Shares 2
৩৫০ সিসির বাইক আসায় কোন কোন সেকেন্ড হ্যান্ড বাইকের দাম কমতে পারে?
Last updated on 06-Nov-2024 , By Badhan Roy
বাংলাদেশের বাইকিং কম্যুনিটিতে যেন উৎসব বিরাজ করছে। বিভিন্ন সিসি ও সেগমেন্টে একের পর এক নতুন নতুন বাইক লঞ্চিং হওয়ার কারনে একদিকে যেমন বাইকারদের জন্য অপশন বেড়েছে। অপরদিকে নতুন বাইকগুলোর মধ্যে এখন পর্যন্ত Royal Enfield এর প্রাইস বেশ রিজনেবল হওয়া তে অনেকেই তাদের বর্তমান বাইকগুলো বিক্রি করে এটি সহ অন্যান্য আপকামিং ব্র্যান্ডের হায়ার সিসির বাইক প্রি-বুকিং করার চিন্তাভাবনা করছেন।
গত কয়েকদিনে ফেসবুক মার্কেটপ্লেস এবং সেকেন্ড হ্যান্ড পণ্য কেনা বেচার অনলাইন ও অফলাইন জায়গাগুলোতে হটাৎ করে প্রচুর ইউজড মোটরসাইকেল বিক্রির বিজ্ঞাপন বেশ লক্ষণীয়। এমন অবস্থায় মার্কেটপ্লেস গুলো ঘুরে দেখে কোন কোন সেকেন্ড হ্যান্ড বাইকের রিসেল ভ্যালু কমার সম্ভাবনা আছে তাই নিয়েই আমাদের আজকের আর্টিকেল।
৩৫০ সিসির বাইক আসায় কোন কোন সেকেন্ড হ্যান্ড বাইকের দাম কমতে পারে?
সর্বপ্রথম যে বাইকটির সেকেন্ড হ্যান্ড প্রাইস কমবে বলা যেতে পারে সেটি হচ্ছে বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ফেয়ারিং কম্যুটার বাইক Yamaha Fazer v2 এর। পাশাপাশি একই সেগমেন্টের Suzuki Gixxer SF এর দাম ও কমার সম্ভাবনা রয়েছে। ন্যাকেড কম্যুটার সেগমেন্টে Yamaha FZ-s সিরিজের রিসেল ভ্যালু ও বেশ ভালরকম কমতে পারে, যার মধ্যে v3 এবং সদ্য লঞ্চ হওয়া v4 এর কথা উল্লেখযোগ্য।
ন্যাকেড স্পোর্টস সেগমেন্টের মধ্যে Royal Enfield Hunter 350 এবং Bajaj Pulsar N250 বাইকের প্রাইস একই হওয়া তে N250 এর রিসেল ভ্যালু কমে যেতে পারে। অপরদিকে এই সেগমেন্টে বাংলাদেশে সম্ভবত এখন পর্যন্ত আনঅফিশিয়াল মার্কেটের সবচেয়ে দামি বাইক Honda Ex-Motion CB150r বাইকটির রিসেল ভ্যালুতে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা লক্ষণীয়।
বাংলাদেশের সাধারণ বাইকারদের একটা বড় অংশ ১৫০ সিসির স্পোর্টস সেগমেন্টের বাইক ক্রয় এর ক্ষেত্রে ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকার উপরে খরচ করে থাকেন। অনেকেই এই সুযোগে তাদের পছন্দের সেগমেন্ট পরিবর্তন করে হায়ার সিসির দিকে যাওয়ার কথা ভাবছেন, ফলে স্পোর্টস বাইকের দাম কিছুটা হলেও কমতে পারে বলে ধারণা আসাটা অস্বাভাবিক নয়।
স্পোর্টস সেগমেন্টের মধ্যে সর্বপ্রথম বলা যায় Hero Karizma 210 বাইকটির সেকেন্ড হ্যান্ড প্রাইস ব্যাপক কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি ইন্দোনেশিয়ান ও ইন্ডিয়ান উভয় ভার্শনের Yamaha R15m, R15 v4, Honda CBR 150r মডেলগুলোর দামেও বেশ ভালই প্রভাব পড়তে পারে।
ক্রুজার বাইকের মধ্যে যদিও অপশন বাংলাদেশের মার্কেটে অনেক কম, তবুও Royal Enfield আসার কারনে ক্রুজার বাইকের সেগমেন্ট এবং প্রাইস পয়েন্টে যে প্রতিদ্বন্দিতা সৃষ্টি হয়েছে তা থেকে ধারনা করা যায় Avenger 165, Lifan K19 ও UM Renegade Commando বাইকগুলোর রিসেল ভ্যালুতে বেশ ভাল ধরণের প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা আছে।
তবে এখন পর্যন্ত যেসকল বাইকের নতুন মূল্য ২ লক্ষ টাকার নিচে কিংবা আশেপাশে সেসব বাইকের সেকেন্ড হ্যান্ড প্রাইস খুব একটা কমার বা বাড়ার সম্ভাবনা আপাতত বলা যাচ্ছে না।
বিঃদ্রঃ- সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সাম্প্রতিক সময়ের মার্কেটপ্লেস এবং সকল বাইকের রিসেল ভ্যালু ক্রমাগত ওঠা নামার উপর ভিত্তি করে দামের বিষয়টি একটা সম্ভাবনা আকারে ধারণা দেওয়া হয়েছে। কোনো বাইকের রিসেল ভ্যালু সম্ভাবনার থেকে কম বা বেশি লক্ষ করা গেলে তার দায়ভার আমাদের নয়। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের নিজে যাচাই বাছাই করে কন্ডিশন অনুযায়ী সেকেন্ড হ্যান্ড বাইকের মূল্য নির্ধারণের পরামর্শ দেওয়া হলো।
T
Published by Badhan Roy