এবং টোটাল কাউন্ট
৬. টেলিস্কোপিক ইউএসডি সাসপেনশন
৭. রেয়ার মনশোক সাসপেনশ
৮. ফ্রন্ট ডিস্ক ব্রেক
৯. রেয়ার ডিস্ক ব্রেক এবং সাথে সিবিএস
১০. এলইডি ইন্ডিকেটর লাইট
১১. সেলফ স্টার্ট সুইচ
১২. এলুমিনিয়াম এর মতো কালার করা ক্যাপ লাগানো নতুন ডিজাইনের সাইলেন্সার
বেনেল্লি টিএনটি ১৫০ ২০১৮ ভার্সন এর ভালো দিক গুলোঃ
১. ব্রেক: CBS হওয়ায় অামি এর অসাধারণ পারফর্মেন্স লক্ষ্য করেছি। পিছনে ব্রেক চাপ দিলে Rear এ ৬০% এবং Front এ ৪০% রেশিও তে ব্রেক Apply হয় এবং স্লিপ কাটে না।
২. রাইডিং পজিশন: দীর্ঘ সময় ধরে রাইডকরলেও কোমরে বা পিঠে ব্যাথা হয় না। অামি এই বাইক দিয়ে একদিনে ৩৫০ কিলো রাইড করেও তেমন ব্যাথা অনুভব করিনি।
৩. এক্সিলারেশন এবং টপ স্পিড: Throttle রেসপন্স ভালো হওয়ায় মাএ ১০ সেকেন্ড সময়ে ০-১০০ উঠে যায় এবং এর টপ ১১৬ পযন্ত অামি পাইছি তাও অাবার ৪ নাম্বার গেয়ার ।
৪. সাসপেনশন : অনেক ভাঙ্গা কিংবা অফ রোডেও খুব কম ঝাঁকি খায়। ফলে লং রাইডে কোমরে ব্যাথা হয় না।
৫.মাইলেজ: শহরে এটার মাইলেজ প্রতি লিটার ৪০-৪৫ কিলোমিটার এবং হাইওয়েতে প্রতি লিটারে ৫০ কিলোমিটার অামি পেয়েছি।
বেনেল্লি টিএনটি ১৫০ ২০১৮ ভার্সন এর খারাপ দিকসমূহঃ
১.ক্রশ গার্ড নেই
২.সিঙ্গেল হর্ণ
৩.কিক স্টার্ট সিস্টেম নেই
৪. ভিসিয়াস এয়ার ফিল্টার
ব্রেক ইন পিরিয়ড এবং ইন্জিন অয়েল পরিবর্তনঃ
শুরুতেই অামি বাইকের ব্রেক ইন পিরিয়ড মেনে চলি। অারপিএম ৫০০০ এর উপর উঠাইনি কখনো। এভাবে অামি ১০০০কিলো চালাই। এই প্রথম দিকে সময় গুলোতে অামি PTT 10W40 Challenger Synthetic Technology 4T ব্যবহার করি। ৪০০ কিলো পর পর চেন্জ করতাম ১০০০ না হওয়া পযন্ত।
Also Read: বেনেল্লি টিএনটি ১৫০ লঞ্চ হবে ঢাকা বাইক শো ২০১৮
পরিশেষে অামি বাইকটি নিয়ে সন্তষ্ট।অামার প্রতিদিনের পথ চলার সঙ্গী।ছোট বেলা থেকেই একটা নেকের্ট স্পোর্টস বাইকের প্রতি শখ ছিল। অতঃপর এই বেনেল্লি টিএনটি ১৫০ বাইকটি অামার সেই স্বপ্ন পূরণ করে। সামনে অারও পথ চলা বাকি। অাশা করি অাপনারা এই অার্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হবেন। সবাইকে ধন্যবাদ।
লিখেছেনঃ মাহমুদুল হাসান শাওন
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।